৩৩ বছর পর মুর্শিদাবাদে ‘বাবরি মসজিদের’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শনিবার
Published: 5th, December 2025 GMT
ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ৩৩ বছর পর পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার রেজিনগরে একই নামের মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদ গড়া নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ কোনো হস্তক্ষেপ না করায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে এখন কোনো আইনি বাধা নেই।
শনিবার দুপুর ১২টায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের এ অনুষ্ঠান শুরু হবে। হুমায়ুন কবীরের এই কর্মসূচিকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই উদ্যোগকে বিভিন্ন মহল থেকে সংখ্যালঘু আবেগের সঙ্গে রাজনৈতিক খেলা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে জেলায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক হুমায়ুন কবীর শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আগামীকাল রেজিনগরে প্রস্তাবিত ‘বাবরি মসজিদ’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেবেন। একই সঙ্গে তিনি এ অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে রাজ্য পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
হুমায়ুন কবীর বলেছেন, এই মসজিদ তৈরি করতে তিন বছর সময় লাগবে। অর্থ জোগাবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
এদিকে নিরাপত্তাজনিত অবস্থার কথা বিবেচনা করে ইতিমধ্যে মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। হুমায়ুন কবীর দাবি করেছেন, তাঁর নিজস্ব প্রায় দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবকও অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত থাকবেন।
হুমায়ুন কবীর বর্তমানে মুর্শিদাবাদের ভরতপুর আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক। হুমায়ুনের এই ঘোষণার পর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। এখানকার অনেকেই চাইছেন না বাবরি মসজিদ গড়ার নামে এই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হোক।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে গভর্নর সি ভি আনন্দ বোস এর আগে বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এদিকে এই মসজিদ নির্মাণ ঘিরে এই রাজ্যের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে। বিজেপি বলেছে, তৃণমূল বিধায়ক মসজিদ নির্মাণের নামে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। তৃণমূল বলেছে, সংখ্যালঘুদের আবেগ নিয়ে হুমায়ুন কবীর ছিনিমিনি খেলছে। মানুষ হুমায়ুনের কথায় পাত্তা দেবে না।
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণাসংবাদ সম্মেলনে হুমায়ুন কবীর তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা উন্মোচন করেন। তিনি স্পষ্ট করেন যে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর সব সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন।
হুমায়ুন কবীর আরও ঘোষণা দেন, ২২ ডিসেম্বর বহরমপুরে আয়োজিত একটি গণসমাবেশ থেকে তিনি একটি নতুন ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দেবেন। এই নতুন দল নিয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মাঠে সক্রিয় হবেন বলে জানান।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র র জন ত অন ষ ঠ ন র জন ত ক মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে ইউএনও ও ওসির বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে রদবদল শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মোস্তাফিজুর রহমান ও বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মো.লিয়াকত আলীকে বদলী করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বন্দর উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের আয়োজনে উপজেলা অডিটোরিয়ামে উল্লেখিত দুই কর্মকর্তার বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার(ভুমি) রহিমা আক্তার ইতি, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.সরকার আশ্রাফুল ইসলাম, নৌ পুলিশের পরিদর্শক সালেহ আহমেদ,নির্বাচন অফিসার শেখ ফরিদ,প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল আলম জাহিদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী, প্রকৌশলী সামিন ইশরাক,মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাইয়ুম খান, সমাজসেবা কর্মকর্তা ফয়সাল কবির, যুব উন্নয়ন অফিসার মো.শাহেন শাহ, খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুশফিকুর রহমান সহ অন্যান্য কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার প্রতিনিধিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বিদায়ী দুই অফিসারের কার্যকালে জনস্বার্থে বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের স্মৃতিচারন করে বক্তারা বলেন,চরম টালমাটাল অবস্থায় ইউএনও মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং ওসি লিয়াকত আলী কর্মস্থলে যোগদান করেন।দু’জনেই স্ব-স্ব দায়িত্ব গ্রহণের পরপর গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে জনমনে স্বস্তি ফেরাতে নিরলস কাজ করেছেন।অনেকাংশেই তারা সফলভাবে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বন্দরের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সক্ষম হয়েছেন।