কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়কে শুয়ে অবরোধ করেছেন সাবেক তিনবারের এমপি মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক শহীদুল ইসলামের সমর্থকরা।

রবিবার (২৩ নভেম্বর ) বিকেলে মিরপুর উপজেলার বহলবাড়ীয়া বাজারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কুষ্টিয়া-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে বহলবাড়ীয়া বাজার এলাকায় জড়ো হতে থাকেন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা মহাসড়ক অবরোধ করে এক ঘণ্টা মিছিল, স্লোগান ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে তারা সড়কের মাঝখানে শুয়ে প্রতিবাদ জানান।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, তৃণমূলের মর্যাদা যখন উপেক্ষিত হয়, তখন এ ভাবে রাস্তায় শুয়ে পড়া ছাড়া আর কোনো পথ থাকে না। তাদের অভিযোগ, এ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরীকে। তিনি রাজনীতির মাঠে নতুন। আইনজীবী পেশার কারণে বেশিরভাগ সময় তিনি ঢাকাতেই অবস্থান করেছেন। এ কারণে তৃণমূলের মধ্যে তার প্রতি ‘আস্থাহীনতা’ তৈরি হয়েছে বলে জানান নেতাকর্মীরা।

মাঠপর্যায়ের কর্মীরা দাবি করেন, সাবেক তিনবারের সংসদ সদস্য অধ্যাপক শহীদুল ইসলামকে উপেক্ষা করে অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে প্রার্থী দেওয়ায় সংগঠনে ভাঙন, কর্মীদের হতাশা ও নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই আসনে যারা বছরের পর বছর মামলা-হামলা মোকাবিলা করেছেন, লাঠির সামনে দাঁড়িয়েছেন, রাতের পর রাত ঘুমাতে পারেননি এমন সময় শহীদুল ইসলাম কর্মীদের আগলে রেখেছেন। 

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমরা যে নেতাকে চিনি, দলের পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন, সেই ত্যাগী নেতা শহীদুল ইসলামকে বাদ দিয়ে মনোনয়ন দিলে তৃণমূল কখনোই সেটা মেনে নেবে না। আমরা দল ভাঙতে চাই না, কিন্তু তৃণমূলের ঘাম, রক্ত, ত্যাগকে যদি মূল্যায়ন না করা হয়, তাহলে কর্মীরা হতাশ হবেন, ক্ষুব্ধ হবেন।’’

কর্মসূচি চলাকালে মহাসড়ক অবরোধ থাকায় কুষ্টিয়া-রাজশাহী সড়কে কয়েক কিলোমিটার যানজট তৈরি হয়। বিক্ষোভ শেষে নেতাকর্মীরা উল্লিখিত আসনে দ্রুত বর্তমান প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে শহীদুল ইসলামকে প্রার্থী ঘোষণা না করা হলে আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। 

এ সময় পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদ, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক বাবু, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আজাদুর রহমান আজাদ, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুলতান আলী, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি এমাদুল হক এমদাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/কাঞ্চন 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র কর ম র কর ছ ন উপজ ল য বদল অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে মহাসড়কে শুয়ে অবরোধ

কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়কে শুয়ে অবরোধ করেছেন সাবেক তিনবারের এমপি মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক শহীদুল ইসলামের সমর্থকরা।

রবিবার (২৩ নভেম্বর ) বিকেলে মিরপুর উপজেলার বহলবাড়ীয়া বাজারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কুষ্টিয়া-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে বহলবাড়ীয়া বাজার এলাকায় জড়ো হতে থাকেন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা মহাসড়ক অবরোধ করে এক ঘণ্টা মিছিল, স্লোগান ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে তারা সড়কের মাঝখানে শুয়ে প্রতিবাদ জানান।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, তৃণমূলের মর্যাদা যখন উপেক্ষিত হয়, তখন এ ভাবে রাস্তায় শুয়ে পড়া ছাড়া আর কোনো পথ থাকে না। তাদের অভিযোগ, এ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরীকে। তিনি রাজনীতির মাঠে নতুন। আইনজীবী পেশার কারণে বেশিরভাগ সময় তিনি ঢাকাতেই অবস্থান করেছেন। এ কারণে তৃণমূলের মধ্যে তার প্রতি ‘আস্থাহীনতা’ তৈরি হয়েছে বলে জানান নেতাকর্মীরা।

মাঠপর্যায়ের কর্মীরা দাবি করেন, সাবেক তিনবারের সংসদ সদস্য অধ্যাপক শহীদুল ইসলামকে উপেক্ষা করে অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে প্রার্থী দেওয়ায় সংগঠনে ভাঙন, কর্মীদের হতাশা ও নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই আসনে যারা বছরের পর বছর মামলা-হামলা মোকাবিলা করেছেন, লাঠির সামনে দাঁড়িয়েছেন, রাতের পর রাত ঘুমাতে পারেননি এমন সময় শহীদুল ইসলাম কর্মীদের আগলে রেখেছেন। 

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমরা যে নেতাকে চিনি, দলের পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন, সেই ত্যাগী নেতা শহীদুল ইসলামকে বাদ দিয়ে মনোনয়ন দিলে তৃণমূল কখনোই সেটা মেনে নেবে না। আমরা দল ভাঙতে চাই না, কিন্তু তৃণমূলের ঘাম, রক্ত, ত্যাগকে যদি মূল্যায়ন না করা হয়, তাহলে কর্মীরা হতাশ হবেন, ক্ষুব্ধ হবেন।’’

কর্মসূচি চলাকালে মহাসড়ক অবরোধ থাকায় কুষ্টিয়া-রাজশাহী সড়কে কয়েক কিলোমিটার যানজট তৈরি হয়। বিক্ষোভ শেষে নেতাকর্মীরা উল্লিখিত আসনে দ্রুত বর্তমান প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে শহীদুল ইসলামকে প্রার্থী ঘোষণা না করা হলে আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। 

এ সময় পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদ, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক বাবু, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আজাদুর রহমান আজাদ, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুলতান আলী, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি এমাদুল হক এমদাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/কাঞ্চন 

সম্পর্কিত নিবন্ধ