Samakal:
2025-11-22@21:19:04 GMT

সংবিধান সংশোধনে লাগবে গণভোট 

Published: 15th, January 2025 GMT

সংবিধান সংশোধনে লাগবে গণভোট 

সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে কাটছাঁট রোধে সংবিধান সংশোধনে গণভোট বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়েছে। বুধবার সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার প্রস্তাব করে বলা হয়েছে, ‘সংবিধানের যেকোনো সংশোধনীর প্রস্তাব উভয় কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হলে তা গণভোটের জন্য উপস্থাপন করা হবে। গণভোটে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় তথা ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেলে সংশোধনী প্রস্তাব পাস হবে।’ 

অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন কমিশন সুপারিশ করেছে, আইনসভার নিম্নকক্ষের নাম হবে জাতীয় সংসদ এবং উচ্চকক্ষ হবে সিনেট। জাতীয় সংসদের আসন হবে ৪০০। এর মধ্যে ১০০ জন নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন থেকে নির্বাচিত হবেন। বাকি ৩০০ জন বিদ্যমান পদ্ধতিতে নির্বাচিত হবেন। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর ১০ শতাংশ প্রার্থী হতে হবে তরুণ। নিম্নকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ট দলই সরকার গঠন করবে। সরকার গঠনের উচ্চকক্ষের সদস্য সংখ্যা প্রভাব ফেলবে না।

রাজনৈতিক দল প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষে ১০০ জন নির্বাচিত হবেন। পাঁচজন মনোনীত হবেন রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে। উভয় কক্ষের মেয়াদ হবে চার বছর। 

সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তি জীবনে দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক দলের প্রধান এবং সংসদ নেতা হতে পারবেন না। উভয় কক্ষে ডেপুটি স্পিকারের একটি পদ বিরোধী দল পাবে। নির্বাচনে প্রার্থিতার বয়স ২৫ থেকে কমিয়ে ২১ বছর নির্ধারণের সুপারিশ করেছে কমিশন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সিএমএম আদালতে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সম্মেলন কক্ষে শনিবার পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে সিএমএম আদালত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কনফারেন্সে সাক্ষীদের হাজির করা, পুলিশ রিমান্ড ও অন্তর্বর্তী তদন্ত প্রতিবেদন, আদালত চত্বরের নিরাপত্তা বিধান, অনুসন্ধান বা তদন্তের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ, জখমি সনদ (ইনজুরি সার্টিফিকেট), ময়নাতদন্ত, মরদেহের ফরেনসিক ও ভিসেরা প্রতিবেদন, মালখানা থেকে আদালতে আলামত উপস্থাপন এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো.সাব্বির ফয়েজ। তিনি বলেন, অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত ও দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি হচ্ছে। কিন্তু সেই সংবাদ মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। অপরাধী যেই হোক না কেন, তাঁর যথোচিত বিচারও যেমন হতে হবে তেমনি বিচারের খবরটিও জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে।

পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে সাব্বির ফয়েজ বলেন, মানুষ আপনাদের প্রশংসা করার জন্য মুখিয়ে আছে। তারা আপনাদের কাছ থেকে শুধু আন্তরিক ব্যবহার ও সহযোগিতা চায়। তারা চায়, আপনারা হাসি মুখে দায়িত্ব পালন করুন। মানুষ আপনার ক্ষমতা দেখতে চায় না। দায়িত্ব পালন দেখতে চায়।

ঢাকার সিএমএম মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আদালতে হাজিরা দিয়ে যাওয়ার পথে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার করা হয়েছে। বিষয়টি উদ্বেগজনক। আদালতে আসা-যাওয়ার পথে বিচারপ্রার্থী জনগণ, বিচারক ও আইনজীবীবৃন্দ যদি নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন, তবে ন্যায়বিচার ব্যাহত হবে।

বৈষম্যবিরোধীর মামলার ব্যাপারে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির সংশোধনীর মাধ্যমে ১৭৩এ ধারাটি যুক্ত করার একটি ভালো উদ্দেশ্য রয়েছে। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, এই ধারাটির কিছু অপব্যবহার হচ্ছে। এই বিষয়ে প্রত্যেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

কনফারেন্সে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী, ঢাকা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. খোরশেদ মিয়া আলম, ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের ডিসি মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন হাছানসহ পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সম্মেলনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) প্রতিনিধিবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ