নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ধানের শীষের বিকল্প নেই : রাজিব
Published: 22nd, October 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১দফা কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছেন।
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের নির্বাচনে যদি বিএনপি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসে তাহলে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করে এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটাবে জননেতা তারেক রহমান। আমাদের নেতা তারেক রহমানের ৩১ দফার আলোকে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ধানের শীষ প্রতীকের বিকল্প নাই।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকালে কুতুবপুর ইউনিয়ন ৮ ও ৯ ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা রাষ্ট্র বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা কালে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
এসময় বিএনপি নেতাকর্মীরা শ্লোগান দেয় ‘তারুণ্যের প্রথম ভোট, ধানের শীষের পক্ষে হোক’-এ স্লোগানকে সামনে রেখে সাধারণ জনগণ, পথচারী ও দোকানদারের মাঝে ৩১দফার লিফলেট বিতরণ এবং ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ মাশুকুল ইসলাম রাজিব।
তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপি’র ৩১ দফা এখন সময়ের দাবি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি নতুন, স্বচ্ছ ও জনগণমুখী রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তুলতে হলে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।
এসময়ে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের প্রচারনায় জেলা ও ফতুল্লা থানা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, মহিলাদলসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ত র ক রহম ন ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
রাজনীতিবিদরা ঐক্য হারিয়ে ফেলেছেন: ফখরুল
অভ্যুত্থানের পর রাজনীতিবিদের অনৈক্য নিয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, “অনেকেই হতাশ। এত বড় একটা অভ্যুত্থানের পর এত বড় একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে দেশকে সুন্দর করার। কিন্তু চারদিকে দেখা যায়, রাজনীতিবিদরা ঐক্য হারিয়ে ফেলেছেন। অনেকে চলে যাচ্ছেন। চারদিকে একটা অনৈক্যের সুর দেখা যায়। এতে তারা অনেকেই হতাশ হচ্ছেন।”
আরো পড়ুন:
সাংবাদিক হেনস্থায় মির্জা ফখরুলের দুঃখ প্রকাশ
জনগণ বিশ্বাস করে এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত: ফখরুল
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে (আইডিইবি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা’ নামের ম্যাগাজিন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “রাজনীতিবিদদের কথা হয়তো শুনতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু রাজনীতিবিদেরা একটা দেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করেন, পথ তৈরি করেন অথবা পথ নষ্ট করেন। কিছু রাজনীতিক একটা জাতিকে অত্যন্ত উচ্চশিখরে নিয়ে যান। আবার কেউ কেউ জাতিকে একেবারে নিচে নিয়ে যান। রাজনীতির মধ্যে যদি সৌন্দর্য না আনা যায়, সততা না আনা যায়, তাহলে রাজনীতি কখনোই সুন্দর হবে না। আর রাজনীতি যদি হয় জনগণের কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়া, বিদেশে সম্পদ তৈরি করা, তাহলে মানুষ ঘৃণা করবে।”
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “দুর্ভাগ্য যে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিম্নমানের। এজন্য দায়ী রাজনীতিবিদেরা। দায়ী আমলাতন্ত্র।”
তিনি বলেন, “কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব কম দেওয়া হচ্ছে। বিএ-এমএ পাস করে অনেকে বেকার বসে থাকেন। কিন্তু কারিগরি পড়ে কেউ বেকার থাকেন না। তবে কারিগরি শিক্ষার চেয়ে সেই বিএ-এমএতেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।”
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “তাদের সামনে এখন বিরাট সুযোগ ও সম্ভাবনা। তাদের দৃঢ়তা ও লক্ষ্যে স্থির থাকতে হবে। স্বপ্ন দেখতে হবে। শিক্ষার্থীদের এখন ওড়ার সময়। ভবিষ্যৎ তাদের ডাকছে। পৃথিবীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার জন্য নিজেদের তৈরি করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হীরা বলেন, “মানুষকে সম্মান করতে হবে। এ দেশের সমস্যা অনেক। শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব নিতে হবে। দেশের কাছ থেকে পাওয়ার চেয়ে দেওয়ার কথা ভাবতে হবে।”
বেসরকারি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “বন্ধুত্ব, প্রতিবাদের মানসিকতা ধরে রাখতে হবে। নিজেদের একতা ধরে রাখতে হবে। শুধু চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হতে হবে। চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। এ দেশ সমস্যায় জর্জরিত। এটাই বড় সুযোগ দেশের জন্য কিছু করার।”
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, আইডিইবির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক কবীর হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমার সম্পাদক হারুন অর রশীদ প্রমুখ।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ