অর্ধশতাধিক আ.লীগ কর্মীর বিএনপিতে যোগদান
Published: 6th, December 2025 GMT
শরীয়তপুরের ডামুড্যায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগের এক নেতাসহ অন্তত অর্ধশতাধিক কর্মী বিএনপিতে যোগদান করেছেন।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার শিধলকুড়া ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় শরীয়তপুর-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপুর গণসংযোগকালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদান করেন তারা।
বিএনপিতে যোগদান করা ওই নেতার নাম জানে আলম খোকন মাদবর। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জানে আলম খোকন মাদবর দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছেন। ১৯৯৭ সালে সাবেক পানিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন। এরপর তিনি তার ছেলে নাহিম রাজ্জাকের রাজনীতি করতেন। ২০১৬ সালে তিনি শিধলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেন।
শুক্রবার বিকেলে শরীয়তপুর-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু গণসংযোগকালে খোকন মাদবরের বাড়িতে পৌঁছালে সেখানে তিনি ও তার অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপুকে ফুলের মালা পরিয়ে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদান করেন।
জানে আলম খোকন মাদবর বলেন, “পানিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও তার ছেলে নাহিম রাজ্জাক আমার সাথে প্রহসন করেছেন। আর প্রহসনের রাজনীতি থেকে আজ আমি অবমুক্ত হয়ে বিএনপিতে যোগদান করেছি। আজ মিয়া নুরুদ্দিন অপু ভাই আমার বাড়িতে এসে আমার গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দিয়েছেন। আমি এ মালার সম্মান আমার জীবন দিলে হলেও রাখব এবং এই এলাকা আগে নৌকার ঘাঁটি ছিল, তা আমি ধানের শীষের ঘাঁটিতে পরিণত করব।”
ঢাকা/আকাশ/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ত র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
ধামরাইয়ে কীর্ত্তনে ঢুকে মারধর, দাঁত তুলে নেওয়ার অভিযোগ
ঢাকার ধামরাইয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কীর্ত্তন অনুষ্ঠানে ঢুকে এক ব্যক্তির ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এসময় মারধরে তার একটি দাঁত উপড়ে ফেলা হয় ও মাথায় রক্তাক্ত জখম করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তিনজনের নাম উল্লেখ করে ধামরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। গত বুধবার (৩ ডিসেম্বর) উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ভাড়ারিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মো. জামাল (৫৫) আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ি দিঘীরপাড় এলাকার বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার আগের দিন জামালের সঙ্গে বিবাদী একই এলাকার শাহীন সরদার (৪৫), রাব্বি সরদার (২০) ও সজীবের (২৩) কথাকাটাকাটি হয়। অভিযোগকারী জানান, এই বিরোধের জেরে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরদিন হামলা চালানো হয়।
জামাল থানায় দেওয়া অভিযোগে উল্লেখ করেন, ভাড়ারিয়া হিন্দুপাড়ার শিবমন্দিরের সামনে অনুষ্ঠিত লীলাকীর্তন চলাকালে বিবাদীরা আরো তিন-চারজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে লাঠি ও লোহার রডসহ দলবেধে তার ওপর হামলা করে।
ভুক্তভোগী মো. জামাল বলেন, ‘‘শাহীন সরদার লাঠি দিয়ে আমার মাথায় সজোরে আঘাত করে। এতে আমি রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে পড়ে যাই।’’
অভিযোগে আরো বলা হয়, রাব্বি সরদার ঘুষি মেরে জামালের উপরের মাড়ির একটি দাঁত উপড়ে ফেলেন। এ সময় সজীব তাঁর জ্যাকেটের বুক পকেট থেকে জোর করে ৫ হাজার ২৫০ টাকা নিয়ে যান। অন্যরা এলোপাতাড়ি মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম সৃষ্টি করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ও হুমকি দেন। হামলার পর তিনি ধামরাই উপজেলার ইসলামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
জামাল বলেন, ‘‘ওরা চাইলেই আবার আমার ওপর হামলা করতে পারে। আমার জানমাল এখন নিরাপদ নয়।’’
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”
ঢাকা/সাব্বির/এস