যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে গতকাল রাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবলের ড্র। ১২টি গ্রুপের মধ্যে সম্ভবত বাংলাদেশের বেশির ভাগ ফুটবলপ্রেমীর চোখ সেঁটে থাকবে ‘সি’ ও ‘জে’ গ্রুপে। কারণ ‘সি’ গ্রুপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ব্রাজিল আর ‘জে’ গ্রুপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।আর্জেন্টিনার গ্রুপে বাকি দিন প্রতিপক্ষ আলজেরিয়া, অস্ট্রিয়া ও জর্ডান। স্বাভাবিকভাবেই এই গ্রুপে আর্জেন্টিনাই ফেবারিট।

যদিও আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনির মতে, গ্রুপ পর্বে সহজ ম্যাচ বলে কিছু নেই। কাল ট্রফি হাতে বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠানে পা রাখেন স্কালোনি। ড্রয়ের পর বলেছেন, ‘আমরা নিজেদের সর্বোচ্চটা দেব এবং চেষ্টা করব গত বিশ্বকাপে যা করেছি সেটাই করার।'

৪৮ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এবারের বিশ্বকাপে প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুটি দল উঠবে শেষ ৩২ দলের কাতারে। সেখানে যোগ দেবে গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ে তৃতীয়স্থানে থাকা সেরা ৮টি দল। গ্রুপের শীর্ষ দুই দলের একটি হিসেবে শেষ ৩২-এ উঠতে পারলে সেখানে আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হবে ‘এইচ’ গ্রুপে বিজয়ী কিংবা রানার্স আপ দলের। ‘এইচ’ গ্রুপে আছে স্পেন, উরুগুয়ে, সৌদি আরব ও কেপ ভার্দে। অর্থাৎ এই পর্যায়ে বেশ কঠিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখিই হতে হবে আর্জেন্টিনাকে।

স্কালোনি বলেন, ‘২০২২ সালের মতোই বলি, সহজ প্রতিপক্ষ বলে কিছু নেই। ম্যাচগুলো খেলতে হবেই। যদি তাই হয়, তাহলে গ্রুপ (এইচ) এবং পরবর্তী নকআউট পর্ব কঠিন। কিন্তু প্রথমে আমাদের গ্রুপ পর্ব পেরোতে হবে, তারপর দেখা যাবে।’

আলজেরিয়ার বর্তমান কোচ ভ্লাদিমির পেটকোভিচ লাৎসিওতে স্কালোনির কোচ ছিলেন। রিয়াদ মাহরেজদের নিয়ে আলজেরিয়াকে ‘দারুণ সব খেলোয়াড়ের সমৃদ্ধ ভালো দল’ বলে মনে করেন স্কালোনি। বাছাইপর্বে গ্রুপের শীর্ষস্থান উঠে মূল পর্বে উঠে আসা রালফ রাংনিকের অস্ট্রিয়ারও প্রশংসা করেন তিনি। এবারই প্রথম বিশ্বকাপে অভিষিক্ত হতে যাওয়া জর্ডানকে নিয়ে স্কালোনির তেমন জানাশোনা নেই। তবে আর্জেন্টিনা দল যে ‘কোনো কিছুই হালকাভাবে নেবে না’—সেটাও বলে দিয়েছেন স্কালোনি।

টম ব্র্যাডির হাতে উঠে এসেছে আর্জেন্টিনার নামও.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন ব শ বক প

এছাড়াও পড়ুন:

শীতকালে মানুষের মন খারাপ থাকে কেন জানেন?

আপনি কী খেয়াল করেছেন শীতকালে অন্যান্য সময়ের চেয়ে মন অনেক বেশি খারাপ বোধ করে। শীতে মন খারাপ হওয়ার প্রধান কারণগুলো হলো এই সময় সূর্যালোকের অভাব থাকে। যার ফলে মেলাটোনিন হরমোনের উৎপাদন বাড়ে আর ঘুম ঘুম ভাব ও অবসাদ আসে। এ ছাড়া দিনের দৈর্ঘ্য কমে যাওয়ায় শরীরের স্বাভাবিক ঘড়ি বা সার্কেডিয়ান রিদম প্রভাবিত হয়।  মানুষ একাকীত্ব ও বিচ্ছিন্নতা বোধ করতে শুরু করে। মন খারাপের সঙ্গে আবহাওয়ার যোগ রয়েছে।

শীতকালে সূর্যালোকের অভাব
শীতকালে দিনের আলো কম থাকে, ফলে মস্তিষ্কে সেরোটোনিন (মুড বুস্টার) উৎপাদন কমে যায় এবং মেলাটোনিন (ঘুমের হরমোন) বাড়ে, যা বিষণ্ণতা ও দুর্বলতা বাড়ায়।

আরো পড়ুন:

বার বার মনে হচ্ছে ভূমিকম্প হচ্ছে, করণীয় জেনে নিন

ভাত কী সত্যিই ওজন বাড়ায়?

সার্কেডিয়ান রিদমে ব্যাঘাত
সূর্যের আলোর তারতম্য শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়িকে প্রভাবিত করে, যা ঘুমের ধরণ ও মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে।

সামাজিক বিচ্ছিন্নতা
ঠান্ডা আবহাওয়ায় মানুষজন কম বাইরে বের হয়, ফলে সামাজিক মেলামেশা কমে যায়, যা একাকীত্ব ও হতাশার কারণ হতে পারে।

হরমোনের পরিবর্তন
কম আলো এবং কম কার্যকলাপের কারণে শরীরে কিছু রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে যা বিষণ্ণতার লক্ষণ তৈরি করে। 

মন খারাপ থাকলে আচরণে কতগুলো বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়। যেমন—মেজাজ খিটখিটে থাকে, অতিরিক্ত ঘুম ঘুম ভাব বা ক্লান্তি আসে, সামাজিক কাজে অনীহা প্রকাশ পায় এবং কাজে মনোযোগ দিতে সমস্যা হয়।

মন ভালো রাখার জন্য যা যা করতে পারেন

এক. সকালের রোদ শরীরে লাগাতে পারেন।

দুই. স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন। 

তিন. প্রিয়জনদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করুন। 

প্রয়োজনে একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। অনেক সময ‘Seasonal Affective Disorder’—এর কারণে মন খারাপ থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে থেরাপি গ্রহণের প্রয়োজন হতে পারে। 

সূত্র: মায়ো ক্লিনিক

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ