সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে কাটছাঁট রোধে সংবিধান সংশোধনে গণভোট বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়েছে। বুধবার সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার প্রস্তাব করে বলা হয়েছে, ‘সংবিধানের যেকোনো সংশোধনীর প্রস্তাব উভয় কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হলে তা গণভোটের জন্য উপস্থাপন করা হবে। গণভোটে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় তথা ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেলে সংশোধনী প্রস্তাব পাস হবে।’
অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন কমিশন সুপারিশ করেছে, আইনসভার নিম্নকক্ষের নাম হবে জাতীয় সংসদ এবং উচ্চকক্ষ হবে সিনেট। জাতীয় সংসদের আসন হবে ৪০০। এর মধ্যে ১০০ জন নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন থেকে নির্বাচিত হবেন। বাকি ৩০০ জন বিদ্যমান পদ্ধতিতে নির্বাচিত হবেন। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর ১০ শতাংশ প্রার্থী হতে হবে তরুণ। নিম্নকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ট দলই সরকার গঠন করবে। সরকার গঠনের উচ্চকক্ষের সদস্য সংখ্যা প্রভাব ফেলবে না।
রাজনৈতিক দল প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষে ১০০ জন নির্বাচিত হবেন। পাঁচজন মনোনীত হবেন রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে। উভয় কক্ষের মেয়াদ হবে চার বছর।
সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তি জীবনে দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক দলের প্রধান এবং সংসদ নেতা হতে পারবেন না। উভয় কক্ষে ডেপুটি স্পিকারের একটি পদ বিরোধী দল পাবে। নির্বাচনে প্রার্থিতার বয়স ২৫ থেকে কমিয়ে ২১ বছর নির্ধারণের সুপারিশ করেছে কমিশন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন শুরু, পছন্দক্রম–সংরক্ষিত আসন-আবেদন ফিসহ সব তথ্য
দেশের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আজ শুক্রবার (২১ নভেম্বর) থেকে অনলাইনে ভর্তি আবেদন শুরু হচ্ছে। বেলা ১১টা থেকে নির্ধারিত ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। আবেদন কার্যক্রম চলবে ৫ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। গতকাল বৃহস্পতিবার ভর্তির আবেদন ফরম পূরণের নিয়মাবলি প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে। স্কুলের কোনো শ্রেণির কোনো শাখাতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। আর প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর বয়স ৬ বছরের বেশি হতে হবে।
ভর্তি সংক্রান্ত নিয়মাবলি বলা হয়েছে, ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থী https://gsa.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে আবেদনপত্র পূরণ ও Teletalk Pre-paid Mobile নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন ফি দিয়ে ভর্তির আবেদনের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন।
আবেদনে নিয়মাবলি—
১.
ওয়েবসাইটে (https://gsa.teletalk.com.bd) গিয়ে অনলাইনে আবেদনপত্রের নির্দেশনা মতে প্রার্থী তার সব তথ্য পূরণ করবেন।
২.
যে সব প্রার্থী বিভিন্ন কোটায় আবেদন করবেন তাদের প্রযোজ্য কোটার বক্সে অবশ্যই টিক চিহ্ন দিতে হবে। অন্যথায় কোটা বিবেচনা করা সম্ভব হবে না।
৩.
অনলাইনে আবেদনপত্রে প্রার্থী তার রঙিন ছবি (দৈর্ঘ্য ৩০০ প্রস্থ ৩০০ pixel) স্ক্যান করে JPEG ফরমেটে নির্ধারিত স্থানে Upload করবেন।
৪.
আবেদনপত্র (Application Form) যথাযথভাবে পূরণ করে নির্দেশনা মতে আবেদনপত্র সাবমিট করা শেষ হলে কম্পিউটারে ছবিসহ Application Preview দেখা যাবে। নির্ভুলভাবে আবেদনপত্র Submit করা সম্পন্ন হলে প্রার্থী একটি User ID- সহ ছবি Applicant's copy পাবেন।
৫.
প্রার্থী পূরণকৃত আবেদনপত্রের একটি প্রিন্ট অথবা ডাউনলোড কপি ভর্তি সংক্রান্ত যেকোনো প্রয়োজনে সহায়ক হিসেবে সংরক্ষণ করবেন।
৬.
আবেদনপত্রে সরবরাহকৃত বাছাইকৃত তথ্যই যেহেতু পরবর্তী সব কার্যক্রমে ব্যবহৃত হবে, সেহেতু আবেদন পাঠানোর আগেই সরবরাহকৃত সব তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে প্রার্থী নিজে শতভাগ নিশ্চিত হবেন।