যাত্রা শুরু করল ‘ডিরেকশন ফর ক্যামেরা’
Published: 15th, September 2025 GMT
বাংলাদেশের তরুণ ও উদীয়মান চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী এবং সৃজনশীল কর্মীদের ক্ষমতায়ন ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল ‘ডিরেকশন ফর ক্যামেরা’ (ডিএফসি)।
২০২৫ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু করা এই প্রতিষ্ঠান চলচ্চিত্র জগতের বৈচিত্র্যকে তুলে ধরতে এবং নতুন প্রজন্মকে সৃজনশীলতায় অনুপ্রাণিত করতে কাজ করবে।
আরো পড়ুন:
সিজেএফবি পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা
ফারুকীর রহস্যঘেরা ওয়েব সিরিজ ‘৮৪০’ ওটিটিতে
ডিএফসির উদ্যোগে থাকছে—চলচ্চিত্র কর্মশালা ও মাস্টারক্লাস, পডকাস্ট ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, প্রযোজনা–বিষয়ক ইভেন্ট, আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশগ্রহণের সুযোগ, ৭২ ঘণ্টার ফিল্ম চ্যালেঞ্জ। এসব আয়োজনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম চলচ্চিত্র–সংক্রান্ত কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে।
ডিএফসির প্রতিষ্ঠাতা মেহেদী হাসান শাওনের তত্ত্বাবধানে Hollywood Guild, CFA এবং S2S Productions LA LLC বাংলাদেশি নির্মাতাদের বিশ্ব চলচ্চিত্র অঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত করতে সহযোগিতা করবে। ডিএফসি তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে, যেখানে থাকবে-আন্তর্জাতিক পেশাদারদের সঙ্গে সংযোগ, মেন্টরশিপ ও প্রযোজনামূলক সহায়তা, সৃজনশীল করপোরেট অংশীদারিত্ব, তরুণ নির্মাতাদের হাত ধরেই বাংলাদেশে বহুমাত্রিক ও সমৃদ্ধ চলচ্চিত্র জগৎ গড়ে উঠবে।
ইতিমধ্যেই অনলাইনে প্রি-রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। চলচ্চিত্র–সংক্রান্ত কাজে আগ্রহীরা সদস্য হতে পারবেন। শুধু সদস্যদের জন্য থাকবে কর্মশালা, প্রতিযোগিতা ও বিশেষ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ। নিবন্ধন করতে ক্লিক করুন।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চলচ চ ত র ড এফস
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫