খুলনায় পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাকিবুর রহমান ওরফে জিতুসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পু‌লিশ। 

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) নগরীর সঙ্গীতা সিনেমা হলের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়া, শাওন ও সোহেল রানা ওরফে উজ্জ্বল শেখ।

আরো পড়ুন:

ঢাকা থেকে নিখোঁজ কিশোরী সুবা নওগাঁয় উদ্ধার 

রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার কুতুব উদ্দিন বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।”

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মানবাধিকার রক্ষা প্রতিদিনের জন্য অপরিহার্য: তারেক

১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস।দিবসটি উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “মানবাধিকার রক্ষা প্রতিদিনের জন্য অপরিহার্য।”

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ কথা বলেন তিনি।

আরো পড়ুন:

তাদের দেশের মানুষ ১৯৭১ সালেই দেখেছে: তারেক রহমান 

সবকিছু প্রস্তুত করা হচ্ছে, তারেক রহমান সহসাই ফিরবেন: আমীর খসরু

তারেক রহমানের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো।

“১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস। এটি জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক দিবস। ২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের প্রতিপাদ্য — ‘মানবাধিকার : আমাদের প্রতিদিনের জন্য অপরিহার্য’।

এই বছরের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মৌলিক অধিকার হারানো নির্যাতিত মানুষের প্রতি গভীর সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। একই সঙ্গে, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর কোথাও যেন ভবিষ্যতে আর কেউ মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত না হন, সেজন্য মানবাধিকার রক্ষা আমাদের প্রতিদিনের জন্য অপরিহার্য।

আমাদের দেশ দীর্ঘ দেড় দশক ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের কালো অধ্যায় পার করেছে, যখন মানবাধিকার সমাধিস্থ করা হয়েছিল। গণতন্ত্রকে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছিল, রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে নেওয়া হয়েছিল হাতের মুঠোয়। এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যারা দাঁড়িয়েছিলেন-তারা রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ছাত্র, শ্রমিক কিংবা সাধারণ মানুষ যেই হোন না কেন, মিথ্যা মামলা, কারাবাস, শারীরিক নির্যাতন, গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন।

নাগরিক স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামে যারা নির্দয় ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নির্মম নিপীড়ণে জীবন বিসর্জন দিয়েছেন, তাদের আত্মার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। যারা এখনো নির্যাতিত ও নিপীড়িত, তাদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সহমর্মিতা।

আজ আমরা এক নতুন যাত্রায় আছি-গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকারের সুরক্ষার যাত্রা। আমাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র ব্যবস্থা এমন হতে হবে, যেখানে মানুষের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে, দারিদ্র্য আজ বিশ্বের সবচেয়ে গুরুতর মানবাধিকার চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হয়। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় দারিদ্র্য দুরীকরণ একটি অর্জনযোগ্য লক্ষ্য।

‘মানবাধিকার দিবস’-এর এ বছরের প্রতিপাদ্য আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, মানবাধিকার কোন বিশেষ দিনের বিষয় নয়, এটি প্রতিদিনের মানবাধিকার হরণের প্রতি লক্ষ্য রাখা ও প্রতিকারের উদ্যোগ গ্রহণ করা।

দেশের আপামর জনগণের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন কারাবন্দি থেকে, মিথ্যা মামলায় শাস্তিপ্রাপ্ত হয়ে যে নির্মম পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন, তা এক চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের কলঙ্কজনক অধ্যায়। এই অধ্যায় আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কখনো থেমে থাকা উচিত নয়। ন্যায়সঙ্গত প্রতিবাদের বিজয় অনিবার্য। বর্তমানে চিকিৎসাধীন অসুস্থ দেশনেত্রীর আশু সুস্থতা কামনা করছি।

এই মুহূর্তে দেশের মানুষ মানবাধিকার রক্ষার অঙ্গীকারে ঐক্যবদ্ধ। মানবাধিকার সুরক্ষিত রেখে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এ যাত্রায় সবার এগিয়ে আসতে হবে, জাতিসংঘ ঘোষিত সর্বজনীন মানবাধিকার দিবসে এটাই হোক আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার।”

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ