অনেক দিন ধরেই বলিউড যাত্রা নিয়ে স্বপ্ন বুনে আসছিলেন আহান পান্ডে। যশরাজ ফিল্মসের হাত ধরে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে চাঙ্কি পান্ডের ভাতিজার। ‘সাইয়ারা’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দা কাঁপাচ্ছেন। বলা যায়, নবাগত আহান পান্ডে জ্বরে ভুগছেন হিন্দি সিনেমাপ্রেমীরা। বিশেষ করে জেন-জি পেয়েছেন নতুন নায়ক।

আহান পান্ডের অভিনয়ে মুগ্ধ হচ্ছেন দর্শক। এরই মাঝে তার প্রেম জীবন চর্চায় পরিণত হয়েছে। ছড়িয়েছে তার পুরাতন স্থিরচিত্র। একটি ছবিতে দেখা যায়, হাঁটু গেড়ে বসে অভিনেত্রী তারা সুতারিয়ার হাত ধরে আছেন আহান পান্ডে। এ জুটিকে দারুণ উচ্ছ্বাসে ভাসতে দেখা যায়। 

আহান-তারার ছবিটি বেশ আগের। নেটিজেনদের দাবি—“তখন তারা প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন।” যদিও এ সম্পর্কের কথা কখনো স্বীকার করেননি এই যুগল। পুরোনো সেই ছবি এখন নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। 

আরো পড়ুন:

তিশার সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ালেন খায়রুল বাসার

চলচ্চিত্রে তিশা, সঙ্গী ‘থ্রি ইডিয়টস’ তারকা যোশি

বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের কন্যা সুহানা খানের সঙ্গে তোলা আহান পান্ডের ছবি, ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। সেই ভিডিও নতুন করে ছড়িয়েছে। আলোচনায় রূপ নিয়েছে এ জুটির প্রেম। 

বলিউড লাইফ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অমিতাভ বচ্চনের নাতি অগস্ত্য নন্দার আগে আহান পান্ডেকে মন দিয়েছিলেন সুহানা খান। কিন্তু তাদের সম্পর্ক গাঢ় হওয়ার আগেই সুহানার মন জয় করে নেন অমিতাভের নাতি। গুঞ্জনে রয়েছে, অগস্ত্য নন্দার জন্যই সুহানার জীবন থেকে সরে যান আহান।

‘সাইয়ারা’ সিনেমা মুক্তির পর আহান পান্ডের নাম জড়িয়েছে অভিনেত্রী শ্রুতি চৌহানের সঙ্গে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রুতি একটি পোস্ট তাদের প্রেম নিয়ে চর্চা ঘনীভূত করেছে। নেটিজেনদের দাবি—“শ্রুতির সঙ্গে এখন সম্পর্কে রয়েছেন আহান পান্ডে।” 

শ্রুতি তার ইনস্টাগ্রামে লেখেন, “ছেলেটি সারাজীবন এই স্বপ্ন দেখেছিল। ছেলেটি এতে বিশ্বাস করেছিল, যখন অন্য কেউ তা করেনি। ছেলেটি এই মুহুর্তটির জন্য তার সর্বস্ব দিয়েছে। অন্য যে কারো চেয়ে সে এটির যোগ্য! এই মঞ্চটি তোমার আহান পান্ডে।”

ভালোবাসার কথা প্রকাশ করে শ্রুতি চৌহান লেখেন, “আমি তোমাকে ভালোবাসি আহান পান্ডে। আমি তোমার জন্য গর্বিত। আমি কাঁদছি, চিৎকার করছি, তোমার জন্য প্রার্থনা করছি, তোমার জন্য আরো অনেক কিছু আসবে। তুমি কী করতে পারো, পৃথিবী তা জানবে!”

আহান-শ্রুতির প্রেম নিয়ে যখন জোর চর্চা চলছে, তখনো নীরব এই জুটি। তবে আহান পান্ডের ঘনিষ্ট একটি সূত্র নিউজ১৮-কে বলেন—“এটি বাজে কথা। তবে তারা ভালো বন্ধু।”

গত ১৮ জুলাই মুক্তি পায় আহান-অনীতা অভিনীত ‘সাইয়ারা’ সিনেমা। রোমান্টিক-ড্রামা ঘরানার এ সিনেমা পরিচালনা করেছেন মোহিত সুরি। স্যাকনিল্কের তথ্য অনুসারে, মুক্তির ৭ দিনে সিনেমাটি আয় করেছে ২২০ কোটি রুপি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহ ন প ন ড র র জন য ন আহ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ