চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন আগামীকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। আগামী রোববার নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ওরিয়েন্টেশনের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এবারের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান দুটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে সকাল ৯টায় পুরকৌশল, যন্ত্রকৌশল, পানিসম্পদ কৌশল, মেকাট্রনিকস ও শিল্প প্রকৌশল, পেট্রোলিয়াম ও মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যাটেরিয়ালস ও মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও স্থাপত্য বিভাগের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় ধাপে সকাল সাড়ে ১০টায় তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা, কম্পিউটারবিজ্ঞান ও কৌশল, জৈব চিকিৎসা কৌশল এবং ইলেকট্রনিকস ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি বিভাগের ওরিয়েন্টেশন শেষে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বিভাগের পরিচিতি সভায় যোগ দেবেন।

আরও পড়ুনবিল গেটস বৃত্তি, সুযোগ তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর৬ ঘণ্টা আগে

ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চুয়েটের উপাচার্য মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূঁইয়া ও সভাপতিত্ব করবেন ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো.

মাহবুবুল আলম। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদের ডিন উপস্থিত থাকবেন।

এ ছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের একই দিন বেলা আড়াইটায় নিজ নিজ আবাসিক হলে উপস্থিত হয়ে হলে ওঠার যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি চুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৯৩১টি আসনে শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন।

আরও পড়ুন২৪ জুলাইয়ের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত২২ জুলাই ২০২৫আরও পড়ুনজাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে তিনটি ডিপ্লোমা কোর্স, সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে২ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব শ বব দ য প রক শ

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ