মসজিদে জোহরের নামাজ আদায় করতে গিয়ে নিখোঁজ জোবায়েরের খোঁজ মেলেনি দুই মাসেও। পুত্রশোকে পাগল প্রায় জোবায়েরের মা। থানায় জিডি করেও সন্ধান মেলেনি সন্তানের। তাই সমাজের সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন নিখোঁজ সন্তানকে ফিরে পেতে।

নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন ভূইয়াপাড়া আলসাবাহ এলাকার মোঃ মোক্তার হোসেন এর বড় ছেলে মোঃ জুবায়ের (২৫) গত ১২ মে তারিখে বাসা থেকে জোহর নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদের উদ্দেশ্যে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না।

জোবায়ের মানসিক ভাবে অসুস্থ থাকার কারণে প্রায় ৪ মাস যাবৎ চিকিৎসাধীন ছিলো। সে মাঝে মাঝেই ১-২ দিন বাড়ির বাইরে থাকতো, খোঁজাখুঁজি করে তাকে বাসায় ফিরিয়ে আনা হতো। কিন্তু এবার যুবায়ের নিখোঁজ হওয়ার পর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

এই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় জোবায়েরের পিতা মোক্তার হোসেন একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি জোবায়েরের সন্ধান পেলে ০১৯১৩৪৫৬৫২৩ এই মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

সৌদি আরবে ফেরা হলো না তিন বন্ধুর

তিন বন্ধু লোকমান হোসেন, তুহিন হাসান ও সুমন হোসেন। তিনজনই সৌদিপ্রবাসী। ছুটিতে দেশে এসেছিলেন। ছুটি শেষ করে ১০-১৫ দিনের মধ্যেই বিদেশে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। রোববার বিকেলে তিন বন্ধু একই মোটরসাইকেলে বেড়াতে বের হন। সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন তিনজনই। আর প্রবাসে ফেরা হলো না তাঁদের।

বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রামপুর এলাকায় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর সিএনজিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় ওই তিন বন্ধুসহ পাঁচজন নিহত হন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বাড়িউড়া গ্রামের সুমন হোসেন (২৮), সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের মৈন্দ গ্রামের তুহিন হাসান (২৮) ও একই গ্রামের লোকমান হোসেন (২৯) এবং আরেক মোটরসাইকেলের আরোহী বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের সাতগাঁও গ্রামের হোসেন আকরাম এবং আকরামের মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা রংপুরের খামার মোহনা গ্রামের মো. মনিরুজ্জামান (৩৫)।

প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় লোকজন ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সরাইল উপজেলার বাড়িউড়া থেকে রোববার বিকেলে একটি মোটরসাইকেলে তিন বন্ধু সুমন, লোকমান ও তুহিন ঢাকা–সিলেট মহাসড়ক দিয়ে বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরার উদ্দেশে বেড়াতে বের হন। সুমন মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। অন্যদিকে বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা থেকে একটি মোটরসাইকেলে সরাইল বিশ্বরোডের উদ্দেশে রওনা হন আকরাম হোসেন ও মো. মনিরুজ্জামান। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার রামপুরা এলাকায় তিন বন্ধুর মোটরসাইকেলের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা আকরামের মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। একই সময় সরাইল বিশ্বরোড মোড় থেকে ছেড়ে আসা হবিগঞ্জের মাধবপুরগামী একটি অটোরিকশা পেছন থেকে মোটরসাইকেল দুটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ওই পাঁচজন নিহত হন। দুর্ঘটনায় আহত হন দুজন।

খবর পেয়ে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধার করে।

সরাইল বাড়িউড়া গ্রামের লোকজন জানান, লোকমান, সুমন ও তুহিন কয়েক মাস আগে ছুটিতে দেশে এসেছিলেন। ১৭ দিন আগে সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের টিঘর গ্রামে লোকমান বিয়ে করেছিলেন। ১০-১৫ দিনের মধ্যে তিনজনেরই সৌদি আরবে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।

খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অটোরিকশার চালক ও যাত্রীকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ