হাটহাজারীতে স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা
Published: 21st, October 2025 GMT
পূর্ব ঘটনার দ্বন্দ্বের জেরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এক স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা সদরের পুরোনো পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে কী কারণে এ দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়েছিল, তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম মুহাম্মদ তানভীর (১৪) । সে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সিপাড়ার এলাকার প্রবাসী আবদুল বারেকের ছেলে। সে স্থানীয় আলিপুর রহমানিয়া স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারের সূত্র জানায়, চলতি ১৫ অক্টোবর স্থানীয় বাজারে স্কুলছাত্রদের দুটি পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছিল। নিহত তানভীরসহ কয়েকজন সেদিন এ মারামারি থামাতে যায়। এ সময় একটি পক্ষের সঙ্গে তানভীরের তর্কাতর্কি হয়। এর জেরে দুপুরে স্কুলের টিফিনের ছুটিতে তানভীর স্কুল থেকে বের হলে ১০ থেকে ১২ জন তাকে মারধর করে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে তাকে চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
জানতে চাইলে আলিপুর রহমানিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, কিছুদিন আগে স্কুলে কয়েকজন শিক্ষার্থীর মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ মেটানোর চেষ্টায় তানভীর অংশ নেয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে একপক্ষ তানভীরের ওপর হামলা করেছে। এতে গুরুতর আহত হয়ে সে মারা যায়।
জানতে চাইলে হাটহাজারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) তারেক আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, স্কুলছাত্রদের দুই পক্ষের মারামারির ঘটনা থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পুলিশ এ ঘটনা তদন্ত করে দেখছে।
উল্লেখ্য, হাটহাজারী হত্যা ও হামলার ঘটনা প্রথম নয়। চলতি মাসেই আরও দুবার এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। চলতি ১৪ অক্টোবর উপজেলার চৌধুরীহাটে বাজারে প্রকাশ্যে একদল যুবক ছুরিকাঘাতে ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি অপু দাশ (৩০) ও ছাত্রদলের কর্মী মুহাম্মদ তানিমকে (২৫) হত্যা করেন। এর আগে ৮ অক্টোবর উপজেলার মদুনাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির কাছে রাউজানের এক বিএনপি কর্মীকে প্রকাশ্যে সড়কে গুলি করে হত্যা করা হয়। স্বজনেরা জানান, ওই দুটি হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এ কারণে তাঁরা বিচারহীনতায় ভুগছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
‘কালো হেলমেট পরা দুজন বাইকে এসে ককটেল ফাটিয়ে চলে যায়’
প্রবর্তনার সামনে আজ সোমবার সকালে যখন ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, তখন প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ছিল। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে খাদ্যপণ্যের প্রতিষ্ঠানে ককটেল বিস্ফোরণ হয় সকাল সাতটার একটু আগে। এর মূল ফটকের সামনে একটু দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন একজন নিরাপত্তারক্ষী। রাস্তায় লোকজনও ছিল কিছু। সেই সময় ইকবাল রোডের দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলে দুই ব্যক্তি ককটেল ফাটিয়ে চলে যান। যদিও তার আগে এই দুই ব্যক্তি কয়েক মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলেন।
সিসিটিভির ফুটেজ দেখে, বিস্ফোরণের আগে–পরের পরিস্থিতি তুলে ধরেন প্রবর্তনার ফাইন্যান্স ম্যানেজার মো. তানভীর আহমেদ। আজ বেলা দেড়টার দিকে তিনি জানান, এ ঘটনার পরপরই পুলিশ আসে। তারা তদন্ত করছে। এরপর প্রবর্তনার পক্ষ থেকে মামলা করা হবে।
‘প্রবর্তনা’ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহারের খাদ্যপণ্যের প্রতিষ্ঠান।
মো. তানভীর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সিসিটিভির ফুটেজে যা দেখেছি, সকাল সাতটার একটু আগে দুজন প্রবর্তনার মূল ফটকের পাশে এসে দাঁড়ায়। তারপর দুজন দুই পাশে তাকাতে থাকে। এ সময় প্রবর্তনার একজন নিরাপত্তারক্ষী ফটকের উল্টো দিকে ছিলেন। দেখা যায়, এ সময় দুই যুবক কোনো কিছু না করে বাইক নিয়ে চলে যায়। খানিকক্ষণ পরে ইকবাল রোডের দিক থেকে তারা বাইক চালিয়ে আসতে থাকে। প্রবর্তনার ফটকের কাছাকাছি এসে ককটেল বা এ রকম কোনো বস্তু ফেলে। সেখানে ধোঁয়া ওঠে এবং প্রচণ্ড শব্দ হয়।’
মো. তানভীর আহমেদ বলেন, বিস্ফোরণের এ সময় রাস্তায় লোকজন চলাচল করছিল। এতে যে কেউ আঘাত পেতে পারত। কিন্তু কিছু হয়নি।
প্রবর্তনার সামনের অংশ