মজলুম জালিম হচ্ছে, ফ্যাসিবাদবিরোধীরা ফ্যাসিবাদী হচ্ছে: উপদেষ্টা মাহফুজ আলম
Published: 23rd, November 2025 GMT
সমাজ–রাষ্ট্রে চিন্তা ও আচারের বৈচিত্র্যকে বাধাগ্রস্ত করলে ফ্যাসিবাদ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে এবং জুলাই বিপ্লব ব্যর্থ হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, জুলুমকে ইনসাফ দিয়ে, সহিংসতাকে দরদ দিয়ে প্রতিস্থাপন না করে যাঁরা নতুন মাত্রার জুলুম ও সহিংসতা করে বেড়াচ্ছেন, তাঁরা ফ্যাসিবাদের পুনর্জাগরণের জন্য দায়ী থাকবেন। তাসাওফপন্থী, ফকির, বাউলসহ ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর সব ধরনের জুলুম বন্ধ হোক, সেই প্রত্যাশাও জানিয়েছেন মাহফুজ আলম।
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ একদিন ভারতের অংশ হবে: রাজনাথ সিং
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, পাকিস্তানের সিন্ধু অঞ্চল আজ ভারতের অন্তর্ভুক্ত না হলেও সীমান্ত যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে। এমনকি একদিন ওই অঞ্চল ভারতের কাছে ফিরে আসতে পারে। শনিবার মরক্কোতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রবাসীদের এক অনুষ্ঠানে এই কথা বলেছেন তিনি।
সিন্ধু নদীর তীরবর্তী সিন্ধু প্রদেশ ১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় পাকিস্তানের অংশ হয়ে যায় এবং সেখানে বসবাসরত সিন্ধি জনগোষ্ঠীর অনেকেই ভারতে চলে আসেন।
রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, সিন্ধি হিন্দুরা, বিশেষ করে এলকে আদভানির প্রজন্মের মানুষ, ভারত থেকে সিন্ধু অঞ্চলের বিচ্ছিন্ন হওয়াকে কখনোই মেনে নেননি।
তিনি বলেন, “আমি এটাও বলতে চাই যে, লালকৃষ্ণ আদভানি তার এক বইয়ে লিখেছেন, সিন্ধি হিন্দুরা, বিশেষ করে তার প্রজন্মের লোকজন, এখনো সিন্ধু বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি।”
তিনি আরো বলেন, “শুধু সিন্ধুই নয়, সমগ্র ভারতে হিন্দুরা সিন্ধু নদীকে পবিত্র মনে করেন। সিন্ধুর বহু মুসলমানও বিশ্বাস করতেন, সিন্ধুর পানি মক্কার আব-ই-জমজমের মতোই পবিত্র। এটি আদভানি সাহেবের উক্তি।”
ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “আজ সিন্ধু ভূখণ্ড ভারতের না হলেও সাংস্কৃতিকভাবে সবসময় ভারতেরই অংশ হয়ে থাকবে। আর ভূখণ্ডের ব্যাপারে বলতে গেলে, সীমান্ত পরিবর্তন হতে পারে। কে জানে, আগামী দিনে সিন্ধু আবার ভারতেই ফিরে আসতে পারে। আমাদের সিন্ধি জনগণ, যারা সিন্ধু নদীকে পবিত্র মনে করেন, যেখানেই থাকুন না কেন; তারা সবসময় আমাদেরই মানুষ, আমাদেরই অংশ।”
রাজনাথ সিং জানান, আগ্রাসী কোনো পদক্ষেপ ছাড়াই ভারত পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মির (পিওকে) ফিরে পাবে বলে তিনি মনে করেন। কারণ কাশ্মিরের মানুষ নিজেরাই দখলদারদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার দাবি তুলছেন।
তিনি বলেন, “পাক-অধিকৃত কাশ্মির নিজ থেকেই আমাদের অংশ হবে। সেখানে ইতোমধ্যে এই দাবি তোলা শুরু হয়েছে, স্লোগান আপনারা নিশ্চয় শুনেছেন।”
ঢাকা/শাহেদ