গোপনেই শেষ হলো বাঁধন, সুনেরাহ ও শিমুদের শুটিং
Published: 6th, December 2025 GMT
পাঁচটি দেশ থেকে অনুদান পেয়েছে সিনেমাটি। সেই অর্থ দিয়ে শেষ হয়েছে শুটিংও। এখন চলছে শুটিং–পরবর্তী কাজ। সিনেমার পুরো কাজ শেষ না হলেও থেমে নেই প্রচারের পরিকল্পনা। সেই চেষ্টায় এবার এশিয়া থেকে একমাত্র সিনেমা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ফ্যান্সের লেজ আকস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ওয়ার্ক ইন প্রগ্রেস বিভাগে। ১৩ ডিসেম্বর শুরু হবে উৎসব। এতে বাংলাদেশ থেকে অংশ নেবে রুবাইয়াত হোসেনের নতুন সিনেমা ‘দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড’।
কেন গুরুত্বপূর্ণ লেজ আকস
অল্প দিনেই উৎসবটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সময় এ আয়োজনে অংশ নেওয়া সিনেমাগুলো কান, ভেনিস, লোকার্নো, রটারডামসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সব চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেয়। এ আয়োজনে অংশ নেওয়া ‘সাউন্ড অব ফলিং’ কানে জুরি পুরস্কার পায়। ‘স্ট্রেঞ্জ রিভার’ ভেনিস উৎসবে জায়গা করে নিয়েছিল। এই উৎসবে সিনেমা নিয়ে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে রুবাইয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখানে আন্তর্জাতিক সিনেমার বড় বড় বিপণন এজেন্টরা অংশ নেয়। যাদের সিনেমা সম্পর্কে ধারণা দিতে হয়। তারা যুক্ত হলে সিনেমা বিশ্বব্যাপী প্রদর্শন করে। এ ছাড়া এখানে গুরুত্বপূর্ণ প্রযোজকদের বড় একটি সমাবেশ হয়। এখানে আমরাই একমাত্র এশিয়া থেকে অংশ নিচ্ছি। কেমন সাড়া পাই, সেটাও অভিজ্ঞতার ঝুলিতে জমা হবে। আমরা বাংলা ভাষার সিনেমাটিকে আরও দূরে নিয়ে যেতে চাই।’
গোপনে শুটিং শেষ
‘দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড’–এ অভিনয় করেছেন আজমেরী হক বাঁধন, সুনেরাহ বিনতে কামাল ও রিকিতা নন্দিনী শিমু। তিনজনই সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এবারই প্রথম তিন অভিনেত্রীকে দেখা যাবে একসঙ্গে। তাঁরা গোপনেই সিনেমার শুটিং করেছেন। সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বাঁধন গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সিনেমাটি নিয়ে এখন কোনো কথা বলতে চাই না। আপনি পরিচালকের সঙ্গে বা টিমের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে ভোরের কুয়াশা মাড়িয়ে স্বপ্নবাজদের ভিড়
ভোরের কুয়াশা কাটতেই ময়মনসিংহ টাউন হলের মাঠে জড়ো হতে থাকেন কৃতী শিক্ষার্থীরা ও তাঁদের অভিভাবকেরা। শীত উপেক্ষা করে আজ বুধবার সকালে কেউ দূরের পথ পাড়ি দিয়ে এসেছেন, কেউ এসেছেন পাশের মহল্লা থেকে। তবু সবার মুখে একই রকমের আনন্দ আর রঙিন স্বপ্নের ঝলকানি। প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি-প্রথম আলো জিপিএ-৫ কৃতী শিক্ষার্থী উৎসব-২০২৫-এ ময়মনসিংহে এমন দৃশ্য দেখা যায় সকালজুড়ে।
স্কুলশিক্ষক আবুল কালামও ছেলে আবু সাঈদকে নিয়ে সকাল আটটার মধ্যে পৌঁছে যান অনুষ্ঠানস্থলে। এরপর ঘুরে দেখেন বিভিন্ন স্টল, ছেলের সাফল্যের স্মৃতি ধরে রাখতে তোলেন সেলফিও। নেত্রকোনা সরকারি কলেজ থেকে এবারের এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন আবু সাঈদ। কথা বলে জানা যায়, তিনি স্বপ্ন দেখছেন বিচারক হওয়ার। স্বপ্নবাজ এমন শিক্ষার্থীদের নিয়ে দিনের শুরু থেকেই ময়মনসিংহ টাউন হলের মাঠ উৎসবে রূপ নেয়।
জামালপুরের তাসনিম সুলতানাও এসেছেন মা জহুরা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে। তাঁর বাবা নেই। ব্যাংক কর্মকর্তা বাবার পেনশনের টাকায় তিন ভাইবোনের পড়ালেখা চালান মা। তাসনিম বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করেছেন। মা স্বপ্ন দেখেন, মেয়ে একদিন ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করবে। জহুরা খাতুন বলেন, ‘মেয়েকে ডাক্তার বানাব, সেই স্বপ্ন নিয়ে বাড়ি থেকে এই শহরে থাকি। মেয়ে মন দিয়ে পড়ছে। কষ্ট সার্থক হবে ইনশা আল্লাহ।’
জামালপুরের মেলান্দহের সুমাইয়া আক্তার আর ময়মনসিংহের তারাকান্দার আফসানা সানজিলার দেখা হয় টাউন হল মাঠে। ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির গল্প করতে করতেই সেখানে দুজনের বন্ধুত্ব হয়। দুজনে একসঙ্গে তোলেন সেলফিও। কথায় কথায় জানা গেল, সুমাইয়া চান চিকিৎসক হতে, আর আফসানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে শিক্ষকতা করতে চান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনের লক্ষ্য লিখে টানিয়ে রাখছেন শিক্ষার্থীরা