ইরানের জন্য আরও খারাপ দিন আসছে
Published: 20th, September 2025 GMT
মাত্র তিন মাস আগে ইসরায়েল ও ইরানের ১২ দিনের যুদ্ধে পুরো মধ্যপ্রাচ্য কেঁপে ওঠে। দুই দিক থেকেই ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছোড়া হয়।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় খুব দ্রুতই ইসরায়েল ইরানের আকাশসীমায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে এবং ইরানের বিভিন্ন পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় বারবার আঘাত হানে। ইরানের ৩০ জন সামরিক কমান্ডার ও ১৯ জন পারমাণুবিজ্ঞানীকে হত্যা করে। ইরানের পাল্টা হামলা ভবিষ্যতে ইসরায়েলকে নিরুৎসাহিত করার মতো ফল আনতে পারেনি।
ইসরায়েল-ইরানের মধ্যে আবার যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা কম। যদিও ধারণা করা হয় যে ইরানের কাছে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত আছে এবং সমৃদ্ধকরণ সক্ষমতা আবারও চালু করার সক্ষমতাও আছে। কিন্তু ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ বোমাবর্ষণের কারণে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রকল্প কয়েক বছর পিছিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন২৫০০ বছরের পুরোনো দুশমনি: ইসরায়েল কি ‘মরদখাই’? ইরান কি ‘হামান’?১৭ জুন ২০২৫ইরানের অভ্যন্তরে সরাসরি হামলাকে ইসরায়েল স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত করেছে এবং ইরানের শাসকগোষ্ঠীর বড় ধরনের ক্ষতি করার সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। ইরান যদি তার পারমাণু কর্মসূচি আবার চালু করে, তাহলে ইসরায়েল ‘নির্দিষ্ট লক্ষ্যে’ সীমিত ধরনের অভিযান চালাতে পারে। ইরানের প্রতিরক্ষাকে দুর্বল করে দেওয়ার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার ও বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় হামলা চালাতে পারে।
ইরান আরেকটা যুদ্ধ সামলানোর অবস্থায় নেই। ইসরায়েল আবার হামলা চালালে ইরান পাল্টা আঘাত হানবে বটে, তবে সেই প্রতিক্রিয়া হবে খুব হিসাবি, যাতে সংঘাত বিপজ্জনক মাত্রায় না পৌঁছায়, কেননা বড় সংঘাত ইরানের পক্ষে সামাল দেওয়া কঠিন।
১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান অনেক ঝড় সামলেছে। হয়তো সামনে দেশটি আরও ঝড় সামলাতে পারবে। ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের পর টিকে থাকাকেই বিজয় হিসেবে দেখাতে জোর চেষ্টা করেছে তেহরান। কিন্তু ইরানের সংকট বেড়েই চলেছে।ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত একটি অ্যাম্বুলেন্সের পাশে ইরানের পতাকা ধরে আছেন এক ব্যক্তি। তেহরান, ইরান, ২৩ জুন ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ১.০৪ শতাংশ
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (১৪ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে। আলোচ্য এ সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ১.০৪ শতাংশ।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১০.৬১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৫০ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ০.১১ পয়েন্ট বা ১.০৪ শতাংশ।
এর আগের সপ্তাহের (৭ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর) পিই রেশিও ছিল ১০.৭৩ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৬১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ০.১২ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ।
খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে- জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৬.২৯ পয়েন্টে, ব্যাংক খাতে ৬.৯০ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১১.১৪ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১১.৩৮ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ১১.৬১ পয়েন্ট, টেক্সটাইল খাতে ১২.১১ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ১২.২৪ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৯৮ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১৩.৫৪ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৪.৮০ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ১৬.৬০ পয়েন্টে, আইটি খাতে ১৭.৬৯ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৯.৭১ পয়েন্ট, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ২০.৬৮ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ২১.০৪ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ২৫.৯২ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২৯.২৯ পয়েন্টে, পাট খাতে ৩১.৮৮ পয়েন্টে এবং সিরামিক খাতে ৫৮.৪৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ঢাকা/এনটি/এস