এলসি খোলায় সহযোগিতা চায় শিল্প প্রতিষ্ঠান
Published: 19th, January 2025 GMT
চলতি মূলধনের ঘাটতি, ডলারের সংকট ও উচ্চমূল্য এবং গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের মধ্যে আগে থেকেই রয়েছে দেশের অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান। ঋণপত্র (এলসি) খোলার সমস্যাও কাটেনি। কিছু ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি খুলতে না পারায় কাঁচামালও আমদানি করতে পারছে না। এভাবে চলতে থাকলে আসন্ন রোজায় নিত্যপণ্যের সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে বলে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জানিয়েছে কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান।
কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি খুলতে না পারায় সম্প্রতি সার্বিক তথ্য তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় দেশবন্ধু গ্রুপ। বিষয়টি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে যথাযথ নির্দেশনা দিয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি খুলতে সমস্যা হচ্ছে– এমনটি জানিয়ে আরও কয়েকটি বড় শিল্প গ্রুপ তাদের কাছে চিঠি দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যেই অতি প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য ও পণ্য উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানিতে এলসি খোলার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে দেশবন্ধু গ্রুপের পরিচালক (অপারেশন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.
হুমকিতে পড়বে। কয়েক হাজার মানুষ তাদের কর্মসংস্থান হারাবে।
তিনি আরও বলেন, সামনে রমজান মাসে চিনির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এখনই তাদের র-সুগার আমদানি প্রয়োজন। এ ব্যাংকের সহযোগিতা জরুরি। তাই এ সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকারের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে, নিম্নমুখী চালের দাম
ঈদের বন্ধের আমেজ কাটতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলো। ক্রেতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারগুলোতে বেড়েছে সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক দিনের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে সবজির দাম। পেঁয়াজ, রসুন ও চালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও নিম্নমুখী।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার পর নগরের কাঁচাবাজারে সবজির সরবরাহ কমে যায়। ফলে দাম ছিল কিছুটা বাড়তি। গত রোববার ও সোমবারের দিকে নগরের আড়তগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে। অধিকাংশ সবজির দামও ৪০ টাকার আশপাশে ছিল। তবে গত মঙ্গলবার থেকে আবারও বাজারে পুরোদমে সবজির সরবরাহ শুরু হয়েছে। যার কারণে দাম কমতে শুরু করেছে।
আজ শুক্রবার নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারের পাইকারি আড়তে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২০ থেকে ৪০ টাকা দরে। বেশির ভাগ সবজির দাম প্রতি কেজি ১০ থেকে ৩৫ টাকা। তবে খুচরা বাজারগুলোতে প্রায় দ্বিগুণ দামে সবজি বিক্রি হতে দেখা যায়। নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার, সাব এরিয়া ও কাজির দেউড়ি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম ৬০ টাকার বেশি। লাউ, মিষ্টিকুমড়া ও ফুলকপির দাম কিছুটা কম। এসব সবজির দাম ৫০ টাকার আশপাশে। খুচরা বাজারগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি দরে। পরিবহন খরচ ও আগে কেনার অজুহাতে বাড়তি দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা। রিয়াজউদ্দিন বাজারের আড়তদার নুরুল ইসলাম বলেন, বাজারে সব সবজির দাম কম। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীদের কারণে ভোক্তাদের ভোগান্তি হচ্ছে। আড়তের দামের দ্বিগুণ দামে তাঁরা সবজি বিক্রি করছেন।
সবজির বাজারের পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুন ও চালের দামও নিম্নমুখী। খাতুনগঞ্জের পাইকারি আড়তে আজ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫২ টাকা দরে। খুচরা পর্যায়ে দাম ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি। অন্যদিকে রসুনের কেজি আড়তে ছিল ৮৫ থেকে ১১০ টাকা। খুচরায় সেটি ১০০ থেকে ১৩০ টাকা।
পাহাড়তলী চালের আড়তে মোটা চাল (গুটি, স্বর্ণা) কেজিপ্রতি ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে জিরাশাইল ৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত তিন দিন আগ থেকে চালের বাজার কিছুটা নিম্নমুখী বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) চালের দাম কমেছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বলেন, চালের সরবরাহ যথেষ্ট আছে। চালের দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই এখন।