দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা নিয়ে এবার মুখ খুললেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকে আগের মতো নিয়মিত না হলেও, সোশ্যাল মিডিয়ায় সবসময়ই সরব ফারিয়া— বিশেষ করে বিতর্কিত ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে। এবার এক আবেগঘন ফেসবুক পোস্টে রাষ্ট্রের নানা অনিয়ম, দলীয় ভেদাভেদ আর সাধারণ মানুষের অসহায় অবস্থান তুলে ধরলেন তিনি।

শনিবার ফেসবুক পোস্টে আক্ষেপ প্রকাশ করে শবনম ফারিয়া লিখেছেন, “এমন এক দেশে জন্ম, কার কাছে বিচার দেবো, জানি না। এক পার্টির বড়রা টাকা মেরে ভাগছে, ছোটরা অনলাইনে জুলাইকে অপমান করে সেই শোক কমায়। আর বাকিরা চাঁদাবাজি/ডোনেশন/হাদিয়া নিয়ে কামড়া-কামড়ি করে পারাপারের রাস্তা ঠিকঠাক করে!”

নিজেকে সাধারণ জনগণের প্রতিনিধি উল্লেখ করে শবনম ফারিয়া আরও লেখেন, “মাঝখানে আমরা সাধারণ মানুষ, নীরব দর্শক হয়ে রঙিন তামাশা দেখি।”

আক্ষেপ করে তিনি বলেন, “কিছু বললেই এক পক্ষ বলে, ‘ডলার খেয়েছেন, লাল স্বাধীনতা কেমন লাগে?’ আর অন্য পক্ষ বলে, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর! ১৬ বছর কিছু বলেননি কেন! এই সবুজ পাসপোর্টে কেউ ভিসাও দিচ্ছে না! কই যাবো আমরা?”

শেষে দেশের ভবিষ্যৎ ও রাজনীতি প্রসঙ্গে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা জানিয়ে তিনি লেখেন, “হে আল্লাহ, রাজনীতি নামক এই অভিশাপ থেকে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে রক্ষা করো। আমিন।”

ঢাকা/রাহাত//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের একটি ধারা প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। ধারাটিতে অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা উল্লেখ রয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।

২০১৭ সালে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনের ১৮ ধারায় অপরাধ আমলে নেওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ধারাটি বলছে, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অভিযোগ করা না হলে আদালত ওই অপরাধ আমলে গ্রহণ করবে না।

ওই ধারার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত মাসের শেষ দিকে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।

রুলে অপরাধের অভিযোগ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা আরোপ–সংক্রান্ত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৮ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রুলের বিষয়টি জানিয়ে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষে বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এসেছে। আইনের ১৮ ধারায় সময়সীমা উল্লেখ করে দুই বছরের মধ্যে মামলা না করতে পারলে কোনো আদালত অপরাধ আমলে গ্রহণ করতে পারবে না বলা হয়েছে। অর্থাৎ বিচার করতে পারবে না। যে মেয়েটির ১১–১২ বছরে বিয়ে হয় তারপক্ষে দুই বছরের মধ্যে মামলা করা সব সময় সম্ভব না–ও হতে পারে। তখন সে নিজেই শিশু। দুই বছর পর আদালত বিচার করতে পারবে না এবং সময়সীমা আইনে বেঁধে দেওয়া সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী—এমন সব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ