সার্কের ১১ ফুটবলারের ৮ জনই নেপালের
Published: 16th, August 2025 GMT
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের ২০২৫ মৌসুমের দলবদল এখন শেষ। দীর্ঘদিন ধরে গুঞ্জন, আলোচনা ও বাজারে ঘুরে বেড়ানো খেলোয়াড়দের তালিকা অবশেষে বাফুফের কাছে জমা পড়েছে পরশু। প্রিমিয়ার লিগের ১০টি ক্লাব বাফুফেতে স্থানীয় ও বিদেশি খেলোয়াড় তালিকা জমা দিয়েছে। সেই তালিকায় আছে মোট ৪৮ জন বিদেশি ফুটবলারের নাম। যাঁদের ১১ জন সার্কভুক্ত দেশের, বাকি ৩৭ জন সার্কের বাইরের। তবে নতুন নিয়মে সার্কভুক্ত দেশের ফুটবলাররা বিবেচিত হচ্ছেন দেশি হিসেবে।
সার্কভুক্ত দেশের খেলোয়াড়দের ১১ জনের মধ্যে ৮ জনই নেপালি। এর মধ্যে ব্রাদার্স ইউনিয়নই নিয়েছে ৪ জনকে—জোগেশ গুড়ং, সানিশ শ্রেষ্ঠা, অঞ্জন বিস্তা ও আরিক বিস্তা। বাংলাদেশ পুলিশ এফসি নিয়েছে নেপালের গোলরক্ষক ও অধিনায়ক কিরণ কুমার লিম্বু ও ফরোয়ার্ড আয়ুশ ঘালানকে। ফর্টিসে নাম লিখিয়েছেন নেপালের ডিফেন্ডার অনন্ত তামাং। রহমতগঞ্জে নেপালের ডিফেন্ডার অভিষেক লিম্বু।
সার্কের বাকি তিনজন আসছেন ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও ভারত থেকে। ভুটানের মিডফিল্ডার ওয়াংচুক শেরিং নাম লিখিয়েছেন পুলিশে, শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ও গোলরক্ষক সুজান পেরেরা ফর্টিস এফসিতে ও ভারতের প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী আরামবাগে। ভারতের মিঠুন সামান্তাকে আনার কথা ছিল আরামবাগের। কিন্তু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অভাবে তাঁর নাম জমা দেওয়া যায়নি।
মোহামেডানের জার্সিতে ৭ বছর খেলেছেন সুলেমান দিয়াবাতে। এবার তাঁকে ছেড়ে দিয়েছে দলটি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল র
এছাড়াও পড়ুন:
‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।
আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।
এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।
ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’
১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।