কয়েক বছর আগে শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ান খান মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। এবার অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে বিতর্কে জড়ালেন এই পরিচালক। এ মুহূর্তের একটি ভিডিও ক্লিপ এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। 

এ ভিডিওতে দেখা যায়, অনেকের সঙ্গে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আরিয়ান খান। প্রথমে বাইরে উপস্থিত মানুষের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন আরিয়ান। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎই ভিড়ের দিকে মিডল ফিঙ্গার (মধ্যমা আঙুল) প্রদর্শন করেন। যদিও হাসতে হাসতে এমন কাণ্ড করেন আরিয়ান; যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। আরিয়ানের এমন আচরণের কড়া সমালোচনা করছেন নেটিজেনরা। একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, এ ঘটনার পরও কি পুলিশ নীরব থাকবে?

আরো পড়ুন:

শাহরুখের নম্বরপত্র ভাইরাল, কোন বিষয়ে কত পেয়েছেন?

বিজয়-আল্লু-শাহরুখকে টপকে শীর্ষে প্রভাস

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, একটি ব্র্যান্ডের প্রচারের কাজে বেঙ্গালুরুতে গিয়েছিলেন আরিয়ান খান। মিডিয়া ও ভক্তদের শুভেচ্ছা জানাতে রেস্তোরাঁর বারান্দায় গিয়েছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন কর্নাটকের মন্ত্রী জমির আহমেদ খানের পুত্র কন্নড় অভিনেতা জায়েদ খান, কংগ্রেস নেতা মোহাম্মদ নলপড, কংগ্রেসের এমএলএ এর ছেলে হ্যারিস। 

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ২৮ নভেম্বর বেঙ্গালুরুর আশোকনগর থানার একটি জনপ্রিয় রেস্তোরাঁয় ঘটনাটি ঘটেছে।  

২০২১ সালের ২ অক্টোবর রাতে মুম্বাই থেকে ভারতের পর্যটন নগরী গোয়াগামী বিলাসবহুল প্রমোদতরী থেকে আরিয়ানসহ আটজনকে আটক করে ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। কয়েক ঘণ্টা জেরার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ৭ অক্টোবর থেকে মুম্বাইয়ের আর্থার রোডের কারাগারে বন্দি ছিলেন শাহরুখপুত্র। ২২ দিন পর একই বছরের ৩০ অক্টোবর কারামুক্ত হন আরিয়ান। পরবর্তীতে এই মামলা থেকে ক্লিনচিট দেওয়া হয় তাকে।   

বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ান খান ‘দ্য বা***ডস অব বলিউড’ নামে ওয়েব সিরিজ নির্মাণ করেছেন। গত সেপ্টেম্বরে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে মুক্তি পায় এটি। সিরিজটির গল্প রচনা করেছেন আরিয়ান খান, বিলাল সিদ্দিকি ও মানব চৌহান। আরিয়ানের ওয়েব সিরিজটি প্রযোজনা করেছে শাহরুখ খানের রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্ট। অর্থাৎ অভিনয়ের পাশাপাশি সিরিজটিতে প্রযোজক হিসেবেও যুক্ত রয়েছেন শাহরুখ।

তাছাড়াও একঝাঁক তারকা সিরিজটিতে অভিনয় করেছেন। যেমন: ববি দেওল, সাহের বম্বা, মনোজ পাওয়া, মোনা সিং, মণীশ চৌধুরী, রাঘব জুয়াল, অন্যা সিং, বিজয়ন্ত কোহলি, গৌতমি কাপুর। 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আর য় ন খ ন ন আর য় ন ব তর ক স র জট

এছাড়াও পড়ুন:

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় মহানগর বিএনপির দোয়া

‎বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা কামনায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। ‎

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বাদ জুম্মা কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহরের আমলাপাড়া আশরাফিয়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এই দোয়া ও মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

‎এসময়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও বিএনপি’র চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি ও সুস্থতা এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সু- স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়।

‎দোয়া পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন বলেন, দেশনেত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

দেশি-বিদেশি চিকিৎসকরা উনার সার্বিক অবস্থার পর্যবেক্ষণ করছেন। উনাকে যেকোনো মুহূর্তে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়া হবে। দেশনেত্রী যে অবস্থা এ সময় দেশবাসী সকলে ওনার জন্য দোয়া করছেন। ওনার যে অবস্থা একমাত্র আল্লাহই পারে ওনাকে সুস্থতা করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিতে। 

সুতরাং আজকে আমি জুম্মার নামাজের মাধ্যমে দেশবাসী উত্তোলন নেতা কর্মীদের কাছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা দিয়ে সুস্থতা কামনায় দোয়া প্রার্থনা করছি।

‎নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ। বর্তমানে তিনি এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া হবে। আমরা আপনাদের কাছে আমাদের দেশনেত্রী আমাদের মা খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করছি। আল্লাহ পাক যেন তাকে সুস্থতা দান করেন আমিন।

‎এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডাঃ মজিবুর রহমান, বরকত উল্লাহ, হাবিবুর রহমান মিঠু, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সহ- সভাপতি শেখ সেলিম আহমেদ, আলমগীর হোসেন চঞ্চল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক, মহানগর ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আল আরিফ, ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এড. শেখ আঞ্জুম আহমেদ রিফাত,সিনিয়র সহ-সভাপতি হারুন শেখ, ১২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ রানা, ১২নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মো.শাহাবুদ্দিন, ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ রানা, ১৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী লিটন, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জুলহাস সরকার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক দুলাল হোসেন, সদস্য আব্দুর রশিদ, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাজাদা আলম রতন, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন, মহানগর ওলামা দলের আহ্বায়ক হাফেজ শিবলীসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন নেতৃবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ