Samakal:
2025-07-04@04:25:34 GMT

সংবিধান সংশোধনে লাগবে গণভোট 

Published: 15th, January 2025 GMT

সংবিধান সংশোধনে লাগবে গণভোট 

সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে কাটছাঁট রোধে সংবিধান সংশোধনে গণভোট বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়েছে। বুধবার সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার প্রস্তাব করে বলা হয়েছে, ‘সংবিধানের যেকোনো সংশোধনীর প্রস্তাব উভয় কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হলে তা গণভোটের জন্য উপস্থাপন করা হবে। গণভোটে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় তথা ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেলে সংশোধনী প্রস্তাব পাস হবে।’ 

অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন কমিশন সুপারিশ করেছে, আইনসভার নিম্নকক্ষের নাম হবে জাতীয় সংসদ এবং উচ্চকক্ষ হবে সিনেট। জাতীয় সংসদের আসন হবে ৪০০। এর মধ্যে ১০০ জন নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন থেকে নির্বাচিত হবেন। বাকি ৩০০ জন বিদ্যমান পদ্ধতিতে নির্বাচিত হবেন। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর ১০ শতাংশ প্রার্থী হতে হবে তরুণ। নিম্নকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ট দলই সরকার গঠন করবে। সরকার গঠনের উচ্চকক্ষের সদস্য সংখ্যা প্রভাব ফেলবে না।

রাজনৈতিক দল প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষে ১০০ জন নির্বাচিত হবেন। পাঁচজন মনোনীত হবেন রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে। উভয় কক্ষের মেয়াদ হবে চার বছর। 

সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তি জীবনে দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক দলের প্রধান এবং সংসদ নেতা হতে পারবেন না। উভয় কক্ষে ডেপুটি স্পিকারের একটি পদ বিরোধী দল পাবে। নির্বাচনে প্রার্থিতার বয়স ২৫ থেকে কমিয়ে ২১ বছর নির্ধারণের সুপারিশ করেছে কমিশন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নিউইয়র্কে মামদানিই ডেমোক্র্যাটদের মেয়র প্রার্থী

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মেয়র পদে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন পেয়েছেন জোহরান মামদানি। প্রাইমারিতে মামদানি জয় পেয়েছেন বলে গত মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সিটি ইলেকশন বোর্ড নিশ্চিত করেছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে প্রায় অপরিচিত এক তরুণের রাজনৈতিক উত্থানের পথ পরিষ্কার হলো।

মঙ্গলবার নিউইয়র্কের র‌্যাঙ্ক-চয়েস ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, তৃতীয় পর্বে মামদানি ৫৬ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তৃতীয় ধাপে জয় পেতে একজন প্রার্থীকে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হয়।

মামদানি (৩৩) নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য আইনসভার সদস্য হলেও স্বল্প পরিচিত হিসেবে মেয়র প্রার্থী হওয়ার প্রচারণা শুরু করেছিলেন। তিনি নির্বাচনে বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামস, রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিউয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জিম ওয়ালডেনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অ্যাডামস ২০২১ সালে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়ে গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় এবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন।

মামদানির জন্ম উগান্ডায়। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিয়া মুসলিম পরিবারের সন্তান। নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হলে তিনি নিউইয়র্ক নগরীর প্রথম মুসলিম মেয়র হবেন। তিনি ফিলিস্তিনপন্থি হিসেবে পরিচিত। স্বঘোষিত ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’। তাঁকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘১০০ শতাংশ কমিউনিস্ট পাগল’ বলে অভিহিত করেছেন।

মামদানির এ জয় ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করেছে। দলের নেতাদের ধারণা, মামদানির দৃষ্টিভঙ্গি রিপাবলিকানদের আক্রমণের ‘সহজ লক্ষ্যস্থল’ হয়ে উঠতে পারে।

মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হয়, মামদানি মেয়র হয়ে অভিবাসী গ্রেপ্তার বন্ধের চেষ্টা করলে কী করবেন? উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘ঠিক আছে, তেমনটি হলে আমাদের তাঁকে গ্রেপ্তার করতে হবে। দেখেন, এই দেশে আমাদের একজন কমিউনিস্টের দরকার নেই। যদি তেমন কাউকে পাই, তাহলে তাঁর দিকে আমি সতর্ক নজর রাখব।’

মামদানি এর আগে বলেছিলেন, অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান আতঙ্কিত করছে। অভিযানকারীদের আইন মেনে চলার দিকে আগ্রহ নেই।

মামদানি নিউইয়র্কের কুইন্স বরো থেকে নির্বাচিত হয়ে অঙ্গরাজ্যটির আইনসভার সদস্য হন। মেয়রপ্রার্থী হিসেবে তিনি মার্কিন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স ও ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও কর্টেজের সমর্থন পেয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিউইয়র্কে মামদানিই ডেমোক্র্যাটদের মেয়র প্রার্থী