দিনাজপুর বোর্ডে ১৩ বিদ্যালয়ের কেউ পাস করেনি
Published: 10th, July 2025 GMT
দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় প্রকাশিত ফলাফলে ১৩টি বিদ্যালয় থেকে কেউ পাস করেনি। এই ১৩ বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ৯৮ জন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মীর সাজ্জাদ আলীর পাঠানো পরিসংখ্যানে এই তথ্য জানা যায়।
বিদ্যালয়গুলো হলো- রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার রতনপুর উচ্চ বিদ্যালয়,পীরগঞ্জ উপজেলার ছোট উজিরপুর উচ্চবিদ্যালয়, গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গরিদাহা উচ্চ বিদ্যালয়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পূর্ব কুমারপুর উচ্চ বিদ্যালয়, নাগেশ্বরী উপজেলার পায়রাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়, পুলবাড়ী উপজেলার নাজার মামুদ উচ্চ বিদ্যালয়, লালমনিরহাট সদর উপজেলার পশ্চিম বড়ুয়া রোটারী উচ্চ বিদ্যালয়, দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার সাত কামার উচ্চ বিদ্যালয়, ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার সানুয়া উচ্চ বিদ্যালয়, জগন্নাথপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ডাবর ভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়।
আরো পড়ুন:
সাত শিক্ষকের ৫ পরীক্ষার্থী, তাও ৪ জন ফেল
এসএসসির ফল: বরিশাল বোর্ডে শীর্ষে পিরোজপুর জেলা
দিনাজপুর বোর্ড থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৪১০ জন শিক্ষার্থী। পাস করেছেন ১ লাখ ২২ হাজার ১৪৬ জন। ফেল করেছেন ৬০ হাজার ৮৮ জন। গড়ে পাসের হার ৬৭ দশমিক ০৩ শতাংশ। পাস না করা বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৩টি। শতভাগ পাস করা বিদ্যালয় ৪৮টি।
ঢাকা/আমিরুল/মোসলেম/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এসএসস উপজ ল র পর ক ষ প স কর
এছাড়াও পড়ুন:
এসএসসির ফল নিয়ে বগুড়া জিলা স্কুলে হট্টগোল
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে কেন্দ্র থেকে কম নম্বর দেওয়ার অভিযোগ তুলে হট্টগোল করেছেন ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেলে বগুড়া জিলা স্কুলে এই ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে মোট মান ৫০। এর জন্য কোনো লিখিত পরীক্ষা হয় না। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ব্যবহারিক কাজ, প্রজেক্ট তৈরি, উপস্থাপনা, বিতর্ক, কর্মশালা ইত্যাদি পর্যালোচনা করে স্কুল থেকে ২৫ নম্বর দেওয়া হয়। বাকি ২৫ নম্বর দেওয়া হয় কেন্দ্র থেকে। বগুড়া জিলা স্কুল কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া আট স্কুলের ৮৮৩ পরীক্ষার্থীর কেউ ২৫ নম্বরের বেশি পাননি। তবে এসব স্কুল থেকে দাবি করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের তারা পুরো ২৫ নম্বর দিয়েছেন।
অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, ২৫ নম্বর কম দেওয়ায় সামগ্রিকভাবে ফল খারাপ হয়েছে। তবে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বগুড়া জিলা স্কুল কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, কেন্দ্র থেকে সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে। কারিগরি ত্রুটির কারণে নম্বর বাদ পড়তে পারে।
আরো পড়ুন:
পরিবারহীন ১২ বন্ধুর এসএসসি জয়
পটুয়াখালীতে ৪ বিদ্যালয়ে পাস করেনি কেউ
যে আট স্কুলের শিক্ষার্থীরা বগুড়া জিলা স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন- বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, করনোশেন উচ্চ বিদ্যালয়, কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, সেন্ট্রাল উচ্চ বিদ্যালয়, বগুড়া পৌর উচ্চ বিদ্যালয়, ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল ও কলেজ, দারুল ইসলাম নৈশ স্কুল ও আলোর মেলা হাই স্কুল।
বগুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেলিমা নাসরিন বলেন, ‘‘কেন্দ্র থেকে শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ নম্বরই দেওয়া হয়েছে। এখন বোর্ড থেকে হোক বা আমাদের এখানে হোক কোনোভাবে ভুল হতে পারে। কিন্তু, আমরা কাউকে ইচ্ছে করে নম্বর কম দেইনি। তাহলে সবার কম আসত না।’’
সমাধানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আগামীকাল শুক্রবার অফিস বন্ধ। রবিবার আমরা বোর্ডে কথা বলি। তখন কোথায় ভুল হয়েছে দেখে সংশোধন করা যাবে। বিষয়টি অভিভাবকদের বুঝিয়ে বলা হয়েছে।’’
এ বিষয়ে বগুড়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফাইজুর রহমান বলেন, ‘‘এ বছর আমাদের স্কুল থেকে ২৫০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। সবাইকে ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে স্কুল থেকে ২৫ নম্বর দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র থেকে দেওয়া নম্বর যোগ হয়নি। ধারণা করছি, কারিগরি ত্রুটির কারণে এমনটি হয়েছে।’’
ঢাকা/এনাম/রাজীব