৬০০ বছর পর অগ্ন্যুৎপাত, ৬ কিলোমিটার উঁচু ছাইয়ের কুণ্ডলী
Published: 3rd, August 2025 GMT
রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে একটি আগ্নেয়গিরিতে ৬০০ বছর পর অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। রোববার ক্রাশেনিনিকভ নামের আগ্নেয়গিরিটিতে অগ্ন্যুৎপাতের কারণে তৈরি হয় ছয় কিলোমিটার উঁচু ছাইয়ের কুণ্ডুলী।
গত সপ্তাহে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে। বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, ভূমিকম্পের প্রভাবে ৬০০ বছর পর প্রথমবারের মতো ক্রাশেনিনিকভ আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটল।
ক্রাশেনিনিকভ আগ্নেয়গিরির অবস্থান কামস্কটকা উপদ্বীপে। সেখানে এটিসহ বেশ কিছু আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এসব আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত হলে তা মোকাবিলার জন্য বিশেষ একটি সংস্থা রয়েছে। সেটির কামস্কাটকা ভলকানিক ইরাপশন টিম। সংস্থাটির প্রধান ওলগা গিরিনা রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আরআইএকে বলেন, ‘৬০০ বছর পর ক্রাশেনিনিকভ আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছে। ইতিহাসে প্রথমবার প্রমাণিত অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা এটি।’
কামস্কটকা উপদ্বীপে গত বুধবার ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ১৯৫২ সালের পর ওই অঞ্চলে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প এটি। ভূমিকম্পটি এত শক্তিশালী ছিল যে ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া থেকে চিলি পর্যন্ত সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। ভূমিকম্পের পরপরই কামস্কটকায় সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ক্লুচেভস্কয়েতে অগ্ন্যুৎপাত হয়। ওলগা গিরিনার মতে, ক্রাশেনিনিকভে অগ্ন্যুৎপাতের পেছনেও কারণ ছিল ভূমিকম্পের প্রভাব।
রাশিয়ার জরুরি সেবাবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছে, ক্রাশেনিনিকভ আগ্নেয়গিরির উচ্চতা ১ হাজার ৮৫৬ মিটার। গতকাল অগ্ন্যুৎপাতের পর সেখানে সর্বোচ্চ ছয় কিলোমিটার উঁচুতে ছাই উড়তে দেখা যায়। ছাইয়ের কুণ্ডুলী পূর্ব দিকে প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে যাচ্ছিল। তবে আশপাশে কোনো জনবসতি না থাকায় আশঙ্কার কিছু নেই।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভ ম কম প
এছাড়াও পড়ুন:
৪ ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে মাইক্রোসফট
প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পর প্রথমবারের মতো চার ট্রিলিয়ন (১ ট্রিলিয়ন = ১০০০ বিলিয়ন) ডলারের বাজারমূল্যে পৌঁছেছে মাইক্রোসফট। গতকাল শুক্রবার কোম্পানিটির শেয়ারের দরের ঊর্ধ্বগতিতে এই মাইলফলকে পৌঁছায় বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি। চলতি মাসের শুরুতে প্রথমবারের মতো চার ট্রিলিয়ন ডলার বাজারমূল্য স্পর্শ করে চিপ নির্মাতা এনভিডিয়া। মাইক্রোসফট এখন সেই ক্লাবের দ্বিতীয় সদস্য।
গত বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ২০২৫ অর্থবছরে আজুর থেকে আয় হয়েছে ৭ হাজার ৫০০ ডলারের বেশি। এই ঘোষণা আসার পরপরই মাইক্রোসফটের শেয়ারের দাম বাড়তে শুরু করে। গতকাল লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম প্রায় ৪ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে মাইক্রোসফট চার ট্রিলিয়ন ডলারের বাজারমূল্য ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
গত এক দশকে ক্লাউড কম্পিউটিং খাতে বিপুল বিনিয়োগ করেছে মাইক্রোসফট। এরই ফল আজুরের এই সাফল্য। রাজস্বের দিক দিয়ে আজুর এখন গুগল ক্লাউডকে ছাড়িয়ে গেছে। যদিও এখনো অ্যামাজনের ওয়েব সার্ভিসেসের (এডব্লিউএস) পরেই অবস্থান করছে। আজুর এখন মাইক্রোসফটের প্রায় সব খাতে কার্যকরভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। চ্যাটজিপিটিসহ বিভিন্ন এআই প্রকল্প, অফিস সফটওয়্যার, উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম, গেমিং প্ল্যাটফর্ম এক্সবক্সসহ নানা সেবার পেছনে রয়েছে এই ক্লাউড অবকাঠামো।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও ভবিষ্যতের কম্পিউটিং প্রযুক্তির প্রয়োজন মেটাতে যে সক্ষমতা গড়ে তোলা দরকার, তাতে নিজেদেরকে অনেকটাই প্রস্তুত করে ফেলেছে মাইক্রোসফট। চলতি বছরের শুরুতে ১০০ বিলিয়ন ডলারের ‘স্টারগেট প্রকল্প’ নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সত্য নাদেলা সে সময় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছিলেন, ‘আমি আমার ৮০ বিলিয়নের জন্য প্রস্তুত।’
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা অ্যামি হুড জানিয়েছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক অবকাঠামো নির্মাণে পরবর্তী প্রান্তিকেই আরও ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে মাইক্রোসফটের। এই গতিতে বিনিয়োগ চলতে থাকলে ২০২৬ অর্থবছরে কেবল ক্লাউড ও এআই খাতেই কোম্পানিটির ব্যয় ১২ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
সূত্র: দ্য ভার্জ