সিদ্ধিরগঞ্জে বাড়ি ঘর ভাংচুর, নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার লুট : মামলা
Published: 5th, December 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জোরপূর্বকভাবে বাড়ি ঘর ভাংচুর, স্বর্নালংকার ও নগদ অর্থ লুটের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিউলী বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও চার জনকে আসামি কওে বৃহস্পতিবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে গত বুধবার মিজমিজি দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এ ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনাটি ঘটে বলে মামলা সূত্রে জানা যায়।
মামলায় আসামিরা হলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ২ নং ওয়ার্ডের মিজমিজি দক্ষিণ পাড়া এলাকার মৃত একে এম নূরুল হকের ছেলে হাবিবুর রহমান (৫৫), মৃত ইউনুসের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৬), একে এম নূরুল হকের ছেলে মতিউর রহমান (৪০), আনিস (৩৮), মৃত ইউনুসের ছেলে আলী হোসেন (৩০), হেলা উদ্দিনের ছেলে ফাহিম (২৪), হাশেম মিয়া (৪৫), মৃত মোহর আলীর ছেলে আলমাছ (৬০), আলমাছের ছেলে সেকেন্দার আলী (৩২), হাসিব (২৩) ও সজিব হোসেন (২৪)।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি দক্ষিণ পাড়া মালেক মেম্বারের পুল এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা বেআইনিভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র, ধারালো ছোড়া, চাপাতি, রামদা ও লোহার পাইপ নিয়ে ভুক্তভোগীদের বাড়িতে অনাধিকারভাবে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
পরে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে আসামিরা বাড়িতে প্রবেশ করে ভুক্তভোগীর ঘর, ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও গরু বিক্রির নগদ দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় আসামিরা।
ভাংচুরের সময় আসামিদের বাধা দিলে আসামিরা ভুক্তভোগীসহ তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা খুন করে লাশ ঘুম করার হুমকি দেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
তবে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ হামলায় অংশ নেওয়া আসামিরা সকলেই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। মামলার দুই নম্বর আসামি সাইফুল ইসলাম সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের খালাতো ভাই।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনুর আলম জানান, ভাংচুরের ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবারের মতো স্বজনের মুখ দেখার সুযোগ দিল বিজিবি ও বিএসএফ
ভারতীয় এক নারী নাগরিকের মৃত্যুর পর তাঁর বাংলাদেশি আত্মীয়দের অনুরোধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তের শূন্যরেখায় লাশ দেখার সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আত্মীয়েরা শেষবারের মতো লাশ দেখার এমন সুযোগ পেয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া। তিনি বলেন, ‘মানবিক সেবা ও মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের মৌলিক দায়িত্বের অংশ, যা আমরা আন্তরিকভাবে পালন করি।’
আজ শুক্রবার বিজিবি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার কালিয়াচক থানার দুইছতরবিঘি গ্রামের বাসিন্দা ফনি বেগম (৭৫) বার্ধক্যের কারণে মারা যান। বিষয়টি জানার পর বাংলাদেশে বসবাসকারী তাঁর ভাই আতাউর রহমান ও স্বজনেরা শেষবারের মতো ফনি বেগমকে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এ জন্য বিজিবির সহযোগিতা চান। আবেদনের পরপরই বিজিবি বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে উভয় বাহিনীর সম্মতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আজ সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে ৮টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত কিরণগঞ্জ সীমান্ত ফাঁড়ির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ১৭৯/৩–এসের কাছে শূন্যরেখায় বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে ফনি বেগমের লাশ দেখার ব্যবস্থা করা হয়। আত্মীয়েরা শেষবারের মতো লাশ দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে বিজিবি ও বিএসএফের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।