Prothomalo:
2025-12-06@06:17:13 GMT

স্বৈরাচার পতন দিবস আজ 

Published: 6th, December 2025 GMT

আজ ৬ ডিসেম্বর, স্বৈরাচার পতন দিবস। গণ-আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের এই দিনে পদত্যাগ করেন তৎকালীন স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদ। এই দিনে তিনি অস্থায়ী সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ৯ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান হয়। মুক্তি পায় গণতন্ত্র।

সামরিক আইন জারির মাধ্যমে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদ। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন দুই জোটসহ বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর টানা আন্দোলনের মুখে এইচ এম এরশাদ ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে ডা.

শামসুল আলম খান মিলন, নূর হোসেনসহ অনেককে প্রাণ দিতে হয়েছে।

এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৫ দল, বিএনপির নেতৃত্বে ৭ দল ও ওয়ার্কার্স পার্টি-জাসদের নেতৃত্বে ৫টি বাম দল ১৯৯০ সালের ২১ নভেম্বর যৌথভাবে একটি রূপরেখা ঘোষণা করেছিল। জামায়াতে ইসলামী তিন–দলীয় জোটে না থাকলেও এরশাদবিরোধী আন্দোলনে তাল মিলিয়ে অংশ নিয়েছিল।

স্বৈরশাসক এরশাদের পতন হলেও পরবর্তী সময়ে তিন জোটের বহুল আলোচিত সেই রূপরেখার বাস্তবায়ন হয়নি। পূর্ণ গণতন্ত্র, কার্যকর জাতীয় সংসদ, নাগরিকের মৌলিক অধিকার, আইনের শাসন ও সুশাসন নিশ্চিত করার বিষয়গুলো কার্যত অধরা রয়ে যায়।

অন্যদিকে ক্ষমতা ছাড়ার পরও রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এরশাদ। তাঁর দল জাতীয় পার্টি এখনো সক্রিয়। ১৯৯১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনগুলোতে অংশ নেন এইচ এম এরশাদ। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল এরশাদের দল জাতীয় পার্টি। এরপর তখনকার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মিত্র হিসেবে পরপর তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসেছিল জাতীয় পার্টি।

২০১৪ সালের একতরফা বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করার পর শেখ হাসিনার সরকার এইচ এম এরশাদকে ‘প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত’ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল। সেবার একই সঙ্গে সরকারে এবং সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসে জাতীয় পার্টি। তখন থেকে তারা ‘গৃহপালিত বিরোধী দল’ হিসেবে তকমা পায়।

এরপর ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনের পরও সংসদে বিরোধী দলে ছিল এরশাদের দল। ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের পর এরশাদ হয়েছিলেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা। পরের বছর ২০১৯ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।

বিএনপি এই দিনকে ‘স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ হিসেবে পালন করে। আওয়ামী লীগ দিনটি পালন করত ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ হিসেবে। আর এরশাদের জাতীয় পার্টি দিনটিকে ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে পালন করে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গণতন ত র এরশ দ র সরক র র পতন আওয় ম ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়, দাফন দিল্লিতে: সালাহউদ্দিন আহমদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে ঢাকায় আর দাফন দিল্লিতে। এখন দাফন-কাফন খুলে মাঝেমধ্যে একটু চিৎকার করে।

সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন। বাংলাদেশে যেন আর কখনো এ রকম স্বৈরাচার, সামরিক শাসক, ফ্যাসিবাদের উৎপত্তি না হয়।’

আজ শুক্রবার রাত আটটায় কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী বাজারে মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা বিএনপি আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন সালাহউদ্দিন আহমদ।

বিএনপি, খালেদা জিয়া ও জিয়াউর রহমানের গণতন্ত্র রক্ষায় ভূমিকা তুলে ধরে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়ন হয়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা থেকে শুরু করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন।

৭ নভেম্বরের ঘটনা, ১৯৭৯ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সাফল্যের কথাও তুলে ধরেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি চালু, সংসদীয় শাসনব্যবস্থা সুপ্রতিষ্ঠিত করা—এসব অর্জনও বিএনপির নেতৃত্বেই হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তাঁরা তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করেছেন, একদলীয় শাসন চাপিয়ে দিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত গণ-অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

পথসভায় সভাপতিত্ব করেন মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা বিএনপির সভাপতি জামিল ইব্রাহিম চৌধুরী। বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য হাসিনা আহমদ, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা, দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী, পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হেফাজতুর রহমান, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, জেলা ওলামা দলের সভাপতি আলী হাসান চৌধুরী প্রমুখ।

এর আগে সালাহউদ্দিন আহমদ কোনাখালী, পশ্চিম বড়ভেওলা, বরইতলী, সাহারবিল, ঢেমুশিয়া ও বদরখালী এলাকায় গণসংযোগ করেন। বেলা তিনটায় চকরিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আনছারুল ইসলাম চৌধুরীর জানাজায়ও অংশ নেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়, দাফন দিল্লিতে: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • আগামী ৩ মাসের জন্য গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক
  • গণতন্ত্রবিরোধী পরাজিত শক্তির যেন আর পুনরুত্থান না ঘটে: তারেক রহমান
  • সেরে উঠুন বাংলাদেশ এই প্রার্থনা করি : মান্নান
  • দেশের তরুণেরা সব সময়ই ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে: আইন উপদেষ্টা
  • নোয়াখালীর ২৪৩ প্রাইমারি স্কুলের সব শিক্ষককে শোকজ
  • খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হতে পারে: মান্না
  • গণতন্ত্র রক্ষায় আলেম সমাজের অবদান অনস্বীকার্য: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
  • খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ফতুল্লা ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড বিএনপির দোয়া