জাপা নিষিদ্ধের দাবিতে বিজয়নগরে গণঅধিকার পরিষদের অবস্থান, থমথমে পরিস্থিতি
Published: 29th, August 2025 GMT
মশাল মিছিল নিয়ে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির অফিসের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। তারা মিছিল নিয়ে জাতীয় পার্টি অফিসে যেতে চাইলে পুলিশ মাঝখানে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে। গণঅধিকারের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের দায়ী করে দলটি নিষিদ্ধ এবং জিএম কাদেরসহ অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শ্লোগান দিচ্ছেন গণঅধিকার পরিষদের নেতারা। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
রাজধানীতে জাতীয় পার্টি-গণঅধিকার পরিষদ সংঘর্ষ
নুরু হাজি জাপার কো-চেয়ারম্যান, প্রেসিডিয়ামে আরো তিন নেতা
অন্যদিকে, পুলিশ ও সেনা সদস্যরা জাতীয় পার্টি অফিসের সামনে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। দলীয় অফিসে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদসহ নেতারা অবস্থান করছেন।
এর আগে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে দল দুটির নেতারা।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ এবং দলটির নেতাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পল্টন জিরো পয়েন্টে সমাবেশ ডাকে গণঅধিকার পরিষদ। খবর পেয়ে জাতীয় পার্টির কাকরাইল অফিসে দলের মহাসচিব ব্যারিষ্টার শামীম পাটোয়ারী, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, আলমগীর সিকদার লোটনসহ দলটির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অবস্থান নেয় কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে।গণঅধিকার পরিষদের সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে কাকরাইলে যাওয়ার পথে শ্লোগান পাল্টা শ্লোগানে জাতীয় পার্টি নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
রমনা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আতিকুল আলম খন্দকর সাংবাদিকদের জানান, সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
গণঅধিকার পরিষদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে তাৎক্ষণিক দলটির সভাপতি ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, “ছাত্রলীগ যুবলীগের ক্যাডারদের সঙ্গে ফাসিস্টের দোসর জিএম কাদেরের লোকজন বিনা উসকানিতে আমাদের মিছিলে হামলা চালিয়েছে। আমাদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন।”
অন্যদিকে এ ঘটনার জন্য গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছে জাতীয় পার্টি। দলটির নেতারা অভিযোগ করে বলেন, “গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা আগেও আমাদের ওপর হামলা করে। তারা আজকেও মিছিল নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমাদের ১০ থেকে ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।”
এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি দোলোয়ার জালালি জানিয়েছেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন ত কর ম অবস থ ন ক কর ই দল ট র
এছাড়াও পড়ুন:
হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় গেলেন নুর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি হাসপাতাল ছাড়েন।
আরো পড়ুন:
নুরের শর্ট টাইম মেমোরি লস হয়নি: ঢামেক পরিচালক
গণঅধিকারের সমাবেশে বিভিন্ন দলের নেতা: জাতীয় পার্টিকে দ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি জানিয়ে বলেন, “নুরুল হক নুরকে হাসপাতালের ভিআইপি কেবিন-১ থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। পরে বিকেল পোনে ৫টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি নিজ বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন।”
এর আগে গত ২৯ আগস্ট রাতে বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাকর্মীদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাত সোয়া ৯টার দিকে সংঘর্ষ হয়, এতে গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।
নুরুল হক নুরকে প্রথমে রাজধানীর ইসলামিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাত ১১টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি প্রায় ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ঢাকা/এসবি