ভুয়া অ্যাপে ঋণের প্রলোভন: বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কতা
Published: 7th, October 2025 GMT
বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইএমএফের নাম ব্যবহার করে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়েছে। কয়েকটি ভুয়া ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে এই জালিয়াতি চলছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সতর্ক করে বলেছে, এসব ওয়েবসাইটে ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। এগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক বা আইএমএফের কোনো সম্পর্ক নেই। এছাড়া, অনুমতি ছাড়া ঋণ দেওয়া বা বিনিয়োগ নেওয়াও আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভুয়া ওয়েবসাইট ও অ্যাপসে ঋণের প্রলোভন, সতর্ক করল বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নাম বা লোগো ব্যবহার করে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা অ্যাপস তৈরি করে ঋণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এসব ফাঁদে না পড়ার জন্য সতর্ক করেছে।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক সতর্কবার্তা দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এর সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক বা আইএমএফের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। জনসাধারণকে সতর্ক করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এর মাধ্যমে জনসাধারণ আর্থিক প্রতারণার শিকার হতে পারেন বা বিভিন্ন আইনগত ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। এ জন্য এসব ওয়েবসাইট বা অ্যাপসে নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বরসহ কোনো তথ্য না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের নাম কিংবা লোগো ব্যবহার করে https://dbbloan.com, https://bblloan.com ও https://www.bdloan71.com নামে ঋণ দেওয়া–সংক্রান্ত ভুয়া অ্যাপ ও ওয়েবসাইট চালানো হচ্ছে। যার সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক বা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই। এসব অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ, মোবাইল নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে জনসাধারণ আর্থিক প্রতারণার শিকার হতে পারে বা বিভিন্ন আইনগত ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। আর্থিক ক্ষতি ও আইনি ঝুঁকি এড়ানোর লক্ষ্যে সবাইকে এ–জাতীয় ভুয়া অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে যেকোনো ধরনের সংবেদনশীল তথ্য দেওয়া ও আর্থিক লেনদেন না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানিয়েছে, পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন, ২০২৪–এর ১৫ (২) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া জনসাধারণ থেকে বিনিয়োগ নেওয়া বা ঋণ দেওয়ার উদেশ্যে যেকোনো ধরনের অনলাইন বা অফলাইন প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করা একটি অপরাধ। এ জন্য কোনো ব্যক্তি ৫ বছর কারাদণ্ড বা ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এ ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিহারের জন্য সবাইকে নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।