ফেনীর ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী থেকে গরু চুরি করে পালানোর সময় চোর চক্রের ছয় সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-৭)। সেসময় তাদের ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যান থেকে চারটি গরু উদ্ধার করা হয় এবং গাড়িটি জব্দ করা হয়।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র‍্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) এ আর এম মোজাফফর হোসেন।

গ্রেপ্তার ছয় জন হলেন- চৌদ্দগ্রামের গাংরা এলাকার জামান হোমেন মানিক (৫০), দক্ষিণ লাটিমির মো.

আরিফুল ইসলাম (৩২), মো. ইয়াসিন (৪৬), সোনাগাজীর চরচান্দিয়া এলাকার আব্দুল কাদের (৩৭), চর খোয়াজ গ্রামের মো. হারুন (৩৫) ও ফুলগাজীর শ্রীপুরের মো. সুলতান আহম্মদ (২৬)।

র‍্যাব জানায়, শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাবের একটি আভিযানিক দল মোহাম্মদ আলী বাজারের রনি রেস্টুরেন্টের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে। সেসময় সন্দেহজনক একটি পিকআপকে থামার সংকেত দিলে চালক দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে। পরে র‍্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে পিকআপ ভ্যানটি আটক করে। সেসময় পিকআপে থাকা ছয় জনকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ব্যাপারে র‍্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) এ আর এম মোজাফফর হোসেন বলেন, “গ্রেপ্তার আসামিরা গরু চুরির পাশাপাশি একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী থেকে গরু চুরির কথা স্বীকার করেছে। উদ্ধারকৃত গরু ও জব্দকৃত গাড়িসহ আসামিদের পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”

ঢাকা/সাহাব উদ্দিন/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ

দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।

এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।

শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।

সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ