লিওনাইন চেস ক্লাবের আয়োজনে ও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহযোগিতায় লিওনাইন ৩য় গ্র্যান্ডমাস্টার্স দাবা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ভারতের আন্তর্জাতিক মাস্টার আরিয়ান ভার্সভানি। ২১ বছর পর আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে ৯ খেলায় ৭ পয়েন্ট পেয়ে শিরোপা জয়ের চেয়েও ভার্সভানির বড় অর্জন একটি গ্র্যান্ডমাস্টার নর্ম।

সাড়ে ৬ পয়েন্ট পেয়ে রানারআপ হয়েছেন উজবেকিস্তানের গ্র্যান্ডমাস্টার আবদিসালিমভ আবদিমালিক, ৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় আন্তর্জাতিক মাস্টার মোহাম্মদ ফাহাদ রহমান। সাড়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে ভিয়েতনামের গ্র্যান্ডমাস্টার ইয়ন ডাক হোয়া চতুর্থ হয়েছেন, ৫ পয়েন্ট নিয়ে আন্তর্জাতিক মাস্টার মনন রেজা পঞ্চম। বাকি পাঁচ প্রতিযোগীর ক্রম এ রকম: ষষ্ঠ ভারতের ফিদে মাস্টার পানিসার ভেদন্ত (৪), সপ্তম সাকলাইন মোস্তফা সাজিদ (৩), অষ্টম গ্র্যান্ডমাস্টার রিফাত বিন সাত্তার (৩), নবম আন্তর্জাতিক মাস্টার আবু সুফিয়ান শাকিল (২.

৫) এবং দশম ফিদে মাস্টার তাহসিন তাজওয়ার জিয়া (২.৫)।

টুর্নামেন্টের পুরো খেলাই হয়েছে ধানমন্ডির র‍্যাংকস নাসিম স্কয়ারের লিওনাইন চেস ক্লাবের হল রুমে। আজ নবম রাউন্ডের খেলায় আন্তর্জাতিক মাস্টার আরিয়ান ভার্সভানি নিজ দেশের ফিদে মাস্টার পানিসার ভেদন্তের সঙ্গে ড্র করেন। গ্র্যান্ডমাস্টার আবদিসালিমভ আবদিমালিক আন্তর্জাতিক মাস্টার মনন রেজাকে, আন্তর্জাতিক মাস্টার মোহাম্মদ ফাহাদ রহমান ফিদে মাস্টার তাহসিন তাজওয়ার জিয়াকে ও ফিদে মাস্টার সাকলাইন মোস্তফা সাজিদ গ্র্যান্ডমাস্টার রিফাত বিন সাত্তারকে হারান। আন্তর্জাতিক মাস্টার আবু সুফিয়ান শাকিল ড্র করেন গ্র্যান্ডমাস্টার ইয়ন ডাক হোয়ার সঙ্গে।

স্পোর্টস কুইজ: টেস্টের মুশফিকুর রহিমকে কতটা জানেন আপনিপুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে দাবাড়ুদের সঙ্গে দাবা ফেডারেশনের কর্মকর্তা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ একদিন ভারতের অংশ হবে: রাজনাথ সিং

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, পাকিস্তানের সিন্ধু অঞ্চল আজ ভারতের অন্তর্ভুক্ত না হলেও সীমান্ত যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে। এমনকি একদিন ওই অঞ্চল ভারতের কাছে ফিরে আসতে পারে। শনিবার মরক্কোতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রবাসীদের এক অনুষ্ঠানে এই কথা বলেছেন তিনি।

সিন্ধু নদীর তীরবর্তী সিন্ধু প্রদেশ ১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় পাকিস্তানের অংশ হয়ে যায় এবং সেখানে বসবাসরত সিন্ধি জনগোষ্ঠীর অনেকেই ভারতে চলে আসেন। 

রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, সিন্ধি হিন্দুরা, বিশেষ করে এলকে আদভানির প্রজন্মের মানুষ, ভারত থেকে সিন্ধু অঞ্চলের বিচ্ছিন্ন হওয়াকে কখনোই মেনে নেননি।

তিনি বলেন, “আমি এটাও বলতে চাই যে, লালকৃষ্ণ আদভানি তার এক বইয়ে লিখেছেন, সিন্ধি হিন্দুরা, বিশেষ করে তার প্রজন্মের লোকজন, এখনো সিন্ধু বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি।”

তিনি আরো বলেন, “শুধু সিন্ধুই নয়, সমগ্র ভারতে হিন্দুরা সিন্ধু নদীকে পবিত্র মনে করেন। সিন্ধুর বহু মুসলমানও বিশ্বাস করতেন, সিন্ধুর পানি মক্কার আব-ই-জমজমের মতোই পবিত্র। এটি আদভানি সাহেবের উক্তি।”

ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “আজ সিন্ধু ভূখণ্ড ভারতের না হলেও সাংস্কৃতিকভাবে সবসময় ভারতেরই অংশ হয়ে থাকবে। আর ভূখণ্ডের ব্যাপারে বলতে গেলে, সীমান্ত পরিবর্তন হতে পারে। কে জানে, আগামী দিনে সিন্ধু আবার ভারতেই ফিরে আসতে পারে। আমাদের সিন্ধি জনগণ, যারা সিন্ধু নদীকে পবিত্র মনে করেন, যেখানেই থাকুন না কেন; তারা সবসময় আমাদেরই মানুষ, আমাদেরই অংশ।”

রাজনাথ সিং জানান, আগ্রাসী কোনো পদক্ষেপ ছাড়াই ভারত পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মির (পিওকে) ফিরে পাবে বলে তিনি মনে করেন। কারণ কাশ্মিরের মানুষ নিজেরাই দখলদারদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার দাবি তুলছেন।

তিনি বলেন, “পাক-অধিকৃত কাশ্মির নিজ থেকেই আমাদের অংশ হবে। সেখানে ইতোমধ্যে এই দাবি তোলা শুরু হয়েছে, স্লোগান আপনারা নিশ্চয় শুনেছেন।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ