‘ব্যাটসম্যান’ স্টার্কে ভোগান্তি ইংল্যান্ডের
Published: 6th, December 2025 GMT
ব্রিসবেনে দিবা–রাত্রির টেস্টে ৭৩ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৭৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। আজ তৃতীয় দিনে প্রথম সেশনে অস্ট্রেলিয়া দলীয় সংগ্রহ চার শ পেরিয়ে যাওয়ার পরই সম্ভবত এই টেস্টের ভাগ্য ঠিক হয়ে গেছে। কারণ গ্যাবার বাইশ গজে প্রথম ইনিংসে ন্যূনতম চার শ রান তোলার পর অস্ট্রেলিয়া সেখানে কখনো হারেনি।
আজ প্রথম সেশনে ২৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৭২ রান যোগ করেছে অস্ট্রেলিয়া। সব মিলিয়ে তৃতীয় দিন প্রথম সেশন পর্যন্ত নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৯৯ ওভারে ৮ উইকেটে ৪৫০ রান তুলেছে স্টিভেন স্মিথের দল। প্রথম ইনিংসেই ১১৭ রানের লিড নিয়েছে তারা।
আগের দিন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারি ও মাইকেল নেসেরের জুটি আজ প্রথম সেশনের খেলায় তৃতীয় ওভারে ভেঙেছে। ১৬ রান করা নেসেরকে ফেরান ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। গতকাল সপ্তম উইকেটে ৪৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়া দুজন আজ যোগ করতে পারেন মাত্র ৫ রান।
ইংল্যান্ডের পথের কাঁটা হয়ে আছেন স্টার্ক.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
২৫০ প্রজাতির বন্য প্রাণী হত্যা এখন জামিন অযোগ্য অপরাধ
এত দিন শুধু বাঘ ও হাতি হত্যার অপরাধে কেউ গ্রেপ্তার হলে জামিন পেতেন না, এখন আরও ২৪৮টি বন্য প্রাণী হত্যার অপরাধও হবে জামিন অযোগ্য।
হুমকির মুখে থাকা দেশের বন্য প্রাণী সুরক্ষার আইনে এই পরিবর্তন আসছে। গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদে ‘বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা অধ্যাদেশ’ অনুমোদন পায়।
নতুন আইনে সুরক্ষার আওতায় আনা হচ্ছে দেশের অধিকাংশ প্রজাতির বন্য প্রাণীকে। এ অধ্যাদেশে বন্য প্রাণীর আবাসস্থল টিকিয়ে রাখতে অনুকূল এমন ১০০ প্রজাতির গাছকেও সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
সন্দেহজনক বন অপরাধীদের পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তারের ক্ষমতাও পাচ্ছে বন কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বন্য প্রাণী সুরক্ষা ও কল্যাণে একটি ওয়াল্ডলাইফ ট্রাস্ট গঠনের বিধানও রাখা হয়েছে।
‘বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২’ এ সংস্কার করে অন্তর্বর্তী সরকার এই অধ্যাদেশ জারি করতে যাচ্ছে।
এই বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রথম আলোকে বলেন, অধ্যাদেশটি বন্য প্রাণী সংরক্ষণে একটি সুখবর। ইতিমধ্যে অর্থ বিভাগ থেকে নতুন বন্য প্রাণী উইংয়ের অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। আগের আইনে বন সংরক্ষণে সরকার ও বন বিভাগের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করা ছিল না। নতুন অধ্যাদেশে সেগুলো স্পষ্ট করা হয়েছে।
নতুন আইনে সুরক্ষার আওতায় আনা হচ্ছে দেশের অধিকাংশ প্রজাতির বন্য প্রাণীকে। অধ্যাদেশে বন্য প্রাণীর আবাসস্থল টিকিয়ে রাখতে অনুকূল এমন ১০০ প্রজাতির গাছকেও সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে।বন আইনে প্রথাগত বনবাসীর অধিকারকে সংরক্ষণ ও স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বন অধিদপ্তর বনের সীমানা চিহ্নিতকরণের কাজ করবে, যাতে বনভূমি নতুন করে বেদখল না হয়।
আগের আইনের মতো অধ্যাদেশে চারটি তফসিল থাকলেও নতুন অধ্যাদেশে তসফিল–১ কে ক, খ, গ এ তিন উপভাগে ভাগ করা হয়েছে। তফসিল–১ (ক) তে পরিবেশের সূচক (ফ্ল্যাগশিপ স্পেসিজ) হিসেবে বাঘ ও হাতিকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। তফসিল–১(খ)তে ২৫০ প্রজাতির বন্য প্রাণী সুরক্ষা পাবে।
বাংলাদেশে মাত্র পাঁচ প্রজাতির বন্য প্রাণী সংরক্ষিত বনে ভালো পরিবেশে এবং পর্যাপ্ত সংখ্যায় টিকে আছে