ঢাকায় চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী নেতা, অবাক এলাকাবাসী
Published: 1st, October 2025 GMT
ঢাকায় চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী নেতা, অবাক এলাকাবাসী
অরিজিনাল অথর: এ বি এম মিজানুর রহমান
জেলা বাংলাদেশ
ট্যাগ: পটুয়াখালী, বাউফল, চাঁদাবাজি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বরিশাল বিভাগ
ছবি:
আরও পড়ুন:
>> থানা থেকে হান্নান মাসউদের ছাড়িয়ে নেওয়া সেই সাইফুলসহ ৪ জন চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার
>> বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দিল অব্যাহতি, থানা থেকে ছাড়া হলো হান্নান মাসউদের জিম্মায়
একসার্প্ট:
মেটা: এ ঘটনায় হতভম্ব তাঁর প্রতিবেশীসহ এলাকাবাসী।
ঢাকায় চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী নেতা, অবাক এলাকাবাসী
প্রতিনিধি,
রাজধানীর একটি হাসপাতালে চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোহাম্মদপুর থানার সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ওরফে রাব্বি (২৮)। পরিবারের অভাব-অনটনের কারণে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার পর তিনি ঢাকায় চলে আসেন। পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে মোহাম্মদপুরের নেতা বনে যান। এ ঘটনায় হতভম্ব তাঁর প্রতিবেশীসহ এলাকাবাসী।
সাইফুল ইসলাম পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া গ্রামের সোহরাব হোসেনের (৬০) ছেলে। বাবা পেশায় একজন শ্রমিক। পাশাপাশি অন্যের গবাদিপশু দেখাশোনা করেন। স্থানীয় লোকজন বলছেন, সাইফুলের বাবা সহজ-সরল মানুষ। তিনি শ্রমিকের কাজ করেন। থাকেন অন্যের জমিতে একটি জরাজীর্ণ টিনের ঘরে। সাইফুল বেশি একটা এলাকায় না থাকলেও খারাপ হিসেবে জানতেন না। ঢাকায় যাওয়ার পর ‘সঙ্গদোষে খারাপ হয়েছে’ বলে তাঁরা মনে করেন।
ধানমন্ডিতে গত মে মাসে একজন প্রকাশকের বাসা ঘিরে মব সৃষ্টির ঘটনায় আটক হয়েছিলেন সাইফুল ইসলামসহ তিনজন। তখন থানায় গিয়ে নিজের জিম্মায় তাঁদের ছাড়িয়ে নিয়েছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ। এরপর গতকাল সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের ‘সেফ হাসপাতালে’ একটি মৃত শিশু জন্মগ্রহণকে কেন্দ্র করে সমন্বয়ক পরিচয়ে সাইফুলসহ কয়েকজন এসে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় হাসপাতালের মালিকের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সেনাবাহিনীকে ফোন করে জানায়। পরে সেনাসদস্যরা গিয়ে চারজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
সাইফুলের স্বজন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংসারের অভাব–অনটনের কারণে সাইফুল ছোটবেলা নানার বাড়ি দশমিনা উপজেলার আলীপুরা গ্রামে কাটে। সেখানকার একটি মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে সংসারের হাল ধরতে প্রায় এক যুগ আগে ঢাকায় গিয়ে পোশাকশ্রমিকের কাজ শুরু করেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মোহাম্মাদপুর এলাকায় অংশ নেন। পরে তিনি মোহাম্মদপুর থানা এলাকার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহ্বায়কের দায়িত্ব পান।
আরও পড়ুনহান্নান মাসউদের ছাড়িয়ে নেওয়া সাবেক সেই সমন্বয়কসহ ৪ জন রিমান্ডে১১ ঘণ্টা আগেসাইফুলের বাবা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘আমি শ্রমিকের কাজ করি। পাশাপাশি মানুষের ছাগল পালন করি। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। আমার স্ত্রীও অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য বসতভিটা বিক্রি করে চিকিৎসা খরচ চালিয়েছি। এখন থাকি অন্যের জমিতে টিনের একটা ছোট ঘর তুলে। ছেলে গার্মেন্টসে কাজ করে কোনো মাসে দুই হাজার, কোনো মাসে এক হাজার টাকা করে পাঠাত। ঋণ করে আমার চিকিৎসা চলে।’
স্থানীয় বাসিন্দা মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ ন ন ন ম সউদ র ম হ ম মদপ র এল ক ব স ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালী-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ
নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ি আংশিক) সংসদীয় আসনে বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমানের অনুসারী নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করেছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টায় সেনবাগ উপজেলার পরিষদ সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মশাল হাতে নিয়ে শত শত নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মশাল মিছিলটি সেনবাগ উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আরো পড়ুন:
জকসু নির্বাচন: ছাত্রদলের প্যানেলকে ‘ভাড়াটিয়া’ আখ্যা দিয়ে একাংশের বিক্ষোভ
বিচারকের ছেলে হত্যার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ
এ সময় নেতাকর্মীরা মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে স্লোগান দেন। বিক্ষোভকারীরা নোয়াখালী-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তন করে কাজী মফিজুর রহমান মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান।
গত ৩ নভেম্বর বিএনপির মনোনয়ন বোর্ড নোয়াখালী-২ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদীন ফারুককে প্রাথমিক মনোনয়ন দেয়।
মিছিল শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘‘জয়নুল আবদীন ফারুক কয়েকবার সংসদ সদস্য হয়েও সেনবাগে উন্নয়ন করেননি। দুর্দিনে নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়াননি। বিপরীতে কাজী মফিজুর রহমান নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। উন্নয়ন বঞ্চিত সেনবাগের মানুষ পরিবর্তন চান তিনি।’’
ঢাকা/সুজন/বকুল