দেশের তরুণেরা সব সময়ই ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে: আইন উপদেষ্টা
Published: 5th, December 2025 GMT
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে দেশের তরুণদের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘মহান জুলাই অভ্যুত্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, তা গর্বের সঙ্গে স্মরণ করছি। তবে এটি নতুন নয়, আমাদের তরুণেরা সব সময় দেশে ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিল।’
আজ শুক্রবার রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত ষষ্ঠ জেসাপ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসিফ নজরুল এ কথা বলেন।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘এ বছর ৫২টি বিশ্ববিদ্যালয় এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছে। আন্তর্জাতিক আইন শেখা এবং বিতর্কের জন্য জাতীয় আবেগের প্রতিফলন এটি। জেসাপ বাংলাদেশ এখন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম জেসাপ যোগ্যতা অর্জনকারী প্রতিযোগিতা। এই অর্জন আমাদের শিক্ষার্থী, কোচ, আয়োজক ও প্রাণবন্ত মুট কোর্ট সমাজের নিষ্ঠার প্রতিফলন।’
আসিফ নজরুল বলেন, জেসাপ কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয়। এটি কঠোর গবেষণা দক্ষতা, স্পষ্ট লেখা, অ্যাডভোকেসি ও কার্যকর দলবদ্ধতা তৈরি করে। তিনি আশা করেন, এই কর্মশালা তরুণদের দক্ষতা আরও তীক্ষ্ণ করবে। ন্যায়বিচার ও আইনের শাসনের প্রতি তরুণদের অঙ্গীকারকে আরও শক্তিশালী করবে।
কর্মশালাটি অ্যাডভোকেসি দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ফিলিপ সি জেসাপ আন্তর্জাতিক আইন মুট কোর্ট প্রতিযোগিতার (জেসাপ) ১০ম বাংলাদেশ যোগ্যতা অর্জনের রাউন্ডে সফলভাবে অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে ডিজাইন করা হয়েছে। জেসাপ মুটিং আন্তর্জাতিক আইন মুট কোর্টের ‘বিশ্বকাপ’ হিসেবে পরিচিত।
কর্মশালাটি দুই দিনের। শিরোনাম ‘মে ইট প্লিজ দ্য কোর্ট: দ্য কেস কনসার্নিং দ্য ক্রাফট অব জেসাপ অ্যাডভোকেসি’। আয়োজক জেসাপ বাংলাদেশ ও ইন্টারন্যাশনাল ল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (আইএলএসএ)।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের আবাসিক আইন উপদেষ্টা সেরা সেথলিকাই, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডেভ ডাওল্যান্ড, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ল-এর সহকারী অধ্যাপক মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আইন উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
খালেদা জিয়া এদেশের মানুষের ঐক্য ও ভালোবাসার প্রতীক : সজল
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
উনি এর আগেও ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করতে গিয়ে কারাগারে থেকেও উনি হাসপাতালে কঠিন সময় পার করেছিলেন ছিলেন। এদেশের গণতন্ত্র ও মানুষের স্বার্থে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন এই দোয়াই কামনা করছি।
বিএনপির চেয়ারপার্সন ও তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল এবং খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথাগুলো বলেন।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাদ জোহর শহরের কিল্লারপুল জামে মসজিদ মাঠে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম আপনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মহানগর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, উনি একজন মহসিনী নারী। উনার স্বামী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশের স্বার্থে যুদ্ধের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে উনাদেরকে ক্যান্টনমেন্ট রেখে গিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিল। সে সময় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টে অবরুদ্ধ অবস্থায় দীর্ঘ নয় মাস গৃহবন্দী ছিল।
সেই সময় তিনি বিভিন্ন জুলুম নির্যাতন পার করেছিলেন। এরপর শহীদ রাষ্ট্রপতি নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন। এরপরে এদেশের মানুষই প্রতি প্রেসিডেন্স জিয়াউর রহমানকে মানুষের হৃদয় অবস্থান করে নিয়েছিলেন।
তারপরে ১৯৮১ সালের ত্রিশে নভেম্বর দেশি-বিদেশি চক্রান্তের মাধ্যমে উনাকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে হত্যা করা হয়। এরপরই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গৃহবধূ থেকে রাজনীতিতে আসেন। উনার স্বামীর মৃত্যুর পরে উনি এই দলের হাল ধরেছিলেন। নব্বইতে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে তিনি একাই নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন এবং লড়াই সংগ্রাম করেছিলেন।
এরপর তিনি ১৯৯১ সালে বিএনপিকে ক্ষমতায় এসেছিলেন। এরপর থেকে তিনি দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ শুরু করেন।
তিনি আরও বলেন, এদেশের ওলামাকারামদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সম্মানিত করেছিলেন। উনি দেশের মানুষের উপকার ছাড়া কখনো ক্ষতি করেন নাই। আজকে উনি অসুস্থ সমস্ত বাংলাদেশের মানুষ উনার সুস্থতার জন্য দোয়া করছেন। উনি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে এদেশের গণতন্ত্রের জন্য ভূমিকা রাখতে পারেন।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সামরিক শাসনের দুই বছর এবং আওয়ামী লীগের ১৫ বছর ১৭ টি বছর তিনি আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন তিনি কখনো আপোষ করেননি। তিনি নিজের সন্তানের বিনিময়েও কিন্তু তাদের সাথে আপোষ করে নাই।
তিনি বলেছিলেন বাংলাদেশের বাইরে আমার আর কোন ঠিকানা নেই। এই বাংলাদেশই আমার শেষ ঠিকানা। আমার সন্তানদেরকে যদি হত্যা করা হয় তাহলেও আমি এই দেশের গণতন্ত্রের লড়াই সংগ্রাম থেকে পিছপা হবো না। উনি নিজের জীবন বাঁচিয়ে রেখে এদেশের মানুষের বিপদ-আপদে সবসময় পাশে ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদে হাসপাতালে কঠিন সময় পাস করছেন আপনারা মন থেকে ওনার জন্য দোয়া করবেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ধারণ করে এদেশের ছাত্র জনতা গণঅভ্যুত্থান করে মাধ্যমে এদেশকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। আগামী নির্বাচন ও বর্তমান সংকট সময়ে পার করছে দেশ।
দেশ-বিদেশি বিভিন্ন ষড়যন্ত্র থেকে এদেশের মুক্তির একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। যিনি এদেশের মানুষের ঐক্য ও ভালোবাসার প্রতীক। উনাকে সামনে রেখে বাংলাদেশের মানুষ আগাতে চায়। উনি যেন সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসে তার জন্য সবাই দোয়া করবেন।