সিদ্ধিরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
Published: 13th, January 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- শুভ (২২) ও ইমন (২১)। এ সময় আরও একজন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
তাৎক্ষনিক তার নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। নিহত দু’জন নাসিক ১ নং ওয়ার্ডস্থ মজিববাগ এলাকার বাসিন্দা। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘাতক ট্রাক ও এর চালক আনোয়ার হোসেন (৪০) কে আটক করেছে।
প্রভাত নামের এক প্রতক্ষদর্শী বলেন, একটি মোটরসাইকেল যোগে তিন যুবক সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে দুটি অটোরিকশাকে ওভারটেক করার চেষ্টাকালে একটি অটোরিকশার সঙ্গে ধাক্কা লাগে তিনজনই পড়ে যান।
সেসময় দ্রুত গতিতে যাওয়া ঘাতক ট্রাকটির পেছনের চাকায় পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। আর একজন আহত হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন রয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
এছাড়াও পড়ুন:
‘কেউ যেন স্বজন হারা না হয়’
স্ত্রী মোনালিসা জেরিন ও মেয়ে রুকাইয়া ইসলামকে নিয়ে সুখের সংসার ছিল রাকিবুল ইসলামের। তবে সব তছনছ করে দিয়েছে ডেঙ্গু। এডিস মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ৬ জুন মারা গেছেন উদ্যোক্তা মোনালিসা।
আড়াই বছর বয়সী মেয়ে রুকাইয়াকে দেখভাল করার পাশাপাশি ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন রাকিবুল। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত দরিদ্রদের চিকিৎসা সহায়তা দিতে স্ত্রীর নামে বরগুনায় চালু করেছেন ‘জেরিন স্মৃতি কেয়ার’ নামের একটি ফাউন্ডেশন।
রাকিবুল টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আর আমার স্ত্রী একসঙ্গেই বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি হই ২ জুন। স্ত্রীর ডেঙ্গু পজিটিভ ছিল, আর আমার জ্বর ছিল। স্যালাইন, প্যারাসিটামল ছাড়া ৬ জুন পর্যন্ত আর কোনো সেবা বা পরামর্শ পাইনি। এর মধ্যে এক দিন মেডিকেল অফিসারের দেখা পেয়েছিলাম।’
মোনালিসা মারা যাওয়ার পর রাকিবুল নিজ উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গাফিলতির জন্য মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন শুরু করেন। তখন কিছুদিন প্রশাসন ডেঙ্গু প্রতিরোধে তৎপর ছিল। তারপর আগের মতোই সব ঢিলেঢালা হয়ে গেছে। রাকিবুল বললেন, বরগুনাকে ডেঙ্গুর জন্য ‘হটস্পট’ও ঘোষণা করা হয়েছে। পৌর শহরে কিছুদিন মশা মারার জন্য স্প্রে করা হলেও এখন তা–ও আর দেখা যায় না।
একজন রাকিবুলের উদ্যোগে দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি সরকারের বিভিন্ন পরিসংখ্যানই তা বলে দিচ্ছে, বরং দিন দিন ডেঙ্গু পরিস্থিতি মারাত্মক হচ্ছে। পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলেও বিশেষজ্ঞরা বারবার সরকারকে সতর্ক করছেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক চিকিৎসক মো. আবু জাফর বলেছিলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। অধিকাংশ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই মারা যাচ্ছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত বছর ডেঙ্গুতে ৫৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন। আর চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ২৪৯ জন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৬০ হাজার ৭৯১।
‘যাদের স্বজন মরে, শুধু তারাই এর জ্বালা বোঝে’
নারায়ণগঞ্জের কাশীপুর ইউনিয়নের ব্যবসায়ী মো. শাহ আলম মাদবর (৪৫) ফেসবুকে ‘আলোকিত কাশীপুর’ নামে একটি পেজের অ্যাডমিন প্যানেলের সদস্য। এই পেজে ডেঙ্গুতে মারা গেছে—এমন ব্যক্তিদের নাম, পরিচয় ও ছবি দেওয়া হচ্ছে। শাহ আলম মাদবর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৯ জন মারা গেছেন বলে পেজে তথ্য দিয়েছেন বলে প্রথম আলোকে জানান।
শাহ আলম মাদবরের সঙ্গে যোগাযোগ করে ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া কয়েকটি পরিবারের সদস্যদের ফোন নম্বর সংগ্রহ করা হয়। মেসেঞ্জারে একজনের ফোন নম্বরের সঙ্গে শাহ আলম পরিচয় লিখে দিয়েছিলেন, ‘মানিকের মায়ের নম্বর’।
রতন দেওভোগ হাজী উজির আলী উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত