পাকিস্তান–আফগানিস্তান সীমান্তে তুমুল গোলাগুলি
Published: 6th, December 2025 GMT
পাকিস্তান–আফগানিস্তান সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে সীমান্তে উভয় পক্ষ ভারী গোলাবর্ষণ করেছে।
দুই পক্ষের কর্মকর্তারা বলেন, শুক্রবার গভীর রাতে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। তাঁরা একে অপরের বিরুদ্ধে বিনা উসকানিতে প্রথমে গুলি চালানোর অভিযোগ তুলেছেন।
সাম্প্রতিক সময় এশিয়ার এ দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি হয়েছে। গত কয়েক মাসে সীমান্তে একাধিকবার সংঘাতে জড়িয়েছে তারা।
গত অক্টোবরে প্রাণঘাতী সংঘাতের পর দুই দেশ একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে উপনীত হলেও সীমান্তে মাঝেমধ্যেই গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে।
গতকাল রাতের সংঘাত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, পাকিস্তানি বাহিনী কান্দাহার প্রদেশের স্পিন বোলডাক জেলা লক্ষ করে হামলা চালায়। এরপর আফগান বাহিনী পাল্টা জবাব দেয়। তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত আর তথ্য দেননি।
জাবিউল্লাহ মুজাহিদের ওই পোস্টের পর আজ শনিবার ভোরে পাকিস্তানও সংঘর্ষ নিয়ে মুখ খোলে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের একজন মুখপাত্র বলেন, আফগান বাহিনীই চামান সীমান্তে বিনা উসকানিতে প্রথম গুলিবর্ষণ করেছে।
আরও পড়ুনপাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে আবার সংঘর্ষ, ৫ পাকিস্তানি সেনা নিহত২৭ অক্টোবর ২০২৫এক বিবৃতিতে মুখপাত্র মোশাররফ জাইদি আরও বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী তাৎক্ষণিক, উপযুক্ত ও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান সম্পূর্ণ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ও নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সীমান্তে আফগান অংশের বাসিন্দারা এএফপিকে বলেন, স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে গোলাগুলি শুরু হয় এবং প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে।
আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে সতর্ক পাহারায় এক পাকিস্তানি সেনা। ১৩ নভেম্বর, ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আফগ ন স ত ন স ম ন ত
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (৩০ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে লেদেনের পরিমাণ কমেছে। একই সঙ্গে বিদায়ী সপ্তাহে উভয় পুঁজিবাজারে বাজার মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৯৩০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৪১.৫৭ পয়েন্ট বা ২.৮২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮৮৬ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৪২.৪৮ পয়েন্ট বা ২.২০ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮৯১ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩২.০৬ পয়েন্ট বা ৩.০৩ শতাংশ কমে ১ হাজার ২৪ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ১৯.৬২ পয়েন্ট বা ২.৩১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮২৮.৮৭ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৭৬২ কোটি ২ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৮ লাখ কোটি টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৭ হাজার ৩৭১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৬২৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকার। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৫৬৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৩২৫টির, দর কমেছে ১২টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টির। তবে লেনদেন হয়নি ২৯টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৯০.১০ পয়েন্ট বা ২.০৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৭৪৭ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ২.০২ শতাংশ কমে ১২ হাজার ১৭৬ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ১.৯৫ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৪৭৩ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ১.৮৭ শতাংশ কমে ৮৬৫ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) শূন্য শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৬২৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৫ হাজার ৫২৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪ কোটি ২১ লাখ টাকা। টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ৫৫৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৫৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১১০ কোটি ৯২ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৫৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ২৮৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২০০টির, দর কমেছে ৬৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
ঢাকা/এনটি/ইভা