৭০০ রানের ক্লাবে গিল, ইতিহাসে মাত্র ২৬ জন
Published: 28th, July 2025 GMT
ইংল্যান্ডে ব্যাট হাতে দারুণ সময় কাটছে ভারত অধিনায়ক শুবমান গিলের। ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টের শেষ দিনে সেঞ্চুরি করে ম্যাচ ড্র করায় সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন। সিরিজে চতুর্থ সেঞ্চুরি পেয়ে এক সিরিজে অধিনায়কদের রেকর্ডে দুই কিংবদন্তি স্যার ডন ব্র্যাডম্যান ও সুনীল গাভাস্কারের পাশে বসেছেন গিল। চতুর্থ টেস্ট শেষে সিরিজে তাঁর রান ৭২২। ভারতের তৃতীয় ও সব দেশ মিলিয়ে ২৬তম খেলোয়াড় হিসেবে টেস্টে এক সিরিজে ৭০০ ছুঁলেন গিল।
ব্যাটসম্যানের সংখ্যা ২৬ হলেও ১৪৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এক সিরিজে কোনো ব্যাটসম্যানের ৭০০ বা এর বেশি রান করার ঘটনা ৩৬টি। একাধিক সিরিজে ৭০০+ রান করা ব্যাটসম্যানের সংখ্যাটা যে আট!
ওয়েস্ট ইন্ডিজের এভারটন উইকস ও ব্রায়ান লারা, ভারতের সুনীল গাভাস্কার ও অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ দুবার সিরিজে ৭০০ বা এর বেশি রান করেছেন। সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার স্যার গারফিল্ড সোবার্স তিনবার ৭০০ পেরিয়েছেন টেস্ট সিরিজে। সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানের তকমাটা যাঁর জন্য বরাদ্দ, সেই স্যার ডন ব্র্যাডম্যান পাঁচবার ৭০০ পেরিয়েছেন টেস্টে।
টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এক সিরিজে ৭০০ বা এর বেশি রান করেন অবরে ফকনার। দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান ১৯১০-১১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে ৫ ম্যাচের ১০ ইনিংসে করেন ৭৩২ রান। ওই সিরিজে ২টি সেঞ্চুরি ও ৫টি ফিফটি করা ফকনারের সর্বোচ্চ ছিল ২০৪।
স্পোর্টস কুইজ: বাংলাদেশ ক্রিকেট দল সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছে কার নেতৃত্বে১৪ বছর পর কিংবদন্তি ইংল্যান্ড ওপেনার হার্বার্ট সাটক্লিফ অ্যাশেজে ৭৩৪ রান করে ভাঙেন ফকনারের রেকর্ড। ১৯২৪-২৫ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই সিরিজে ৯ ইনিংসে ৪টি সেঞ্চুরি করেছিলেন সাটক্লিফ।
চার বছর পর আরেকটি অস্ট্রেলিয়া সফরে ৫ টেস্টের ৯ ইনিংসে ৪ সেঞ্চুরিতে ৯০৫ রান করে নতুন রেকর্ড গড়েন ইংলিশ ব্যাটসম্যান ওয়ালি হ্যামন্ড।
টেস্টে এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি রান স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব য টসম য ন র এক স র জ র ন কর র ৭০০
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫