হাটহাজারীতে বিয়ের সামাজিক বৈঠকে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা
Published: 6th, December 2025 GMT
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিয়ের সামাজিক বৈঠকে ছুরিকাঘাতে মো. রবিউল ইসলাম প্রকাশ বাবু (৩৭) নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরো দুইজন আহত হয়েছে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নস্থ মুছা সওদাগরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মনজুর কাদের ভুঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত বাবু মুছা সওদাগরের বাড়ির মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক কোম্পানির বড় ছেলে। তিনি নাজিরহাট ঘাট স্টেশন এলাকার একজন ব্যবসায়ী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে উল্লেখিত বাড়িতে একটি বিয়ের প্রস্তুতিমূলক সামাজিক বৈঠক (পানসল্লা) চলছিল। এসময় বৈঠকে বাবুর সাথে একই বাড়ির জসিমের (৪৮) সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে জসিম ঘর থেকে চাকু নিয়ে এনে বাবুর গলায় আঘাত করলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ঘটনাস্থলেই বাবুর মৃত্যু হয়।
ছুরিকাঘাতের সময় উপস্থিত বাবুর ভাই ইমরুল হোসেন বাচ্চু (৩৫) ও চাচাত ভাই ইমন (২১) বাবুকে উদ্ধার করতে গেলে ঘাতক জসিম তাদেরকেও চাকু দিয়ে আঘাত করে। আহত দুইজনকে নাজিরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ঘাতক জসিমকে স্থানীয় একটি হোটেলে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশকে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মনজুর কাদের ভুঁইয়া জানান, ঘটনার সাথে জড়িত জসিমকে আটক করা হয়েছে।
ঢাকা/রেজাউল/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফিনল্যান্ড: বরফের দেশে স্বাধীনতার উষ্ণতা
ডিসেম্বরের হাড়–কাঁপানো শীতে যখন পুরো উত্তর ইউরোপ বরফের চাদরে ঢাকা পড়ে, ঠিক তখনই স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশ ফিনল্যান্ডে জ্বলে ওঠে স্বাধীনতার এক উষ্ণ প্রদীপ। আজ ৬ ডিসেম্বর, ফিনল্যান্ডের স্বাধীনতা দিবস। ১৯১৭ সালের এই দিনটিতেই ফিনল্যান্ড তৎকালীন রুশ সাম্রাজ্য থেকে নিজেদের মুক্ত ঘোষণা করে এক স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল।
ফিনল্যান্ডের স্বাধীনতার গল্পটি বেশ নাটকীয়। শত বছর ধরে দেশটি কখনো সুইডেন, আবার কখনো রাশিয়ার শাসনাধীন ছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোল এবং রাশিয়ায় বলশেভিক বিপ্লবের অস্থিরতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ফিনল্যান্ড তাদের স্বাধীনতার ডাক দেয়। তবে এই স্বাধীনতা রক্ষা করা সহজ ছিল না। পরবর্তী সময়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে তাদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই, যা ‘উইন্টার ওয়ার’ নামে পরিচিত, তা বিশ্বকে দেখিয়েছিল ফিনিশীয়দের অদম্য সাহস। তাদের এই লড়াকু মানসিকতাকে তারা বলে ‘সিসু’—যার অর্থ হলো চরম প্রতিকূলতার মুখেও হাল না ছাড়ার মানসিকতা।
১৯১৭ সালের ফিনল্যান্ডের সিনেটের বৈঠক