সংসদের উচ্চকক্ষের প্রতিনিধি নির্বাচন নিম্নকক্ষের আসনসংখ্যার ভিত্তিতে করা হলে তা পুরোপুরি পণ্ডশ্রম হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, এতে উচ্চকক্ষ হবে নিম্নকক্ষের পুরোপুরি রেপ্লিকা (অবিকল প্রতিরূপ)। এতে দলের আধিপত্য আরও নিরঙ্কুশ হবে, স্বৈরাচার আরও পাকাপোক্ত হবে।

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘সংসদের উচ্চকক্ষে ভোটের অনুপাতে আসন বণ্টন (পিআর): নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বদিউল আলম মজুমদার এ কথা বলেন। নাগরিক কোয়ালিশন নামের একটি প্ল্যাটফর্ম এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।

আসনভিত্তিক হলে উচ্চকক্ষ ‘ডাম্পিং গ্রাউন্ডে’ পরিণত হতে পারে উল্লেখ করে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, যাঁরা নির্বাচনে জিততে পারবেন না এবং অন্য কোথাও জায়গা নেই, তাঁদের উচ্চকক্ষে পুনর্বাসন করা হতে পারে। এ সময় মনোনয়ন–বাণিজ্যের শঙ্কার কথাও জানান তিনি।

আসনভিত্তিক ও সংখ্যানুপাতিক দুটি পদ্ধতিই ত্রুটিপূর্ণ উল্লেখ করে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, এ জন্য নিম্নকক্ষ আসন ভিত্তিতে আর দলের ভোটের হারের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ করা উত্তম হবে। রাজনৈতিক দলগুলোও এ বিষয়ে একমত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

গোলটেবিল বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন নাগরিক কোয়ালিশনের সহসমন্বয়ক ফাহিম মাশরুর। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, সংবিধান–বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুনসংসদের উচ্চকক্ষ মমতাজ-সুবর্ণাদের ভরণপোষণ কেন্দ্র হবে: আসাদুজ্জামান ফুয়াদ২৭ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন ম নকক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচন: বিএনপির যে প্রার্থীদের সঙ্গে লড়বেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতাদের যেসব আসনে নির্বাচন করার কথা রয়েছে, সেখানেও প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আরো পড়ুন:

বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই তারকারা

কুষ্টিয়ায় মনোনয়নবঞ্চিত সোহরাব- সমর্থকদের বিক্ষোভ

বিএনপির ঘোষিত আসনভিত্তিক তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা-১১ (বাড্ডা-ভাটারা-রামপুরা) আসনের তাদের প্রার্থী এম এ কাইয়ুম। এই আসনে নির্বাচন করতে পারেন এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।

রংপুর-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ এনামুল হক ভরসা। এই আসনে নির্বাচন করতে পারেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

পঞ্চগড়-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ নওশাদ জমির। এই আসনে নির্বাচন করার সম্ভাবনা রয়েছে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের।

কুমিল্লা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী। এই আসনে নির্বাচন করতে পারেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

চাঁদপুর-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী করা হয়েছে মো. মমিনুল হককে। এই আসনে নির্বাচন করতে পারেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “এখন পর্যন্ত আমাদের দলের আসনভিত্তিক মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়নি। যখন চূড়ান্ত করা হবে, আপনাদের জানানো হবে।”

এর আগে রবিবার (৩ নভেম্বর) সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রসঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা ৩০০ আসন ধরে এগোচ্ছি। ঢাকা থেকেই আমি দাঁড়াব। আর কে কোন আসনে দাঁড়াবেন, আমরা প্রার্থী তালিকা এ মাসেই দিতে পারি।”

অবশ্য বিএনপি ও এনসিপি চূড়ান্ত মনোনয়ন না দেওয়া পর্যন্ত যে কোনো আসনে যেকোনো সময় পরিবর্তন আসতে পারে বলে তারা ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। 

ঢাকা/রায়হান/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্বাচন: বিএনপির যে প্রার্থীদের সঙ্গে লড়বেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা