পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৫৫৬ কোটি টাকা
Published: 16th, August 2025 GMT
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (১০ থেকে ১৪ আগস্ট) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেনে শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। একই সঙ্গে উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৫৫৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
শনিবার (১৬ আগস্ট) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স (৫৭.
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১১ হাজার ৬৮৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ১৫ হাজার ৭৯ কোটি ২২ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৩ হাজার ৩৯৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৪৪৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৬৪৫ কোটি ৩১ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৯৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৯টির, দর কমেছে ২৭৪টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির। তবে লেনদেন হয়নি ১৭টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই (২২০.২৩) পয়েন্ট বা ১.৪৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯৭২ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক (১.৪৮) শতাংশ কমে ১৩ হাজার ২৩৭ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক (১.৩৫) শতাংশ কমে ৯ হাজার ১৯০ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক (১.১৩) শতাংশ কমে ৯৪৫ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) (৪.৪৫) শতাংশ কমে ১ হাজার ৮৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২২ হাজার ৯১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ২৭ হাজার ২৫১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ১৬০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১১১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩১৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৮টির, দর কমেছে ২০৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
ঢাকা/এনটি/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব জ র ম লধন ন কম ছ আর ব দ স এসই ড এসই
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথম প্রান্তিকে ইউনিক হোটেল ও ইফাদ অটোসের মুনাফায় বড় উত্থান
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস পিএলসি ও ইফাদ অটোস পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর, ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলোচ্য প্রান্তিকে আগের হিসাববছরের তুলনায় কোম্পানি দুটির শেয়ারপ্রতি মুনাফায় (ইপিএস) বড় উত্থান হয়েছে।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
ডিএসইতে সূচকের উত্থান, সিএসইতে পতন
বেক্সিমকো সিকিউরিটিজের সনদ নবায়ন বাতিল
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) কোম্পানি দুটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ বছরের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
ইউনিক হোটেল: ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১.৩৬ টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.৪৪ টাকা। সে হিসেবে আলোচ্য প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ১.৮০ টাকা বা ৪০৯ শতাংশ।
২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে ইউনিক হোটেলের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯৪.৯৭ টাকায়।
ইফাদ অটোস: ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.০৯ টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল (০.২১) টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটি আলোচ্য প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান থেকে মুনাফায় ফিরেছে।
২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে ইফাদ অটোসের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৫.৬৬ টাকায়।
ঢাকা/এনটি/রফিক