নির্বাচনে প্রার্থিতার বয়স ২৫ থেকে কমিয়ে ২১ বছর নির্ধারণের সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। বুধবার সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে যে প্রতিবেদন দিয়েছে
তাতে এ সুপারিশের কথা বলা হয়েছে। 

এছাড়া সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে কাটছাঁট রোধে সংবিধান সংশোধনে গণভোট বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়েছে। 

সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার প্রস্তাব করে বলা হয়েছে, সংবিধানের যেকোনো সংশোধনীর প্রস্তাব উভয় কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হলে তা গণভোটের জন্য উপস্থাপন করা হবে। গণভোটে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় তথা ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেলে সংশোধনী প্রস্তাব পাস হবে। 

অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন কমিশন সুপারিশ করেছে, আইনসভার নিম্নকক্ষের নাম হবে জাতীয় সংসদ এবং উচ্চকক্ষ হবে সিনেট। জাতীয় সংসদের আসন হবে ৪০০। এর মধ্যে ১০০ জন নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন থেকে নির্বাচিত হবেন। বাকি ৩০০ জন বিদ্যমান পদ্ধতিতে নির্বাচিত হবেন। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর ১০ শতাংশ প্রার্থী হতে হবে তরুণ। নিম্নকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ট দলই সরকার গঠন করবে। সরকার গঠনের উচ্চকক্ষের সদস্য সংখ্যা প্রভাব ফেলবে না।

রাজনৈতিক দল প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষে ১০০ জন নির্বাচিত হবেন। পাঁচজন মনোনীত হবেন রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে। উভয় কক্ষের মেয়াদ হবে চার বছর। একজন ব্যক্তি জীবনে দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক দলের প্রধান এবং সংসদ নেতা হতে পারবেন না। উভয় কক্ষে ডেপুটি স্পিকারের একটি পদ বিরোধী দল পাবে। নির্বাচনে প্রার্থিতার বয়স ২৫ থেকে কমিয়ে ২১ বছর নির্ধারণের সুপারিশ করেছে কমিশন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স প র শ কর

এছাড়াও পড়ুন:

তরুণ পেশাজীবীদের জন্য জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচি, করুন আবেদন

আবারও শুরু হয়েছে তরুণ পেশাজীবী ও উদ্ভাবকদের জন্য জাতিসংঘের বিশেষ কর্মসূচি ইউএন গ্লোবাল কমপ্যাক্ট এসডিজি ইনোভেশন অ্যাকসেলারেটর। প্রোগ্রামটি জাতিসংঘের গ্লোবাল কমপ্যাক্টের একটি উদ্যোগ। এটির মূল লক্ষ্য হলো তরুণ পেশাজীবীদের জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক সমাধান তৈরি করতে অনুপ্রাণিত করা।

প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য

এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নেতৃত্ব, উদ্ভাবন ও টেকসই ব্যবসা পরিচালনার প্রশিক্ষণ পাবেন। পাশাপাশি তাঁরা বিশেষজ্ঞ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তরুণ পেশাজীবীদের সঙ্গে একত্রে কাজ করে বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধান বের করতে পারবেন।

অংশগ্রহণের যোগ্যতা

—বয়স হতে হবে ৩৫ বছরের নিচে।

—টেকসই উন্নয়ন, উদ্ভাবনী ব্যবসা মডেল এবং আধুনিক প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ থাকতে হবে।

—প্রতি মাসে কমপক্ষে চার ঘণ্টা শেখার কার্যক্রমে যুক্ত থাকতে হবে।

—প্রোগ্রামের অন্তত চারটি পূর্ণ দিবসের ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক।

অংশগ্রহণকারীদের জন্য সুবিধা

—অনলাইন ও সরাসরি ওয়ার্কশপ, কেস স্টাডি, কোম্পানি ভিজিট এবং আলোচনা ফোরামে অংশগ্রহণের সুযোগ।

—ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পেশাজীবীদের সঙ্গে যৌথভাবে শিল্পভিত্তিক উদ্ভাবনী প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ।

—মেন্টরিং, কোচিং ও নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি।

—টেকসই উন্নয়ন, নেতৃত্ব ও উদ্ভাবন বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে শেখার সুযোগ।

—বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানির তরুণ পেশাজীবীদের নিয়ে গঠিত গ্লোবাল নেটওয়ার্কের অংশ হওয়ার সুযোগ।

আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা: ভিসা–জটিলতা এড়াতে শিক্ষার্থীদের যে নতুন নির্দেশনা০৩ ডিসেম্বর ২০২৫এ প্রোগ্রামের মূল লক্ষ্য হলো তরুণ পেশাজীবীদের জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক সমাধান তৈরি করতে অনুপ্রাণিত করা

সম্পর্কিত নিবন্ধ