ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার রাজশাহী নগরের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রাজশাহী মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বুধবার এই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে দলের নীতি–আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের অভিযোগ আনা হয়েছে।

বহিষ্কৃত তবিবুর রহমান ওরফে সুমনের (৪০) বাড়ি রাজশাহী নগরের পঞ্চবটী এলাকায়। তিনি রাজশাহী মহানগরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মামুন-অর-রশিদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং দলের নীতি–আদর্শের পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নগরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য তবিবুর রহমানকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

জানতে চাইলে মামুন-অর-রশিদ বলেন, বহিষ্কারের ভাষা হিসেবে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের কথা বলা হয়েছে। আসলে তিনি বাঘা থানায় মাদকদ্রব্যসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন। সাংগঠনিক ব্যবস্থা হিসেবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

রাজশাহীর বাঘা থানা সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার বাঘা পৌর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তবিবুর রহমানকে ১০০টি ইয়াবা বড়ি, ২০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করা হয়। তাঁর সঙ্গে একই এলাকার মো.

সনেট নামের আরও এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করে পরের দিন আদালতে হাজির করা হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র সদস য নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ

দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।

এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।

শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।

সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ