আংশিক পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় বাংলাদশে খেলাফত মজলিস: মামুনুল হক
Published: 29th, June 2025 GMT
বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেছেন, ‘আমরা আংশিক পিআর সিস্টেম (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি) চাই। বর্তমান ব্যবস্থায় সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটে না। তাই ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিনিধি নির্বাচনে আংশিক পিআর সিস্টেম নিম্নকক্ষে ও পূর্ণ পিআর সিস্টেম উচ্চকক্ষে চালু করা প্রয়োজন।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর কাকরাইলের ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেন, ‘১৫ বছর ধরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যারা সবচেয়ে বেশি জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছে, তাদের মধ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস অন্যতম। আমাদের প্রায় সব কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দীর্ঘ সময় কারাগারে বন্দী ছিলেন। ফ্যাসিবাদী রেজিমের প্রধান শেখ হাসিনা আমাদের সংগঠন ও নেতৃত্বকে সরাসরি টার্গেট করেছিলেন।’
ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান জানিয়ে খেলাফতের এই নেতা বলেন, রাজপথে গড়ে ওঠা ঐতিহাসিক ঐক্যকে নস্যাৎ করা যাবে না। বর্তমানে যে রাজনৈতিক সমন্বয়ের ধারা চলছে, যেখানে কেউ কাউকে উৎখাত করছে না, দমন করছে না, এটা যেন বজায় থাকে। কেউ যদি আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যে ফিরে গিয়ে দমন-উৎখাতের রাজনীতি করে, তাহলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবে এবং সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ইসলাম ও দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে নির্বাচনী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। প্রয়োজনে ৩০০ আসনেই রিকশা প্রতীকে নির্বাচন করবে। আবার বৃহত্তর জোট বা নির্বাচনী সমঝোতার মাধ্যমে ইসলাম ও দেশের স্বার্থ অধিকতর রক্ষা হলে সেদিকেও পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের দাবি, নির্বাচনী কাঠামোর যেসব বিষয় এখনো অমীমাংসিত, তা দ্রুত জাতির সামনে স্পষ্ট করতে হবে। সংসদের দ্বিকক্ষীয় কাঠামোর বিষয়ে ঐকমত্য থাকলেও উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ কীভাবে গঠিত হবে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।’
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের অভিভাবক পরিষদের সদস্য মাওলানা আকরাম আলী, সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, মাওলানা আলী উসমান, মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মুফতি শরাফত হোসাইন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, মাওলানা শরিফ সাইদুর রহমান প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ম ন ল হক
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে সাবেক ভ্যাট কর্মকর্তার ৫ তলা বাড়ি ক্রোকের আদেশ
চট্টগ্রাম নগরীর কাতালগঞ্জে সাবেক আবগারী ও ভ্যাটের সহকারি কমিশনার নাসির উদ্দিন ও তার স্ত্রী তাসমিন জাহান চৌধুরীর মালিকানাধীন পাঁচতলা বাড়ি ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম আদালতের নাজিরকে ওই বাড়ির রিসিভার নিয়োগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার চট্টগ্রাম সিনিয়র স্পেশাল জজ হাসানুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।
দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামি নাসির উদ্দিন দম্পতির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তে তাদের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করা পাঁচতলা বাড়ি ক্রোক করতে আদালতে আবেদন করা হয়। দুদকের আবেদন গ্রহণ করে আদালত বাড়িটি ক্রোক করে রিসিভার নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন। এখন তারা আর এসব সম্পদ অন্যত্র বিক্রি করতে পারবেন না।
আসামি মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। তিনি সর্বশেষ মৌলভীবাজারের সাবেক সহকারী কমিশনার ও বিভাগীয় কর্মকর্তা আবগারী ও ভ্যাট বিভাগের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বিরুদ্ধে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২৮ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৯ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ৩৬ লাখ ১৭ হাজার ৭১৭ টাকার সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রাখার অপরাধে দুর্নীতি মামলাটি করা হয়। তিনি বর্তমানে নগরীর কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকার ৩ রোড এলাকায় বসবাস করেন। তার গ্রামের বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়ায়।