চট্টগ্রামে ঝুটের গুদামে আগুন, জ্বলছে সাড়ে ছয় ঘণ্টা ধরে
Published: 16th, August 2025 GMT
চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া এলাকায় একটি ঝুটের (পরিত্যক্ত মালামাল) গুদামে আগুন লেগেছে। গতকাল শুক্রবার রাত দুইটার দিকে বাকলিয়া এক্সেস রোড–সংলগ্ন এলাকার গুদামটিতে আগুন লাগে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নেভেনি।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, ব্যক্তিমালিকানাধীন গুদামটিতে পরিত্যক্ত কাপড় এবং প্লাস্টিক পণ্যের বোতল রাখা হয়েছিল। রাতে গুদামটিতে আগুন লাগার খবর পেয়ে পর্যায়ক্রমে ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিয়ন আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দেয়। ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে সকাল পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল মান্নান সকাল সাড়ে আটটায় প্রথম আলোকে বলেন, গুদামে থাকা মালামাল পুড়ে গেলেও আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আগুন পুরোপুরি নেভানোর কাজ চলছে। কী কারণে আগুন লেগেছে সেটি তদন্ত শেষে জানা যাবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আগ ন ল গ
এছাড়াও পড়ুন:
কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি
পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।
মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।
এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।
মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।
পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।
ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।