ছবি: এম এ হান্নান

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রারকে পুলিশে দিলেন শিবিরের নেতা-কর্মীরা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহাকারী রেজিস্ট্রারকে ক্যাম্পাস থেকে ধরে নিয়ে মারধরের পর পুলিশের কাছে সোপর্দ করার অভিযোগ উঠেছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ ক্যাম্পাস এলাকার মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সহকারী রেজিস্ট্রারের নাম আবুল মনসুর শিকদার। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতির সহসাধারণ সম্পাদক। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ) সাবেক সহসভাপতি ছিলেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, আবুল মনসুর শিকদার বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিদ্যা ও পরিবেশবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে কর্মরত। গতকাল বিকেলে অফিস শেষ করে বাসায় যাওয়ার পথে তাঁর পথ আটকান শিবিরের নেতা-কর্মীরা। পরে সেখান থেকে তাঁকে মারধর করে থানায় নেওয়া হয়।

হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আবুল মনসুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের এক নেতা খুনের মামলার আসামি। মামলাটিতে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এ মামলা করা হয়।

বনবিদ্যা ও পরিবেশবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন বলেন, বেলা চারটার দিকে বিষয়টি তিনি জানতে পারেন। এরপর তিনি অফিসের এক কর্মচারীকে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিতে থানায় পাঠিয়েছেন।

ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘শিবির নেতা মামুন হোসাইনকে হত্যার মামলায় আসামিদের মধ্যে অন্যতম আবুল মনসুর শিকদার। গত বছরের ৫ আগস্টের পর ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে তিনি লিপ্ত রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী তাঁকে থানায় হস্তান্তর করেছেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়েছে বলেও শুনেছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সহরাওয়ার্দী বলেন, মনসুর শিকদার ২০১৪ সালে আমানত হলের শিবিরের সেক্রেটারি মামুনকে হত্যার মামলায় আসামি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর নিহত ব্যক্তির ভাই বাদী হয়ে আদালতে মনসুর শিকদারকে ৫ নম্বর আসামি করে মামলা করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ছাত্রলীগ-ছাত্রশিবির সংঘর্ষ, শিবির নেতা নিহত

২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে শিবির নেতা ও মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মামুন হোসেন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত ২০ জন। সিলেটে ছাত্রলীগের নেতা জালাল আহমেদের ওপর হামলার জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ