ঢাকায় চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী নেতা, অবাক এলাকাবাসী
অরিজিনাল অথর: এ বি এম মিজানুর রহমান
জেলা বাংলাদেশ
ট্যাগ: পটুয়াখালী, বাউফল, চাঁদাবাজি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বরিশাল বিভাগ
ছবি:
আরও পড়ুন:
>> থানা থেকে হান্নান মাসউদের ছাড়িয়ে নেওয়া সেই সাইফুলসহ ৪ জন চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার
>> বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দিল অব্যাহতি, থানা থেকে ছাড়া হলো হান্নান মাসউদের জিম্মায়
একসার্প্ট:


মেটা: এ ঘটনায় হতভম্ব তাঁর প্রতিবেশীসহ এলাকাবাসী।
ঢাকায় চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী নেতা, অবাক এলাকাবাসী
প্রতিনিধি,

রাজধানীর একটি হাসপাতালে চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোহাম্মদপুর থানার সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ওরফে রাব্বি (২৮)। পরিবারের অভাব-অনটনের কারণে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার পর তিনি ঢাকায় চলে আসেন। পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে মোহাম্মদপুরের নেতা বনে যান। এ ঘটনায় হতভম্ব তাঁর প্রতিবেশীসহ এলাকাবাসী।

সাইফুল ইসলাম পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া গ্রামের সোহরাব হোসেনের (৬০) ছেলে। বাবা পেশায় একজন শ্রমিক। পাশাপাশি অন্যের গবাদিপশু দেখাশোনা করেন। স্থানীয় লোকজন বলছেন, সাইফুলের বাবা সহজ-সরল মানুষ। তিনি শ্রমিকের কাজ করেন। থাকেন অন্যের জমিতে একটি জরাজীর্ণ টিনের ঘরে। সাইফুল বেশি একটা এলাকায় না থাকলেও খারাপ হিসেবে জানতেন না। ঢাকায় যাওয়ার পর ‘সঙ্গদোষে খারাপ হয়েছে’ বলে তাঁরা মনে করেন।

ধানমন্ডিতে গত মে মাসে একজন প্রকাশকের বাসা ঘিরে মব সৃষ্টির ঘটনায় আটক হয়েছিলেন সাইফুল ইসলামসহ তিনজন। তখন থানায় গিয়ে নিজের জিম্মায় তাঁদের ছাড়িয়ে নিয়েছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ। এরপর গতকাল সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের ‘সেফ হাসপাতালে’ একটি মৃত শিশু জন্মগ্রহণকে কেন্দ্র করে সমন্বয়ক পরিচয়ে সাইফুলসহ কয়েকজন এসে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় হাসপাতালের মালিকের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সেনাবাহিনীকে ফোন করে জানায়। পরে সেনাসদস্যরা গিয়ে চারজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

সাইফুলের স্বজন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংসারের অভাব–অনটনের কারণে সাইফুল ছোটবেলা নানার বাড়ি দশমিনা উপজেলার আলীপুরা গ্রামে কাটে। সেখানকার একটি মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে সংসারের হাল ধরতে প্রায় এক যুগ আগে ঢাকায় গিয়ে পোশাকশ্রমিকের কাজ শুরু করেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মোহাম্মাদপুর এলাকায় অংশ নেন। পরে তিনি মোহাম্মদপুর থানা এলাকার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহ্বায়কের দায়িত্ব পান।

আরও পড়ুনহান্নান মাসউদের ছাড়িয়ে নেওয়া সাবেক সেই সমন্বয়কসহ ৪ জন রিমান্ডে১১ ঘণ্টা আগে

সাইফুলের বাবা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘আমি শ্রমিকের কাজ করি। পাশাপাশি মানুষের ছাগল পালন করি। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। আমার স্ত্রীও অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য বসতভিটা বিক্রি করে চিকিৎসা খরচ চালিয়েছি। এখন থাকি অন্যের জমিতে টিনের একটা ছোট ঘর তুলে। ছেলে গার্মেন্টসে কাজ করে কোনো মাসে দুই হাজার, কোনো মাসে এক হাজার টাকা করে পাঠাত। ঋণ করে আমার চিকিৎসা চলে।’

স্থানীয় বাসিন্দা মো.

হারুন (৪৫) বলেন, সাইফুল ঢাকায় পোশাকশ্রমিকের কাজ করতেন বলে জানতেন। পরে শুনেছেন, কোটা আন্দোলনের সময় আন্দোলন করে মোহাম্মদপুরের সমন্বয়ক হয়েছে। এখন শুনছেন চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে। গ্রামের ‘সহজ-সরল’ ছেলে ঢাকায় গিয়ে এমন কাজে জড়িয়ে যাবে, তা তাঁদের কাছে অবিশ্বাস্য। এ ঘটনায় তাঁরা অবাক হয়েছেন।

আরও পড়ুনবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দিল অব্যাহতি, থানা থেকে ছাড়া হলো হান্নান মাসউদের জিম্মায়২০ মে ২০২৫চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোহাম্মদপুর থানার সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ওরফে রাব্বির গ্রামের বাড়ি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া গ্রামে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ ন ন ন ম সউদ র ম হ ম মদপ র এল ক ব স ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ