নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বয়স ২১ বছর নির্ধারণের সুপারিশ
Published: 15th, January 2025 GMT
নির্বাচনে প্রার্থিতার বয়স ২৫ থেকে কমিয়ে ২১ বছর নির্ধারণের সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। বুধবার সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে যে প্রতিবেদন দিয়েছে
তাতে এ সুপারিশের কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে কাটছাঁট রোধে সংবিধান সংশোধনে গণভোট বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়েছে।
সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার প্রস্তাব করে বলা হয়েছে, সংবিধানের যেকোনো সংশোধনীর প্রস্তাব উভয় কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হলে তা গণভোটের জন্য উপস্থাপন করা হবে। গণভোটে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় তথা ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেলে সংশোধনী প্রস্তাব পাস হবে।
অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন কমিশন সুপারিশ করেছে, আইনসভার নিম্নকক্ষের নাম হবে জাতীয় সংসদ এবং উচ্চকক্ষ হবে সিনেট। জাতীয় সংসদের আসন হবে ৪০০। এর মধ্যে ১০০ জন নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন থেকে নির্বাচিত হবেন। বাকি ৩০০ জন বিদ্যমান পদ্ধতিতে নির্বাচিত হবেন। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর ১০ শতাংশ প্রার্থী হতে হবে তরুণ। নিম্নকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ট দলই সরকার গঠন করবে। সরকার গঠনের উচ্চকক্ষের সদস্য সংখ্যা প্রভাব ফেলবে না।
রাজনৈতিক দল প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষে ১০০ জন নির্বাচিত হবেন। পাঁচজন মনোনীত হবেন রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে। উভয় কক্ষের মেয়াদ হবে চার বছর। একজন ব্যক্তি জীবনে দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক দলের প্রধান এবং সংসদ নেতা হতে পারবেন না। উভয় কক্ষে ডেপুটি স্পিকারের একটি পদ বিরোধী দল পাবে। নির্বাচনে প্রার্থিতার বয়স ২৫ থেকে কমিয়ে ২১ বছর নির্ধারণের সুপারিশ করেছে কমিশন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স প র শ কর
এছাড়াও পড়ুন:
রাশিয়ার পক্ষে দেড় হাজার আফ্রিকান যুদ্ধ করছে: ইউক্রেনের দাবি
আফ্রিকার ৩৬টি দেশের ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ রাশিয়ার পক্ষে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই সাইবিহা এই দাবি করেছেন। তিনি আফ্রিকার সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যাতে তাদের নাগরিকদের এ যুদ্ধে যোগ না দিতে সতর্ক করে।
গতকাল শুক্রবার আন্দ্রেই সাইবিহা অভিযোগ করেন, রাশিয়া আফ্রিকার নাগরিকদের যুদ্ধে অংশ নিতে সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরে প্রলুব্ধ করছে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে বিদেশি নাগরিকদের ভাগ্য মর্মান্তিক। তাঁদের অধিকাংশ ব্যক্তিকে কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই সম্মুখ সমরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যেখানে তাঁরা খুব দ্রুতই মারা পড়ছেন। তিনি আরও বলেন, অধিকাংশ ভাড়াটে সেনা এক মাসের বেশি বাঁচেন না।
রাশিয়া বিভিন্ন পদ্ধতিতে আফ্রিকার দেশগুলোর নাগরিকদের যুদ্ধে মোতায়েন করছে। কাউকে অর্থের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। কেউ কেউ বুঝতেই পারছেন না, তাঁরা কিসে স্বাক্ষর করছেন। আবার কাউকে সামরিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হচ্ছে। আর চুক্তিতে স্বাক্ষর করা মানেই মৃত্যু পরোয়ানায় স্বাক্ষর করা।
ইতিমধ্যে আফ্রিকার কয়েকটি দেশের সরকার স্বীকার করেছে, তাদের নাগরিকেরা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে রুশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তাদের ১৭ জন নাগরিক কীভাবে রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনীতে যোগ দিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই নাগরিকেরা দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যেতে সরকারের কাছে সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন।
কেনিয়াও গত মাসে জানিয়েছে, তাদের কিছু নাগরিককে রাশিয়ার সামরিক শিবিরে আটকে রেখে যুদ্ধে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে।