সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তিন দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। সেখানে দিন দিন বাড়ছে শীতের তীব্রতা। রাতভর ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারদিক।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ সময় তেঁতুলিয়ায় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল চারদিক। সকাল সাড়ে আটটার পর কুয়াশা ভেদ করে হালকা রোদ উঠলেও তেমন বাড়েনি রোদের তীব্রতা। এতে দিনের বেলায়ও শীত অনুভূত হচ্ছে।

এর আগে গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল তেঁতুলিয়া ও শ্রীমঙ্গলে। এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল তেঁতুলিয়া ও নওগাঁর বদলগাছীতে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, আজ তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এটা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এবং মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আভাস। উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবেশ করায় এই জনপদে দিন দিন শীতের তীব্রতা বাড়ছে।

হেমন্তের শুরু থেকেই উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে সন্ধ্যার পর থেকেই হালকা শীত অনুভূত হচ্ছিল। এর মাঝে কুয়াশার পরিমাণ কম থাকায় দিনের বেলায় ঝলমলে রোদের দেখা মিলত। তবে কয়েক দিন ধরেই জনপদে সন্ধ্যার পর থেকে বাড়ছে কুয়াশার দাপট। সেই সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় রাতভর অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। তবে দিনের বেলায় ঝলমলে রোদ থাকায় দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

আজ সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশায় ছেয়ে আছে চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছেন অনেকে। শীতের শাকসবজি নিয়ে বাজারে যাচ্ছেন কৃষকেরা। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্বাকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই রোদের তীব্রতা।

সকাল পৌনে আটটার দিকে জেলা শহরে কথা হয় ইজিবাইক চালক এনামুল হকের (৪০) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আইজকা সারা রাতি খুপে ঠান্ডা (শীত) নাগিছে। সকালে বাইর হওয়ার সময় খুপে কুয়াশা ছিল, এ্যালা কনেক (একটু) কমিছে। আইজকার ঠান্ডাখানোত হাত-পাও পটপটাছে।’

আরও পড়ুনদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ তেঁতুলিয়ায়, বেড়েছে শীতের অনুভূতি০২ ডিসেম্বর ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ভ ত

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাথমিক মেধা যাচাই পরীক্ষা—বাংলা: অনুচ্ছেদ পড়ো, প্রশ্ন তৈরি করো

বাংলা: ১১ নম্বর প্রশ্ন

প্রাথমিক বিদ্যালয়–শিক্ষার্থী মেধা যাচাই পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ে ১১ নম্বর প্রশ্ন থাকবে অনুচ্ছেদ পড়ে প্রশ্ন তৈরি করার ওপর।

১.

বাংলাদেশের প্রায় সব লোক বাংলায় কথা বলে। তবে আমাদের দেশে যেমন রয়েছে প্রকৃতির বৈচিত্র্য, তেমনি রয়েছে মানুষ ও ভাষার বৈচিত্র্য। বাংলাদেশের পার্বত্য জেলাগুলোয় রয়েছে বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকজন। তাদের কেউ চাকমা, কেউ মারমা, কেউ মুরং, কেউ তঞ্চঙ্গ্যা ইত্যাদি। এ ছাড়া রাজশাহী ও জামালপুরে রয়েছে সাঁওতাল ও রাজবংশীদের বাস। তাদের রয়েছে নিজ নিজ ভাষা। একই দেশ অথচ কত বৈচিত্র্য। এটাই বাংলাদেশের গৌরব। সবাই সবার বন্ধু, আপনজন। এ দেশে রয়েছে নানা ধর্মের লোক।

হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান। সবাই মিলেমিশে আছে যুগ যুগ ধরে। এ রকম খুব কম দেশেই আছে। আবার আমাদের বাংলাদেশের বাইরেও অনেক বাঙালি আছে। বাংলাদেশের এই যে মানুষ, তাদের পেশাও কত বিচিত্র। কেউ জেলে, কেউ কুমার, কেউ কৃষক, কেউ আবার কাজ করে অফিস–আদালতে। আমরা সবাই পরস্পরের বন্ধু।

উত্তর

ক. বাংলাদেশে কোন কোন ধর্মের লোক বাস করে?

খ. বাংলাদেশের প্রায় সবার মুখের ভাষা কী?

গ. সবাইকে ভালোবাসতে হবে কেন?

ঘ. ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকজন এ দেশের কোথায় বাস করে?

ঙ. এ দেশের সবাই কীভাবে বাস করে?

 

২.

১৮৯৭ সালে প্রচণ্ড এক ভূমিকম্প হয় আমাদের দেশে। ফলে মাঠঘাট, নদীনালা আর জনবসতি সবই প্রাকৃতিক কারণে বদলে যায়। এখনো তোমরা দেখে থাকো নদীর পাড়ের জমি, ঘরবাড়ি, গ্রাম আর রাস্তাঘাট ভাঙছে। আবার বিশাল নদীর অন্যদিকে বিস্তীর্ণ চর পড়ছে। শত শত বছর আগে থেকেই এভাবে চলে আসতে থাকে ভাঙাগড়া। মাটিচাপা পড়ে যায় একেকটি নগর–জনপদ। মাটি খুঁড়ে এমনি এক সুপ্রাচীন নগর–জনপদের দেখা পাওয়া গেছে বাংলাদেশে। নরসিংদী জেলার সেই স্থানের নাম উয়ারী–বটেশ্বর। উয়ারী–বটেশ্বর ঢাকা থেকে ৭০ কিলোমিটার উত্তর–পূর্বে নরসিংদীর বেলাবো ও শিবপুর উপজেলায় অবস্থিত। এটি একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান।

উত্তর

ক. মাটি খুঁড়ে পাওয়া সুপ্রাচীন জনপদের নাম কী?

খ. মাঠঘাট, নদীনালা আর জনবসতি বদলে যায় কেন?

গ. কখন আমাদের দেশে প্রচণ্ড ভূমিকম্প হয়?

ঘ. উয়ারী–বটেশ্বর কোথায় অবস্থিত?

ঙ. সুপ্রাচীন নগর–জনপদের দেখা পাওয়া গেছে কীভাবে?

 

৩.

গ্রামের নাম আনন্দপুর। মামার বাড়ি। কথায় আছে, মামার বাড়ি রসের হাঁড়ি। পড়া নেই, বাধা নেই, যেখানে খুশি ঘুরে বেড়াও, যা খুশি খাও। এই তো মামার বাড়ি। গেল বছর পয়লা বৈশাখের ছুটিতে গিয়েছিলাম আনন্দপুর। সেখানে পয়লা বৈশাখে মেলা বসে।

মামা বললেন, তোমাদের মেলা দেখাতে নিয়ে যাব। আমরা ছিলাম চারজন, আমি, মামাতো বোন বৃষ্টি, সোহানা আর ছোট ভাই তাজিন। মেলা বসে সকালে। মামা বেশ মজার মানুষ। কাঁধে ঝোলানো একটা ব্যাগ। তাতে থাকে ছবি আঁকার জিনিস। থাকে একটা বাঁশি। পড়েন ঢাকার চারুকলা ইনস্টিটিউটে। মেলার একটু কাছে পৌঁছাতেই শুনতে পেলাম, নাগরদোলার ক্যাঁচর ক্যাঁচর শব্দ।

উত্তর

ক. মামার বাড়ি কোথায়?

খ. মামার কাঁধে ঝোলানো ব্যাগে কী থাকে?

গ. ঢাকার চারুকলা ইনস্টিটিউটে কে পড়েন?

ঘ. মেলার কাছে পৌঁছাতেই ওরা কী শুনতে পেল?

ঙ. আনন্দপুরে কখন মেলা বসে?

৪.

বাংলাদেশের দক্ষিণে রয়েছে প্রকৃতির অপার সম্ভার সুন্দরবন। সমুদ্রের কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে এই বিশাল বন। এখানে রয়েছে যেমন প্রচুর গাছপালা, কেওড়া ও সুন্দরীগাছের বন, তেমনি রয়েছে নানা প্রাণী, জীবজন্তু। বাংলাদেশের নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার বা রাজকীয় বাঘের নাম।

এই বাঘ থাকে সুন্দরবনে। এ বাঘ দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি আবার ভয়ংকর। একসময় সুন্দরবনে ছিল চিতাবাঘ ও ওলবাঘ। কিন্তু এখন আর এসব বাঘ দেখা যায় না।

সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার বাংলাদেশের অমূল্য সম্পদ। এ বাঘকে বিলুপ্তির হাত থেকে আমাদের বাঁচাতে হবে।

উত্তর

ক. কে গোলপাতার বনে ঘুরে বেড়ায়?

খ. সমুদ্রের কোল ঘেঁষে কী গড়ে উঠেছে?

গ. সুন্দরবন বাংলাদেশের কোথায় অবস্থিত?

ঘ. রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে বিলুপ্তির হাত থেকে আমরা কীভাবে বাঁচাতে পারি?

ঙ. সুন্দরবনে এখন আর ওলবাঘ ও চিতাবাঘ দেখা যায় না কেন?

৫.

দুই বোন মা–বাবার আদরের ছায়ায় বড় হয়। স্কুলে যাওয়ার পথে বুনোফুল ছিঁড়ে বেণির সঙ্গে গেঁথে রাখে। ফড়িং ধরে। আবার আকাশে উড়িয়ে দেয়। ফুলের পাপড়ি ছিঁড়ে খাতার ভেতর চাপা দিয়ে রাখে।

জসীম মিয়া ওদের কপালে চুমু দিয়ে বলে, আমার মেয়েগুলোর অনেক বুদ্ধি।

অনেক বড় হ মা। চাইলে লেখাপড়ার জন্য তোদের আমি ঢাকা পাঠাব। দুই বোন খুশিতে হাততালি দেয়। মা–বাবা ওদের উৎফুল্ল মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। একদিন জসীম মিয়া বাজারে যায়। সেখান থেকে দুই সের চাল–ডাল কিনে বাড়ি ফিরে বারান্দায় ধপাস করে বসে পড়ে। ছুটে আসে রাহেলা বানু।

উত্তর

ক. জসীম মিয়া কে?

খ. স্কুলে যাওয়ার পথে দুই বোন বেণির সঙ্গে কী গেঁথে রাখে?

গ. কেন দুই বোন খুশিতে হাততালি দেয়?

ঘ. জসীম মিয়া লেখাপড়ার জন্য মেয়েদের কোথায় পাঠাতে চায়?

ঙ. দুই বোন কীভাবে বড় হয়?

মো. সুজাউদ দৌলা, সহকারী অধ্যাপক,রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মহাকাশ থেকে তোলা ছবিতে জ্বলজ্বল করছে পবিত্র কাবা শরিফ
  • প্রাথমিক মেধা যাচাই পরীক্ষা—বাংলা: অনুচ্ছেদ পড়ো, প্রশ্ন তৈরি করো