কক্সবাজারের টেকনাফে ফজরের নামাজ পড়তে বের হয়েছিলেন মোহাম্মদ শাকের আহমদ (৬০)। পরে সারা দিন তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। রাতে অজ্ঞাতপরিচয়ে একজন ফোন করে বলেন, শাকেরকে জীবিত ফিরে পেতে হলে ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে। তবে মুক্তিপণ দাবির ৩২ ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। 

শাকের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মিনাবাজার ঘোনাপাড়ার বাসিন্দা।

মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালী এলাকার কম্বনিয়াপাড়া এলাকায় অপহৃত ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান অপহরণের শিকার শাকেরের ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে সম্ভাব্য সব জায়গায় বাবাকে খোঁজা হয়। কিন্তু কোনো সন্ধান পাইনি। পরে রাতে মা হাসিনা বেগম বাদি হয়ে টেকনাফ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তার পর থেকে পুলিশ বাবাকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। তবে আজ দুপুর আড়াইটার দিকে টেকনাফের খারাংখালী এলাকার কম্বনিয়াপাড়া এলাকায় দুর্বৃত্তরা আমার বাবাকে ছেড়ে যায়। দুর্বৃত্তরা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য তার বাবাকে নির্যাতন করা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। 

এর সোমবার ভোরে প্রতিদিনের মতো স্থানীয় মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করতে যান শাকের। তার পর আর বাড়ি না ফেরেনি তিনি।

টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে অপহরণের শিকার শাকেরকে উদ্ধারে পুলিশ অভিযান শুরু করে। তবে মঙ্গলবার বিকেলে অপহৃত ব্যক্তিকে দুর্বৃত্তরা ছেড়ে দেয়। মুক্তিপণ দাবির বিষয়টিও তিনি শুনেছেন বলে জানান। ছাড়া পাওয়া ব্যক্তির প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে জানান তিনি।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য বলছে, গত এক বছরের বেশি সময়ে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৯৩ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। 

শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।  

গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।

এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে। 

পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কক্সবাজারে অপহৃত রোহিঙ্গা উদ্ধার, আটক ৩
  • র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ: চক্রের মূল হোতা গ্রেপ্তার
  • কল্পনা চাকমার অপহরণের বিচার চেয়ে ফেরার পথে হামলার অভিযোগ, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির নিন্দা
  • আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার