এশিয়া কাপ ট্রফি নিয়ে নতুন নাটক: নাকভিকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠালো বিসিসিআই
Published: 21st, October 2025 GMT
এশিয়া কাপের মাঠের লড়াই শেষ হয়েছে আগেই। কিন্তু ট্রফি ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন এক অধ্যায়। যার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন ভারত ও পাকিস্তান। ফাইনালে শিরোপা জিতেও হাতে ট্রফি না পাওয়ায় ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এবার সরাসরি ই-মেইল পাঠিয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এএসিসি) সভাপতি ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নাকভিকে।
বিসিসিআইয়ের দাবি, এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি অবিলম্বে ভারতের হাতে তুলে দিতে হবে। এমনকি বোর্ড হুঁশিয়ারিও দিয়েছে নাকভির পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া না এলে বিষয়টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কাছে তুলে ধরা হবে।
আরো পড়ুন:
শেষ বিকেলের দুই আঘাতে এগিয়ে গেল পাকিস্তান
ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশ্বরেকর্ড, প্রথমবার ৫০ ওভার করলেন স্পিনাররা
বিসিসিআইয়ের সচিব দেবজিত সাইকিয়া ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, “আমরা বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে এএসিসির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। যদি কোনো সমাধান না আসে, তাহলে আইসিসির কাছে যাব। ভারতের প্রাপ্য ট্রফি আটকে রাখা অনৈতিক।”
ফাইনাল শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চেই মূল গোলমাল। বিসিসিআইয়ের সিদ্ধান্ত ছিল ভারতীয় দল ট্রফি নেবে না পাকিস্তানের চেয়ারম্যান নাকভির হাত থেকে। এর জবাবে ক্ষুব্ধ নাকভি অনুষ্ঠানই বাতিল করেন এবং ট্রফিটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। সেই থেকেই চ্যাম্পিয়ন ট্রফিটি পড়ে আছে এএসিসির দুবাই অফিসে।
বিসিসিআই ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্লা এই আচরণকে “খেলাধুলার চেতনার পরিপন্থী” আখ্যা দিয়ে বলেন, “ট্রফি ভারতের প্রাপ্য। এটি অবিলম্বে বিজয়ীদের হাতে তুলে দিতে হবে। এই ঘটনা পুরো এশীয় ক্রিকেট পরিবারের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।”
সচিব দেবজিত সাইকিয়া আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, “নাকভির আচরণ অপেশাদার ও অখেলোয়াড়সুলভ। আমরা ইচ্ছে করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে তার হাত থেকে ট্রফি নেব না। কিন্তু তাই বলে তিনি ট্রফি নিয়ে চলে যাবেন; এটা তো হাস্যকর।”
যদিও ঘটনার পর নাকভি একবার সদস্য দেশগুলোর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু ভারতের কাছে ট্রফি পাঠাতে অস্বীকৃতি জানান। বরং তিনি পাল্টা শর্ত দেন, ভারতের অধিনায়ককে দুবাইয়ে এসে নিজ হাতে ট্রফি নিতে হবে। বিসিসিআই অবশ্য এই প্রস্তাবকে সরাসরি “অযৌক্তিক ও অসম্মানজনক” বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
এশিয়া কাপের মঞ্চে জেতা ট্রফি এখন রাজনীতির প্রতীকে পরিণত হয়েছে। মাঠের প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষ হলেও ক্রিকেট কূটনীতি যে এখানেই থামছে না, সেটিই আবারও প্রমাণ করে দিল ভারত-পাকিস্তানের এই নতুন ট্রফি নাটক।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এক ঘন্টায় ২০ লাখ রিয়্যাক্ট! প্রথমবার কন্যার মুখ দেখালেন দীপিকা–রণবীর
এ যেন উৎসবের চমক, দীপিকার ভক্তদের জন্য এক বড় উপহার। দীপাবলির দিনেই অবশেষে প্রকাশ্যে এল দীপিকা পাড়ুকোন ও রণবীর সিংয়ের কন্যা দুয়া। প্রায় এক বছর আগে প্রথম দীপাবলিতেই মেয়ের নাম জানিয়েছিলেন এই তারকা দম্পতি। এ বছর উৎসবের আবহে দেখালেন মেয়ের মুখও।
আজ (মঙ্গলবার) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাঁচটি ছবি শেয়ার করেছেন দীপিকা ও রণবীর। ছবি প্রকাশের পর যেন অপেক্ষায় ছিলেন ভক্তরা—মুহূর্তেই ভাইরাল হয় পোস্টটি। মাত্র এক ঘন্টায় রিয়্যাক্ট পড়ে ২০ লাখলাখের বেশি! মন্তব্যের বন্যা বইছে ইনস্টাগ্রামে।
দীপাবলির সাজে মা-মেয়ে
ছবিতে দেখা যাচ্ছে দীপিকার সঙ্গে রং মিলিয়ে সেজেছে ছোট্ট দুয়া। দুজনের পরনেই লাল রঙের জমকালো চুড়িদার, সঙ্গে মানানসই সোনার গয়না। দুয়ার মাথার দুই দিকে ঝুঁটি বেঁধেছেন দীপিকা। পাশে রণবীর সিং, সাদা ও ঘিয়ে রঙের শেরওয়ানিতে দীপাবলির ভাবনায় সাজা।
ছবিগুলোয় কখনো দুয়া হাসছে, কখনো আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছু দেখাচ্ছে—মা-বাবার আদরে মাখামাখি প্রতিটি ফ্রেম। শেষ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দীপিকার কোলে বসে মা-মেয়ে দুজনেই জোড়হাতে প্রার্থনা করছেন। ছবির ক্যাপশনে লেখা, ‘দীপাবলির শুভেচ্ছা’।
ভক্তদের কেউ লিখেছেন, ‘দুয়া ঠিক দীপিকার মতো,’ কেউ বলছেন, ‘রণবীরের ছাপ স্পষ্ট।’ নেট দুনিয়ায় ছোট্ট দুয়াকে ঘিরে উচ্ছ্বাসের ঝড়।
২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর কন্যাসন্তানের জন্ম দেন দীপিকা পাড়ুকোন। গত বছর গণেশচতুর্থীর পরের দিনেই ইনস্টাগ্রামে মেয়ের নাম ‘দুয়া’ জানিয়েছিলেন তিনি, দিয়েছিলেন ছোট্ট পায়ের ছবি। ঠিক এক বছর পর দীপাবলিতেই মুখ প্রকাশ করে যেন পূর্ণতা দিলেন সেই মুহূর্তকে।
প্রেম থেকে পরিবার
রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন ২০১৮ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। দীর্ঘ প্রেমের পর তাঁদের জীবনে এসেছে ছোট্ট দুয়া, ভালোবাসার পরিপূর্ণ প্রতীক হয়ে। দীপাবলির আলোয় তাঁদের পরিবারে এই খুশির রোশনাই ছড়িয়ে দিয়েছে বলিউডজুড়ে আনন্দের আলো।