দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তুলনায় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে খুলনার ছয়টি আসনে ভোটার বেড়েছে ৭৮ হাজার ৩৭২ জন। ভোটকেন্দ্র বেড়েছে ৪৭টি। কমেছে ৬৩৩টি বুথ।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) কর্তৃক প্রকাশিত খুলনার ছয়টি আসনের ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকায় এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রকাশিত খসড়া তালিকায় খুলনার ছয়টি আসনে ৮৪০টি কেন্দ্র এবং ৪ হাজার ৮৭টি ভোটকক্ষ রয়েছে। খুলনায় বর্তমানে ভোটার রয়েছেন ২০ লাখ ৭৮ হাজার ২৫৩ জন।

খুলনার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৬টি আসনে ভোটার ছিল ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৮৮১ জন। এ বছর ভোটার রয়েছেন ২০ লাখ ৭৮ হাজার ২৫৩ জন। ৮৪০টি ভোটকেন্দ্র এবং ৪ হাজার ৮৭টি ভোট কক্ষ রয়েছে। গেল নির্বাচনে ৭৯৩টি ভোটকেন্দ্র এবং ৪ হাজার ৭২০টি ভোট কক্ষ ছিল। বুথ কমেছে ৬৩৩টি।

খুলনা-১ আসনে এবার ভোটার ৩ লাখ ৩ হাজার ৫৪২ জন। বটিয়াঘাটা ও দাকোপ উপজেলার ১১৯টি ভোটকেন্দ্র এবং ৬৩৭টি বুথে তারা ভোট দেবেন।

খুলনা-২ আসনে এবার ভোটার ৩ লাখ ৩১ হাজার ৯৯৫ জন। খুলনা নগরীর সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা নিয়ে গঠিত এই আসনে ১৫৭টি ভোটকেন্দ্র এবং ৬৫৪টি বুথ রয়েছে।

খুলনা-৩ আসনে এবার ভোটার ২ লাখ ৫২ হাজার ২৮৬ জন। খালিশপুর, দৌলতপুর ও খানজাহান আলী থানা এলাকা নিয়ে গঠিত আসনটিতে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১১৫টি। এবার ভোট কক্ষ থাকবে ৪৯৭টি।

খুলনা-৪ আসনে ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৯৯৩ জন। রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৪৪টি এবং ভোট কক্ষ রয়েছে ৭১৯টি।

ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলা এবং গিলাতলা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত খুলনা-৫ আসন। এই আসনে ভোটার ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৭০৩ জন। ভোটকেন্দ্র ১৫০টি এবং বুথ থাকবে ৭৮২টি।

কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনার সবচেয়ে বড় সংসদীয় আসন খুলনা-৬। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ১৮ হাজার ৭৩৪ জন। ভোটকেন্দ্র ১৫৫টি। ভোট কক্ষ রয়েছে ৭৯৮টি।

খুলনার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ জানান, খুলনার ছয়টি আসনের খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকার উপর দাবি/আপত্তি গ্রহণের শেষ দিন, ১২ অক্টোবর দাবি/আপত্তি নিষ্পত্তি ও ২০ অক্টোবর খসড়া ভোটকেন্দ্রের সম্ভাব্য তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। 

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ টক ন দ র র ৭৮ হ জ র র খসড় উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ

দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।

এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।

শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।

সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ