ইংল্যান্ডে ব্যাট হাতে দারুণ সময় কাটছে ভারত অধিনায়ক শুবমান গিলের। ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টের শেষ দিনে সেঞ্চুরি করে ম্যাচ ড্র করায় সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন। সিরিজে চতুর্থ সেঞ্চুরি পেয়ে এক সিরিজে অধিনায়কদের রেকর্ডে দুই কিংবদন্তি স্যার ডন ব্র্যাডম্যান ও সুনীল গাভাস্কারের পাশে বসেছেন গিল। চতুর্থ টেস্ট শেষে সিরিজে তাঁর রান ৭২২। ভারতের তৃতীয় ও সব দেশ মিলিয়ে ২৬তম খেলোয়াড় হিসেবে টেস্টে এক সিরিজে ৭০০ ছুঁলেন গিল।

ব্যাটসম্যানের সংখ্যা ২৬ হলেও ১৪৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এক সিরিজে কোনো ব্যাটসম্যানের ৭০০ বা এর বেশি রান করার ঘটনা ৩৬টি। একাধিক সিরিজে ৭০০+ রান করা ব্যাটসম্যানের সংখ্যাটা যে আট!  

ওয়েস্ট ইন্ডিজের এভারটন উইকস ও ব্রায়ান লারা, ভারতের সুনীল গাভাস্কার ও অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ দুবার সিরিজে ৭০০ বা এর বেশি রান করেছেন। সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার স্যার গারফিল্ড সোবার্স তিনবার ৭০০ পেরিয়েছেন টেস্ট সিরিজে। সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানের তকমাটা যাঁর জন্য বরাদ্দ, সেই স্যার ডন ব্র্যাডম্যান পাঁচবার ৭০০ পেরিয়েছেন টেস্টে।

টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এক সিরিজে ৭০০ বা এর বেশি রান করেন অবরে ফকনার। দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান ১৯১০-১১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে ৫ ম্যাচের ১০ ইনিংসে করেন ৭৩২ রান। ওই সিরিজে ২টি সেঞ্চুরি ও ৫টি ফিফটি করা ফকনারের সর্বোচ্চ ছিল ২০৪।

স্পোর্টস কুইজ: বাংলাদেশ ক্রিকেট দল সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছে কার নেতৃত্বে

১৪ বছর পর কিংবদন্তি ইংল্যান্ড ওপেনার হার্বার্ট সাটক্লিফ অ্যাশেজে ৭৩৪ রান করে ভাঙেন ফকনারের রেকর্ড। ১৯২৪-২৫ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই সিরিজে ৯ ইনিংসে ৪টি সেঞ্চুরি করেছিলেন সাটক্লিফ।

চার বছর পর আরেকটি অস্ট্রেলিয়া সফরে ৫ টেস্টের ৯ ইনিংসে ৪ সেঞ্চুরিতে ৯০৫ রান করে নতুন রেকর্ড গড়েন ইংলিশ ব্যাটসম্যান ওয়ালি হ্যামন্ড।

টেস্টে এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি রান স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব য টসম য ন র এক স র জ র ন কর র ৭০০

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তিসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বুধবার রাত দশটার দিকে প্রশাসনের পক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙানো হয়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও সিন্ডিকেট সদস্য বিলাল হোসাইন।

এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী জানুয়ারি থেকে আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বৃত্তির জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার কাজ শেষ করা হবে।

অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপন করা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়নে প্রশাসন কাজ করবে।

আরও পড়ুনতিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৪ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ১২ ঘণ্টা আগে

এ সময় অনশনে বসা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসন ভাতার জন্য প্রতিশ্রুত সময়ও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।

সতর্ক করে দিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যদি প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।

এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন চারজন শিক্ষার্থী। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়। অনশনে বসা চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বাগছাসের নেতা।

আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা, ভোট ২৭ নভেম্বর২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ