জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: জোয়াবেদ হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের বিক্ষোভ
Published: 22nd, October 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা জোবায়েদ হোসেনের হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা–কর্মচারীরা।
আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাত্তরের গণহত্যা ভার্স্কয চত্বরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু সাইদ মো.
১৯ অক্টোবর রাতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জোবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
আজকের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে, ‘প্রশাসনের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘ফাঁসি, ফাঁসি, ফাঁসি চাই, খুনিদের ফাঁসি চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা।
আরও পড়ুনমাহির–বর্ষা ছাত্রদল নেতা জোবায়েদকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে : পুলিশ২১ অক্টোবর ২০২৫এ সময় গতকাল ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে জোবায়েদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তারা হাসাহাসি করেছেন অভিযোগ করে এর প্রতিবাদ জানিয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু সাইদ মো. রিপন রউফ বলেন, ‘আমরা কয়েক দিন ধরেই বিচারের দাবি জানাচ্ছি। গতকাল পুলিশের কর্মকর্তারা যেভাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁরা যেভাবে হাসাহাসি করেছেন, তাতে মনে হয় না তাঁরা একটি হত্যার বিবরণ দিচ্ছেন। তাঁরা কোনোভাবেই দায়িত্বশীল আচরণ করেননি। আমরা প্রকৃত খুনির শাস্তি দাবি করছি। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে তাঁদের বিচার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুনএক মাস আগে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়: পুলিশ২১ অক্টোবর ২০২৫বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিফাত চৌধুরী সজল বলেন, সেই ভবনের প্রতিটি ভাড়াটেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডে পরিবারও জড়িত থাকতে পারে। আমরা দ্রুত বিচার দাবি করছি।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দোষীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
এই হত্যাকাণ্ডে এরই মধ্যে মাহির রহমান (১৯), বার্জিস শাবনাম বর্ষা (১৮) ও ফারদীন আহম্মেদ আয়লান (২০) নামের তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁরা এই হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র পর স খ য ন ব ভ গ র হত য ক ণ ড কর মকর ত কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
পুরোনো একাধিক অফিস সংস্করণেও প্রযুক্তি সহায়তা বাতিল করল মাইক্রোসফট
অফিস ২০১৬ ও অফিস ২০১৯ সংস্করণের জন্য আর কোনো প্রযুক্তি সহায়তা দেবে না মাইক্রোসফট। ১৪ অক্টোবর থেকে এই দুটি সংস্করণের জন্য আর কোনো নিরাপত্তা হালনাগাদ, ত্রুটি সংশোধন বা প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে না প্রতিষ্ঠানটি। প্রযুক্তি সহায়তা না পেলেও সফটওয়্যার দুটি ব্যবহার করা যাবে। তবে ব্যবহারকারীরা সাইবার হামলা ও নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির মুখে থাকবে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।
মাইক্রোসফটের তথ্যমতে, অফিস ২০১৬ সংস্করণের প্রধান সহায়তা কার্যক্রম শেষ হয় ২০২০ সালের অক্টোবরে। এর তিন বছর পর অফিস ২০১৯ সংস্করণেরও সহায়তা কার্যক্রম শেষ হয়। এবার পুরোপুরি মাইক্রোসফটের সমর্থন প্রত্যাহার হওয়ায় পুরোনো সংস্করণগুলো ব্যবহার করলে প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা এবং উৎপাদনশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আর তাই যত দ্রুত সম্ভব নতুন সংস্করণে স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিতে হবে ব্যবহারকারীদের।
মাইক্রোসফট জানিয়েছে, স্কাইপ ফর বিজনেস ২০১৬ ও ২০১৯ সংস্করণের সহায়তাও এই সপ্তাহে শেষ হয়েছে। সফটওয়্যার হালনাগাদ, নিরাপত্তা সংশোধনী বা কারিগরি সহায়তা বন্ধ হলেও স্কাইপ ফর বিজনেসের পুরোনো সংস্করণটি ব্যবহার করা যাবে, তবে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। আর তাই নিরাপত্তা ও কাজে প্রতিবন্ধকতা এড়াতে ব্যবহারকারীদের দ্রুত নতুন সংস্করণে হালনাগাদ করতে হবে।
গত সপ্তাহ থেকে উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য আর কোনো সফটওয়্যার হালনাগাদ, নিরাপত্তা সংশোধনী বা কারিগরি সহায়তা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। ফলে উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে চলা কম্পিউটার সাইবার হামলার ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এ সমস্যা সমাধানে ব্যবহারকারীদের দ্রুত উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সূত্র: ব্লিপিং কম্পিউটার