তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুরে অবস্থান কর্মসূচি
Published: 22nd, October 2025 GMT
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুরে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রংপুরের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে আজ বুধবার দুপুরে নগরের জিলা স্কুল মোড়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বক্তারা নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরুর দাবি জানান।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শুরু হওয়া কর্মসূচিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামী, গণ অধিকার পরিষদ, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং ‘তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ’–এর নেতা-কর্মী ও সাংবাদিকেরাও অংশ নেন। তাঁরা বলেন, উত্তরাঞ্চলের মানুষের বৈষম্য দূর করার অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য শিগগির প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দিতে হবে।
‘তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ’–এর সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান বলেন, ২০১৫ সাল থেকে তিস্তাপারের মানুষের দুর্দশা, নদীভাঙন ও হাহাকার থেকে মুক্তির জন্য তাঁরা আন্দোলন করে আসছেন। বিভিন্ন দাবিতে গত কয়েক বছর ধরে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দেওয়াসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। কিন্তু ভারতের বাধাসহ ভূরাজনৈতিক কারণে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি।
জামায়াতে ইসলামীর রংপুর জেলা কমিটির সহকারী সেক্রেটারি রায়হান সিরাজী বলেন, ‘আমরা আর টালবাহানা দেখতে চাই না। তিস্তাপারের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে যে দাবি জানিয়ে আসছে, অন্তর্বর্তী সরকারকে এই দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।’
এনসিপির জেলা আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী আলমগীর কবির বলেন, পরিবেশ উপদেষ্টা গত ৫ ফেব্রুয়ারি কাউনিয়ার তিস্তা সেতুর কাছে সমাবেশ করে কথা দিয়েছেন। তিস্তাপারের মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে, তিস্তা মহাপরিকল্পনাকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র চলছে।
অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন জেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়ক আলমগীর নয়ন, জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ, রংপুর জিলা স্কুলের শিক্ষার্থী মুদাব্বির মারুফ প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কেশবপুরে পিস্তল-গুলি-মাদকসহ গ্রেপ্তার ৪
যশোরের কেশবপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে পিস্তল, গুলি, রামদা, চাকু, মাদক ও বিভিন্ন সরঞ্জামসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারকৃতদের যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, উপজেলার ভোগতী ও আলতাপোল এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে যৌথ বাহিনীর পৃথক অভিযানে পৌরসভার ভোগতী এলাকার আলমগীর হোসেনের (৪০) কাছ থেকে একটি পিস্তল, পাঁচটি গুলি, একটি ম্যাগাজিনসহ বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া ভোগতী এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন পলাশ (৩৫) ও মূলগ্রামের রাসেলের (২৩) কাছ থেকে ৩০ পিস ইয়াবা, একটি রামদা, একটি চাকু, একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি বার্মিজ চাকু, দুইটি ইলেকট্রিক শর্ক মেশিন ও একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
পরে আলতাপোল এলাকার উজ্জ্বল বিশ্বাসের (৩৯) কাছ থেকে একটি রামদা, তিনটি হাসুয়া ও একটি চাপাতি উদ্ধার করে পুলিশ।
এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর হোসেন পলাশ পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক, আলমগীর হোসেন ও উজ্জ্বল বিশ্বাস পৌর যুবদল থেকে বহিষ্কৃত।
কেশবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল উজ্জামান বলেন, “গ্রেপ্তারকৃত ওই চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র আইনে ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।”
ঢাকা/রিটন/এস