‘আমাদের কোটি মানুষ দেখাবেন না, ওসব আমরা দেখেছি’
Published: 11th, July 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল কোটি কোটি মানুষের কথা বলে। আমরা দেখেছি, জুলাই অভ্যুত্থানে আপনাদের কত কোটি মানুষ আছে। অথচ আমাদের ডাকে আবাবিল পাখির মতো সব মানুষ রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছিল। আমাদের কোটি মানুষ দেখাবেন না, ওসব আমরা দেখেছি। ইনসাফ, ন্যায় থাকলে একজন মানুষও লাখো মানুষের সমান হয়ে উঠতে পারে।’
আজ শুক্রবার বিকেলে যশোর শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মোড়ে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে বাংলাদেশ আবার সেই অন্ধকারেই চলে যাবে। কিন্তু এনসিপি সেই অন্ধকার আসতে দেবে না। আমরা ইনসাফভিত্তিক ন্যায়ের অর্থনীতি ও বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি গড়ে তুলব।’
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘দেশের সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়া প্রতিষ্ঠান হলো নির্বাচন কমিশন। বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনে নিরপেক্ষ লোক নিয়োগ দিতে হবে। আমরা চাই, পুলিশ নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে। মেধা–যোগ্যতার ভিত্তিতে তাদের পদোন্নতি হবে। সেনাবাহিনী দেশের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করবে। আমরা চাই না, সেনাবাহিনী, ডিজিএফআইয়ের কোনো অফিসার গুমের সঙ্গে জড়িত থাকুক। আমরা ইনসাফভিত্তিক দায় ও দরদের রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চাই।’
এর আগে শহরের রেলগেট এলাকার মডেল মসজিদে জুমার নামাজ শেষে নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে পদযাত্রা শুরু হয়। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে রাজপথ মুখর হয়ে ওঠে। কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মোড়ে গিয়ে পদযাত্রা শেষ হয়। পরে সেখানে পথসভা হয়।
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সংগঠক আতাউল্লাহ প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন হ দ ইসল ম এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
শিশু জিনিয়ার হৃদ্যন্ত্রের ছিদ্রের চিকিৎসায় সহায়তা প্রয়োজন
মাত্র চার লাখ টাকায় সুস্থ হয়ে যেতে পারে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জিনিয়া আক্তার (১১)। চলতি বছরের শুরুতে তার হৃদ্যন্ত্রে ছিদ্র শনাক্ত হয়েছে। এ জন্য জরুরি অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। কিন্তু তার পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না।
জিনিয়া নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের কলমদার গ্রামের আবদুল জব্বারের মেয়ে। আবদুল জব্বার পেশায় গ্রাম পুলিশ।
আবদুল জব্বার বলেন, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া চার শতাংশ ভিটেবাড়িই তাঁর একমাত্র সম্বল। পরিবারে বৃদ্ধ বাবা, মা, স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। পরিবারে তিনিই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। গ্রাম পুলিশের চাকরি করে মাসে সাত হাজার টাকা বেতন পান। এই আয়ের ওপর নির্ভর করে কোনোরকমে চলে তাঁর সংসার।
এমন পরিস্থিতিতে মেয়ের জীবন বাঁচাতে দেশের হৃদয়বান মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন আবদুল জব্বার। জিনিয়ার জন্য সহায়তা পাঠানো যাবে আবদুল জব্বার, হিসাব নম্বর; ৫৩০৫৮৩৪১২৬৪২৩, সোনালী ব্যাংক, ডোমার শাখা, নীলফামারী। মুঠোফোন নম্বরে— 01774644253 (বিকাশ)।