Samakal:
2025-11-25@07:17:56 GMT

সংবিধান সংশোধনে লাগবে গণভোট 

Published: 15th, January 2025 GMT

সংবিধান সংশোধনে লাগবে গণভোট 

সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে কাটছাঁট রোধে সংবিধান সংশোধনে গণভোট বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়েছে। বুধবার সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার প্রস্তাব করে বলা হয়েছে, ‘সংবিধানের যেকোনো সংশোধনীর প্রস্তাব উভয় কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হলে তা গণভোটের জন্য উপস্থাপন করা হবে। গণভোটে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় তথা ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেলে সংশোধনী প্রস্তাব পাস হবে।’ 

অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন কমিশন সুপারিশ করেছে, আইনসভার নিম্নকক্ষের নাম হবে জাতীয় সংসদ এবং উচ্চকক্ষ হবে সিনেট। জাতীয় সংসদের আসন হবে ৪০০। এর মধ্যে ১০০ জন নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন থেকে নির্বাচিত হবেন। বাকি ৩০০ জন বিদ্যমান পদ্ধতিতে নির্বাচিত হবেন। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর ১০ শতাংশ প্রার্থী হতে হবে তরুণ। নিম্নকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ট দলই সরকার গঠন করবে। সরকার গঠনের উচ্চকক্ষের সদস্য সংখ্যা প্রভাব ফেলবে না।

রাজনৈতিক দল প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষে ১০০ জন নির্বাচিত হবেন। পাঁচজন মনোনীত হবেন রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে। উভয় কক্ষের মেয়াদ হবে চার বছর। 

সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তি জীবনে দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক দলের প্রধান এবং সংসদ নেতা হতে পারবেন না। উভয় কক্ষে ডেপুটি স্পিকারের একটি পদ বিরোধী দল পাবে। নির্বাচনে প্রার্থিতার বয়স ২৫ থেকে কমিয়ে ২১ বছর নির্ধারণের সুপারিশ করেছে কমিশন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের সঙ্গে সামুদ্রিক সহযোগিতা আরো গভীর করার প্রস্তাব

পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে সামুদ্রিক সহযোগিতা আরো জোরদার করার লক্ষ্যে পাকিস্তান জাতীয় জাহাজ চলাচল কর্পোরেশন (পিএনএসসি) ও বাংলাদেশ জাহাজ চলাচল কর্পোরেশন (বিএসসি) এর মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক সহযোগিতা কাঠামো প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন। 

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানের বোমা হামলায় শিশুসহ ১০ আফগান নিহত

পাকিস্তানে আধাসামরিক বাহিনীর সদর দপ্তরে বন্দুকধারীদের হামলা

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার লন্ডনে বাংলাদেশের নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম. সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে এক বৈঠকে পাকিস্তানের সমুদ্র বিষয়ক মন্ত্রী মুহাম্মদ জুনাইদ আনোয়ার চৌধুরী এই প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন।

এতে যৌথ কন্টেইনার ও বাল্ক জাহাজ চলাচল পরিষেবা, প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, সমুদ্র নিরাপত্তা এবং সমুদ্র পরিবহন উন্নয়নে সহযোগিতা, পারস্পরিক বন্দর-কল সুবিধা প্রদান এবং উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সম্পৃক্ততা জোরদার করার লক্ষ্যে বড় ধরনের অংশীদারিত্বের প্রস্তাব করা হয়েছে।

পাকিস্তানের সমুদ্র বিষয়ক মন্ত্রী আইএমও ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এর মতো প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সমুদ্র পরিবহন-সম্পর্কিত বিষয়গুলোর পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক আঞ্চলিক সমুদ্র পরিবহন সংস্থাগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলক কাঠামো তৈরির পাকিস্তানের বৃহত্তর লক্ষ্যের উপর জোর দিয়েছেন।

তিনি আঞ্চলিক বাণিজ্য প্রবাহকে সমর্থন করার জন্য পাকিস্তানের প্রস্তুতির প্রমাণ হিসেবে কেপিটির ক্রমবর্ধমান ক্ষমতা, চলমান আধুনিকীকরণ উদ্যোগ এবং উন্নত টার্নঅ্যারাউন্ড সময় তুলে ধরেন। পাকিস্তানের মন্ত্রী বলেন, বন্দর-থেকে-বন্দর সহযোগিতা আরো ঘনিষ্ঠ হলে সরবরাহ সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ কমানো যাবে, আঞ্চলিক বাধা কমানো যাবে এবং দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে বাণিজ্যিক একীকরণের জন্য নতুন পথ খুলে যাবে।

বৈঠকে উভয় পক্ষই বলেছে যে, পাকিস্তান-বাংলাদেশ সমুদ্র আলোচনা শুরু করা বন্দর উন্নয়ন, জাহাজ চলাচল খাতের সহযোগিতা, মৎস্য ও অন্যান্য উদীয়মান সমুদ্র সমস্যা নিয়ে নিয়মিত আলোচনার জন্য একটি কাঠামোগত প্ল্যাটফর্ম হবে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ