বাটারফ্লাই মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন রাইজিংবিডির জাবি প্রতিনিধি আহসান
Published: 6th, December 2025 GMT
প্রজাপতি সংরক্ষণ, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি বিষয়ে সাংবাদিকতার মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘বাটারফ্লাই মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ পেয়েছেন জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকমের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রতিনিধি আহসান হাবীব।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ আয়োজিত ঐতিহ্যবাহী প্রজাপতি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও রিপোর্টিং (ব্রডকাস্ট) ক্যাটাগরিতে তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড.
পুরস্কার প্রাপ্তির অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে আহসান হাবীব বলেন, “কাজের স্বীকৃতি সবসময়ই নতুন উদ্যমে কাজ করার অনুপ্রেরণা যোগায়। এই পুরস্কার আমাকে বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ নিয়ে সাংবাদিকতায় আরো দায়িত্বশীল করবে। তবে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কেবল জনসচেতনতা বৃদ্ধিই যথেষ্ট নয়, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা ও বন্যপ্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল নিশ্চিত করতে হলে জরুরি ভিত্তিতে ‘সংরক্ষিত এলাকা’ গড়ে তোলার দিকে আমাদের নজর দিতে হবে।” অভয়াশ্রম বা সংরক্ষিত এলাকা ছাড়া বিপন্ন প্রজাতিগুলোকে টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে মনে করেন তিনি।
আহসান হাবীব ছাড়াও এবারের মেলায় প্রিন্ট মিডিয়া ক্যাটাগরিতে মিজানুর রহমান এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে মাহ আলম বাটারফ্লাই মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বন বিভাগ, আইইউসিএন-সহ দেশের প্রকৃতি, পাখি, প্রজাপতি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রজাপতি সংরক্ষণ ও এ বিষয়ে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ব শাখা এই প্রজাপতি মেলার আয়োজন করে থাকে। এবারের মেলার স্লোগান ছিল ‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’।
ঢাকা/এ এইচ/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রস ক র প রক ত স রক ষ আহস ন
এছাড়াও পড়ুন:
পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার জগৎবেড় ইউনিয়নের শমসেরনগর এলাকার পচাভান্ডার (পচাকাটা) সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সবুজ মিয়া (৩০) পচাভান্ডার গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তাঁর লাশ বিএসএফের সদস্যরা নিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে পতাকা বৈঠকের আহবান জানিয়েছে বিজিবি।
এ সম্পর্কে লালমনিরহাট ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুজাহিদ মাসুম বলেন, বিভিন্ন সূত্র থেকে তিনি জানতে পরেছেন, সবুজ মিয়ার লাশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মাথাভাঙ্গা থানা থেকে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত সাড়ে তিনটার দিকে পাটগ্রামের শমসেরনগর এলাকার পচাকাটা সীমান্তের ৮৬৪ ও ৮৬৫ নম্বর মূল সীমানা পিলারের মাঝামাঝি ভারতের ভেতরে বিএসএফের গুলিতে সবুজ মিয়া নিহত হন। তিনিসহ কয়েকজন গরু আনার জন্য ওই সীমান্তের কাছাকাছি শূন্যরেখায় প্রবেশ করেন। এ সময় ভারতের ১৫৬ চেনাকাটা ক্যাম্পের বিএসএফের টহল দলের সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে সবুজ মিয়া নিহত হন। অন্যরা সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে বিএসএফের সদস্যরা সবুজের লাশ নিয়ে যান।