ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্বিকার ভূমিকার নিন্দা গণসংহতি আন্দোলনের
Published: 21st, October 2025 GMT
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্বিকার ভূমিকার নিন্দা জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। দলটি অবিলম্বে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার আহ্বান জানিয়েছে। আজ মঙ্গলবার গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।
গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা বলেন, চলতি বছর ২৫১ জন ডেঙ্গুতে মৃত্যুবরণ করলেও সরকারের টনক নড়ছে না। কেবল সরকারি হিসাবেই ৬১ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে আরও অনেক বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন, যাঁদের সবাই হাসপাতাল পর্যন্ত আসতে পারেননি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু চিকিৎসার খরচ সাধারণ মানুষের সামর্থ্যের বাইরে। মানুষকে মৃত্যুর সম্ভাবনার মুখে রেখে সরকারের নির্বিকার আচরণ দেখে আমরা বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ।’
গণসংহতি আন্দোলন বলছে, ‘সারা বছর যেখানে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের পরিকল্পিত ভূমিকা থাকার কথা, সেখানে তারা এ বিষয়ে কোনো কাজই করেনি। ডেঙ্গুর প্রকোপে এত মানুষের মৃত্যুর পরও সরকারের পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল কোনো ভূমিকা আমরা দেখছি না।’
গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা অবিলম্বে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দ্রুত কার্যকর ভূমিকা ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে সরকারি হাসপাতালগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণে আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আহ ব ন জ ন সরক র র
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে নোয়াখালীর ১২ শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ
শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে আজ সোমবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পাঠদান বন্ধ রয়েছে নোয়াখালীর নয়টি উপজেলার ১ হাজার ২৫৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শিক্ষকেরা যথারীতি বিদ্যালয়ে হাজির থাকলেও পাঠদান করছেন না।
আজ সকালে জেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষকেরা নিজেদের কর্মসূচির বিষয়ে আলাপ-আলোচনায় ব্যস্ত। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে খেলাধুলায় মেতে রয়েছে এসব শিক্ষার্থী।
বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, অল্প কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থী বিদ্যালয় আঙিনায় ঘোরাফেরা করছে। বিবি ফাতেমা নামের এক শিক্ষার্থী বলে, ‘স্যার-ম্যাডামেরা বলেছেন ক্লাস হবে না। তাই আমরা খেলাধুলা করছি। একটু পরই বাড়ি ফিরে যাব।’
শহরের হরিনারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অরুনচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়েও একই চিত্র দেখা যায়। হরিনারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের বিদ্যালয়ে ৬৩২ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষক আছেন ১৫ জন। শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। তাই আজ দ্বিতীয় দিনের মতো কোনো শ্রেণিতে পাঠদান হয়নি। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভালো ছিল, কিন্তু তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অনেকেই বিদ্যালয়ে আসেনি।
লক্ষ্মীনারায়ণপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সামছুদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষকদের সংগঠনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী তাঁরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এ কারণে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষকেরা শ্রেণিকক্ষে যাননি। তবে সব শিক্ষকই কর্মস্থলে উপস্থিত রয়েছেন।
শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অভিভাবকেরা। শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার মেয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। বিদ্যালয়ে গিয়ে কিছুক্ষণ পর বাসায় ফিরে এসেছে। জানতে চাইলে সে জানায়, শিক্ষকদের নাকি কর্মবিরতি চলছে, এ কারণে ক্লাস হয়নি। সামনে বার্ষিক পরীক্ষা, এমন সময় শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলতে থাকলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইসরাত নাসিমা হাবীব প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে জেলার ৯টি উপজেলার ১ হাজার ২৫৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন